বিনা যুদ্ধে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখল করেছে তালেবান বাহিনী। ক্ষমতা গ্রহণ করে সরকার গঠন করেছে। জটিল পরিস্থিতিতে নিজেকে বাঁচাতে দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান আশরাফ গনি কাবুল ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন তাজিকিস্তানে।
গত তিন মাস ধরে আফগানিস্তানের দখল নিতে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করেছে তালেবানরা। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে কাবুলের দখল নিয়েছে। রাজধানী দখল হয়ে যাওয়ায় চরম ভয় নেমে এসেছে জনজীবনে। ভীতিকর পরিস্থিতিতে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে স্থবিরতা নেমে আসার ভয়ে শঙ্কিত বিশ্বের অন্যতম সেরা লেগ স্পিনার রশিদ খান। তিনি বিশ্বনেতাদের কাছে সহায়তা চেয়েছেন। বিশ্বসেরা লেগ স্পিনারের আহ্বান সত্ত্বে¡ও দেশটি এখন তালেবান নিয়ন্ত্রণে। এর ফলে চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে টি-২০ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে ভারতের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ খেলার কথা ছিল আফগানিস্তানের। কিন্তু করোনাভাইরাসের জন্য সিরিজটি বাতিল করা হয় শেষ মুহুর্তে। যদিও সিরিজ না হওয়ার পেছনের কারণ, টি-২০ বিশ্বকাপের ভেন্যু সংযুক্ত আরব আমিরাত। আফগানিস্তান সরাসরি বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলবে। টি-২০ ক্রিকেটে আফগানিস্তান যথেষ্ট শক্তিশালী দল। র্যাঙ্কিংয়ে দলটির অবস্থান ৬ নম্বরে। ১০টি এখন পর্যন্ত টি-২০ ম্যাচ খেলেছে ৮৪টি। জয় ৫৮ এবং হার ২৫ ম্যাচে। বাকি একটি ম্যাচে ফল হয়নি। ওয়ানডে ক্রিকেটেও ধারাবাহিক দল। ১২৯ ম্যাচে জয় ৬২ এবং হার ৬৩টি। টেস্ট অভিষেক ২০১৮ সালের জুনে। ৬ টেস্টে সমান ৩টি করে হারজিত রয়েছে। অভিষেক টেস্ট খেলেছিল ভারতের বিপক্ষে বেঙ্গালুরুতে। অভিষেক টেস্টটি হেরেছিল। জয় রয়েছে বাংলাদেশ, আয়ারল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। হার ভারত ছাড়া জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে।গত তিনমাস আফগানিস্তানের দখল নিতে সরকারি বাহিনীর বিপক্ষে যুদ্ধ করে যাচ্ছে তালেবানরা। পরিস্থিতির ভয়াবহতা দেখে আফগানিস্তানের তারকা ক্রিকেটার দুই-তিনদিন আগে বিশ্ববাসীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন, ‘যুদ্ধে দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আমি বিশ্বনেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এই যুদ্ধে দেশের জনগণের অবস্থা খুবই খারাপ হচ্ছে দিন দিন। আমি দেশটিতে শান্তি চাই। জনগণ শান্তিতে বসবাস করুক।’ এর আগে তালেবানমুক্ত হলে আফগানিস্তানের খেলাধুলা প্রসারিত হয়। ক্রিকেটে দিন দিন নিজেদের অবস্থান শক্ত করে নিচ্ছিল। ফুটবলেও দেশটির এশিয়ার উপরের দিকে উঠছিল। এখন তালেবানদের উপস্থিতিতে খেলাধুলা আগের মতো হবে কিনা, এ নিয়ে ক্রীড়া বিশ্লেষকরা ভাবতেই পারেন। রশিদ খানের মতো তারকা ক্রিকেটারও সংশয়াচ্ছন্ন হতে পারেন জনগণসহ ক্রীড়াঙ্গনের ভবিষ্যৎ ভাবনায়।