সোমবার, ৯ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

মুস্তাফিজের সামনে রেকর্ডের হাতছানি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

মুস্তাফিজের সামনে রেকর্ডের হাতছানি

ব্যবধান ৪-০ হতেই পারত! কিন্তু সামান্য ভুলে হয়নি। সিরিজের চার নম্বর ম্যাচে ১৯ নম্বর ওভারে হেরে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু আড়ালে পড়ে যায় মুস্তাফিজুর রহমানের লড়াকু বোলিং। আলোচনায় উঠে আসেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ জিতে হোয়াইটওয়াশের স্বপ্ন দেখছিল টাইগাররা। মাহমুদুল্লাহদের স্বপ্নকে ধুলিস্মাৎ করেন ড্যান ক্রিস্টিয়ান। সাকিবের এক ওভারে ৫ ছক্কায় ৩০ রান তুলে লো স্কোরিং ম্যাচটিকে নিজেদের করেন নেন অসি অলরাউন্ডার। গতকাল ক্রিকেট পাড়ায় গুঞ্জন ছিল সিরিজ শেষ না করেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ফিরে যাচ্ছেন সাকিব। বিষয়টি এমন নয়। আগামীকাল সিরিজ শেষ করে যুক্তরাষ্ট্র যেতে পারেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ৮৩ ম্যাচ টি-২০ ক্যারিয়ারে সাকিব এই প্রথম এক ওভারে ৩০ রান দেননি। আগেও দিয়েছিলেন। কিন্তু এতোটা আলোচনা হয়নি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটি জিতেছিল টাইগাররা। সাকিবের সবচেয়ে বাজে বোলিংয়ের ম্যাচে মিতব্যয়ী ছিলেন মুুস্তাফিজ। গোটা সিরিজে দুর্দান্ত পারফরমার ‘কাটার মাস্টার’ টানা দুই ম্যাচে ১০ রানেরও কম দিয়েছেন ৪ ওভার বোলিং করে। টি-২০ ক্রিকেট ইতিহাসে তিনিই প্রথম টানা দুই টি-২০ ম্যাচে ৪ ওভার বোলিং করে ১০ রানের নিচে রান দিয়েছেন। হংকংয়ের আইজাজ খান দুবার নেপালের বিপক্ষে এই কৃতিত্ব দেখান। আজ সিরিজের পঞ্চম ম্যাচ। মাহমুদুল্লাহ বাহিনী নামবে ব্যবধান ৪-১-এর টার্গেটে। মিরপুরের মন্থর গতির উইকেটে রান করতে ব্যাটসম্যানদের ঘাম ঝরাতে হয় নিয়ত। বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন স্পিনাররা। বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া চলতি টি-২০ সিরিজে সর্বোচ্চ দলগত স্কোর ১৩১, বাংলাদেশের। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ মাহমুদুল্লাহ’র ৫২। মাহমুদুল্লাহ ছাড়াও হাফসেঞ্চুরি করেছেন মিচেল মার্শ। সর্বোচ্চ ৫১ রানসহ ৪ ম্যাচে তার রান ১৩২। দ্বিতীয় সেরা সাকিবের রান ৪ ম্যাচে ১০৩। এছাড়া আফিফ ৯৯, মাহমুদুল্লাহ ৭২, মোহাম্মদ নাঈম ৬৮ রান করেন।

চতুর্থ ম্যাচে ৪ ওভারে ৫০ রান দেন সাকিব। দ্বিতীয় ওভারে দেন ৫ ছক্কায় ৩০ রান। ২০১৯ সালে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩০ রান দিয়েছিলেন সাকিব। বার্ল ৩ ছক্কা ও ৩ চার মেরেছিলেন ওই ম্যাচে। তবে ম্যাচটি ৩ উইকেটে জিতেছিল টাইগাররা। টাইগারদের পক্ষে এক ওভারে সর্বোচ্চ ৩১ রান দেওয়ার রেকর্ড সাইফুদ্দিনের। চতুর্থ ম্যাচে ব্যর্থ সাকিব এখনো দলের সেরা অস্ত্র। ১০৩ রানের পাশাপাশি ৩ উইকেট নিয়েছেন এখন পর্যন্ত। গোটা সিরিজে মিতব্যয়ী মুস্তাফিজের সামনে নতুন রেকর্ডের হাতছানি। ৪ ওভারে আজ ১০ রানের কম দিলেই ইতিহাস লিখবেন কাটার মাস্টার। প্রথম বোলার হিসেবে টানা তিন ম্যাচে ১০ রানের কম দেওয়ার রেকর্ড গড়বেন। ৪ ম্যাচে ১৬ ওভারে রান দিয়েছেন মাত্র ৫৭ এবং উইকেট নিয়েছেন ৭টি। তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যাচে ৪ ওভারে ৯ রান করে দিয়েছেন। সব মিলিয়ে ১৬ ওভারে তিনি ডট বল নিয়েছেন ৫৩টি। তার বোলিংই মূলতঃ সিরিজে ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। আরেক বাঁ হাতি শরীফুলও ৪ ম্যাচে ১৩ ওভারে ৮৩ রানে ৭ উইকেট।

সিরিজের পঞ্চম ম্যাচ। ব্যবধান ৪-১ করতে টাইগারদের পক্ষে আজ জ্বলে উঠতে হবে সাকিব ও মুস্তাফিজকে। দুজনেরই ম্যাচ ব্যবধান গড়ে দেওয়ার সামর্থ্য রয়েছে।       

 

সর্বশেষ খবর