পেশাদার লিগের শুরুতে ঢাকা আবাহনীর ছিল সেরা দাপট। প্রথম টানা তিন আসরেই তারা চ্যাম্পিয়ন। মোহামেডান অপরাজিত রানার্সআপ হলেও শিরোপার মুখ দেখেনি। লিগে একঘেঁয়েমি দূর করে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। নতুন নামকরণে পেশাদার লিগে অভিষেকেই তারা চ্যাম্পিয়ন হয়। এরপর শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রও লিগ জিতেছে। আর বসুন্ধরা কিংসতো নতুন এক ইতিহাস। পেশাদার লিগে অভিষেক আসরেই তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সেই শিরোপা আবারও ধরে রেখেছে তারা। নতুন এসেই টানা দুবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিঃসন্দেহে গৌরবের। আমার জানা মতে স্বাধীনতার পর এ রেকর্ড কারোর নেই। শুধু দলীয় সাফল্য নয় আমি বলব বসুন্ধরা আগমনের পর পেশাদার লিগে নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে।
১৯৮৭ সালে ইরাকের বিশ্বকাপ খেলা দুই ফুটবলার সামির সাকি ও করিম মোহাম্মদকে এনে ঢাকা আবাহনী আলোড়ন তুলেছিল। পেশাদার লিগে বসুন্ধরা কিংস চমক দেখায় রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলা কোস্টারিকায় ড্যানিয়েল কলিনড্রেসকে এনে। আমি বলব তার আগমনে লিগে প্রাণ ফিরে পায়। অভিষেকেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনে কলিনড্রেস বড় ভূমিকা রাখেন। এবার কিংসে কলিনড্রেস নেই। আছেন রবসন রবিনহো, রাউল বেসেরা ও জনাথন ফার্নান্দেজের মতো বিদেশিরা। দেখেন অনেকে রবসনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ও লিগে নামার আগে শেখ জামালের সঙ্গে প্রীতিম্যাচ খেলে। সেদিনই ওর খেলা দেখে কিংসের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর নিপুকে বলেছিলাম, এই রবসনই হবে এবার তোমাদের প্রাণ ভোমরা। বাস্তবে কি তার প্রমাণ মিলেছে? চার ম্যাচ আগেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কিংস। ফুটবল এগার জনের খেলা। তারপরও এখানে রবসনের ক্যারিশমাই ছিল আসল। নিজে শুধু গোলই করছেন না গোলও করাচ্ছেন। এমন কোনো পজিশন নেই যে তার দেখা মিলছে না। অনেক দিন পর লিগে ভালোমানের বিদেশির খেলা দেখছি। কেউ কেউ রবসনকে ঘরোয়া ফুটবল ইতিহাসের সেরা বিদেশি ফুটবলার বলছেন। আমি তা বলব না। তবে এটা শতভাগ সত্য শুধু বিদেশি নয় এবার পেশাদার লিগে সবার সেরা ফুটবলারে নাম রবসন। কিংস ম্যানেজমেন্ট বা সভাপতি ইমরুল ভাইকে ধন্যবাদ জানাই এমন বিদেশি আনায়। যার কাছ থেকে আমাদের শেখার অনেক কিছু আছে।