সোমবার, ১৬ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

চলে গেলেন গার্ড মুলার

ক্রীড়া প্রতিবেদক

চলে গেলেন গার্ড মুলার

দিয়েগো ম্যারাডোনাকে সর্বকালের সেরা ফুটবলার বলেন অনেকে। এ নিয়ে আবার দ্বিমতও আছে। তবে সংশয় নেই বিশ্ব ফুটবলে ম্যারাডোনার জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। ম্যারাডোনাকে বিশ্ব চেনে ও জানে ১৯৮৬ সালে তার নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জেতার পর। তার আগে পেলে তো ছিলেনই। নেদারল্যান্ডের যোহান ক্রুইফ, জার্মানির গার্ড মুলার ও বেকেন বাওয়ারের নাম ছিল সবার মুখে মুখে। তারা জাদুকরি নৈপুণ্য দেখিয়ে বিশ্ববাসীর মন জয় করেছিলেন।

ক্রুইফ চলে গেছেন আগেই, ম্যারাডোনাও না ফেরার দেশে। এবার চিরতরে চলে গেলেন কিংবদন্তি ফুটবলার গার্ড মুলার। গতকাল ভোরে জার্মানি ও বায়ার্ন মিউনিখের সাড়া জাগানো ফুটবলার গার্ড মুলার মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে প্রিয়ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ। শোক জানিয়ে এক বিবৃতিতে ক্লাবটি উল্লেখ করেছে, গোটা জার্মানি স্তব্ধ হয়ে গেছে। জার্মার্নি ও বায়ার্ন মিউনিখের সবার প্রিয় গার্ড মুলার আর নেই।

আমাদের কাঁদিয়ে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। আর কখনো দেখা হবে না হাস্যোজ্জ্বল এ কিংবদন্তির সঙ্গে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

মুলার নেই। তবে তিনি বেঁচে থাকবেন ভক্তদের মাঝে। জার্মানি ও বায়ার্নের হয়ে কত যে গোল করেছেন তা ইতিহাস হয়ে থাকবে। ১৯৭০ সালে ব্যালন ডি-অর জেতা মুলার বায়ার্নের হয়ে ৬০৭টি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ৫৬৬ গোলের অনন্য এক কীর্তির অধিকারী। জার্মান লিগে তার গোল ৩৬৫টি। ৭ বার লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন।

জার্মানি জাতীয় দলের হয়ে ৬২টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। গোল করেছেন ৬৮টি। বিশ্ব ফুটবলে জার্মানির যে জনপ্রিয়তা তার পেছনে মুলারের অবদান  ভোলবার নয়। ১৯৭৪ সালে বিশ্বকাপ জয়ী জার্মানির অন্যতম সদস্য তিনি। ফাইনালে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতে জার্মানি। সে ম্যাচে জয়সূচক গোলটি ছিল তারই। ১৯৭০ ও ১৯৭৪ টানা দুই বিশ্বকাপে মুলারের গোল সংখ্যা ছিল ১৪টি। ২০০৬ সালের আগ পর্যন্ত তিনিই ছিলেন বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা। ১৯৭২ সালে তিনি জার্মানির হয়ে জিতেছেন ইউরোকাপ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর