শুক্রবার, ২০ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

বসুন্ধরা কিংস বলেই ভরসা পাচ্ছি

অনেক দিন পর বিদেশের মাটিতে খেলা দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। জাতীয় দলের লাগাতার ব্যর্থতায় দেশের বাইরে জিতব এটা ভাবতেই ভয় পাচ্ছিলাম। নেপালে ত্রিদেশীয় ফুটবলে বাংলাদেশের হারে প্রশ্ন জেগেছিল ছেলেরা কি বলে লাথি মারতেই ভুলে গেছে? সত্যি বলতে কি, দেশের ফুটবলে ভয়াবহ অবস্থা। স্বপ্নেও যা ভাবিনি সেই লজ্জা এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে আমাদের অবস্থান এখন ভুটানেরও নিচে। হতাশা বেড়েই চলেছে। রাস্তায় বের হলেই পরিচিতরা বলে ওঠেন ‘কী ভাই, যে ফুটবল বাঙালির রক্তে মিশে আছে তা আপনারা ধ্বংস করে দিচ্ছেন।’ উত্তরে কিছু বলার নেই বলে মুখ বন্ধ করে সব সহ্য করতে হয়।

যাক ফুটবলে যখন কোনো সুখবর নেই, তখন কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। অনেক দিন পর বিদেশে দাপুটে জয় দেখলাম। পেশাদার লিগে টানা দুবার শিরোপা জেতা দল বসুন্ধরা কিংস এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের শুরুটা করেছে স্বস্তির জয় দিয়ে। একসময় মালদ্বীপ আমাদের কাছে পাত্তাই পেত না। এখন তাদের হারানোটা আমাদের জাতীয় দলের কাছে স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে মালদ্বীপ বর্তমানে চ্যাম্পিয়ন। সেই দলের ৭-৮ জন খেলোয়াড়কে নিয়ে গড়া মাজিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়েছে কিংস। এই মাজিয়া দুই বছর ধরে মালদ্বীপ প্রফেশনাল লিগে চ্যাম্পিয়ন। দেড় বছর ধরে অপরাজিত ছিল। সেই দাপুটে দলকে মালদ্বীপের মাটিতে হারানো অবশ্যই গৌরবের। অস্কার কোচ হিসেবে কতটা যে অভিজ্ঞ তা ম্যাচেই প্রমাণ পেলাম। প্রতিটি পজিশনে পরিকল্পনা করে খেলেছে তার শিষ্যরা। রবসন, রাউল, ফার্নান্দেজ ও ডিফেন্সে খালিদ শাফি দুর্দান্ত খেলেছেন।

শুরুতে জয় পাওয়ায় বসুন্ধরা কিংসের আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে। সত্যি বলতে কি, টুর্নামেন্টে বসুন্ধরা খেলছে বলেই ভরসা পাচ্ছি। শনিবার বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে জয় ধরে রাখবে আশা করছি। আমার বিশ্বাস এফসি কাপে বসুন্ধরা দেশের সুনাম বাড়াবে।

সর্বশেষ খবর