মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

কথা রেখেছেন শামীম

ক্রীড়া প্রতিবেদক

কথা রেখেছেন শামীম

গত ১৫ বছরে ১৯৪ বা তার ওপরে রান তাড়া করে বাংলাদেশের ম্যাচ জয়ের রেকর্ড সাকল্যে ১টি। ২০১৮ সালে নিদাহাস কাপে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মুশফিকুর রহিমের দুরন্ত ব্যাটিংয়ে অবিশ্বাস্য জয় তুলেছিল টাইগাররা। এখন পর্যন্ত টি-২০ ক্রিকেটে টাইগারদের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড এটাই। পরশু হারারেতে নতুন কোনো রেকর্ড গড়েনি মাহমুদুল্লাহ বাহিনী। কিন্তু চাপের মুখেও মানসিক দৃঢ়তার পরিচয় দিয়ে ১৯৪ রান তাড়া করে ম্যাচের পাশাপাশি সিরিজ নিশ্চিত করে। একই সঙ্গে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়ে। বল ও ব্যাট হাতে অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে ম্যাচ জেতানোর নায়ক ছিলেন সৌম্য সরকার। সৌম্য সেরা হলেও ম্যাচের সব আলো নিজের দিকে টেনে নেন ২১ বছর বয়সী তরুণ শামীম হোসেন পাটোয়ারী। ৩০ বলে জয়ের জন্য দরকার ৫২ রান, তখন ব্যাট করছিলেন শামীম। রানের অধিকাংশ করেছেন তিনি। ১৫ বলে ৩১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে দলকে উপহার দেন অবিশ্বাস্য জয়। ম্যাচে তার ক্ষুদ্র ইনিংসটির ভূয়সী প্রশংসা করেন টাইগার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। ম্যাচ জিতে মাঠ ছেড়ে আসার পর শামীম জানান তিনি জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে চেয়েছিলেন, ‘অনেক ভালো লাগছে। গত ম্যাচে শেষ করতে পারিনি। আমার মধ্যে একটা ক্ষুধা ছিল যে, পরের ম্যাচে যদি সুযোগ পাই, আমার লক্ষ্য থাকবে শেষ করা। সুযোগটা পেয়ে শেষ করতে পেরেছি। তাই অনেক ভালো লাগছে।’

জিম্বাবুয়ে সফরে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজ জিতেই বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় ফিরছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। বিকালে ৫ ম্যাচ টি-২০ সিরিজ খেলতে ঢাকায় আসবে অস্ট্রেলিয়া।

২১ বছর বয়সী শামীম শুধু সুযোগ পান টি-২০ সিরিজে। কিন্তু প্রথমটি খেলতে মাঠে নামা হয়নি। ওই ম্যাচে অবিশ্বাস্য একটি ক্যাচ ধরেন প্রায় ১৫ মিটার দৌড়ে। দ্বিতীয় ম্যাচে নেমেই প্রতিভার বিচার রাখেন। ১৩ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৯ রান করেন। ম্যাচ জিততে না পারায় হতাশ হয়েছিলেন শামীম। রবিবার সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মাহমুদুল্লাহ যখন ব্যাট করছিলেন, তখন ড্রেসিং রুমে বসে থাকা শামীমের মনে হচ্ছিল দল জিতবে, ‘সৌম্য ভাই ও রিয়াদ ভাই ব্যাটিং করছিল, তখন সব পজিটিভ ছিল আমাদের দিকে। আমি যখন ড্রেসিং রুমে খেলা দেখছিলাম, তখন মনে হচ্ছিল যে আজকের ম্যাচটি জিতব। যেভাবেই হোক জিতব।’ শামীম যখন মাঠে নামেন, তখন ২৬ বলে ৪৪ রান দরকার। সেখানে তিনি মাহমুদুল্লাহর সঙ্গে ১৮ বলে ৩৭ রান যোগ করেন পঞ্চম উইকেট জুটিতে। মাহমুদুল্লাহ ব্যক্তিগত ৩৪ রানে ফিরলেও শামীম অপরাজিত থাকেন। জুটি বেঁধে খেলার সময় অধিনায়ক তাকে কী বলেন সে নিয়ে শামীম বলেন, ‘মাঠে রিয়াদ ভাই আমাকে বলেছিলেন যে, ওভারে ১০ করে এলে ম্যাচটা সহজে চলে আসবে। একটা বাউন্ডারি বা একটা ছক্কা এলেই হবে।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর