রবিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

ওপেনারদের নিয়ে উদ্বেগ নেই

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ওপেনারদের নিয়ে উদ্বেগ নেই

কোয়ারেন্টাইন শেষে গতকাল অনুশীলন শুরু করেন সাকিব আল হাসান। তবে দলের অন্য সদস্যরা আগের দিনও অনুশীলন করেছেন

মিরপুরের উইকেটে বল দেরিতে আসে। আবার নিচুও হয়। এমন উইকেটে ড্রাইভ খেলা ভীষণ কষ্ট। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজে ব্যাটসম্যানদের নাভিশ্বাস উঠেছে। স্কোরগুলোই সেটা বলছে। এমন উইকেটে সুইপ খেলাই সবচেয়ে নিরাপদ। গতকাল অনুশীলনে নেমে সাকিব আল হাসান অনেকটা সময় নিয়ে সুইপ অনুশীলন করেছেন। বিশ্বসেরা অল রাউন্ডারের ব্যাটিং আবার গভীর মনোযোগে দেখেছেন ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স। যদিও অস্ট্রেলিয়া সিরিজে তিনি ছিলেন না। নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়েই নতুন মেয়াদ শুরু হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার কোচ। প্রিন্স অবশ্য টাইগার ক্রিকেটারদের খুব কাছে থেকে দেখেছেন। জিম্বাবুয়ে সিরিজে টাইগারদের ব্যাটিং কোচ ছিলেন প্রোটিয়াসদের সাবেক বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান। গতকাল অনুশীলনের ফাঁকে স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন, মিরপুরের উইকেটে বাউন্ডারি হাঁকানো কঠিন, ‘মিরপুরের উইকেটে বল আসে ধীরলয়ে। এমন উইকেটে বাউন্ডারি হাঁকানো কঠিন।’

ব্যাটিং কোচ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের প্রেক্ষিতে। পরিসংখ্যানে স্পষ্ট কতটা কষ্ট করতে হয়েছে ব্যাটসম্যানদের। ৫ ম্যাচের ওই সিরিজে উইকেট প্রতি রান উঠেছে ১৪.৭৩। সিরিজে সর্বোচ্চ স্কোর ১৩১ এবং সর্বনিম্ন স্কোর ৬২। দুই দলের ক্রিকেটাররা বাউন্ডার মেরেছেন ৬৫টি এবং ছক্কা ২৯টি। ১০টির বেশি বাউন্ডারি মেরেছেন বাংলাদেশের সাকিব ও অস্ট্রেলিয়ার মিচেল মার্শ ১২টি করে। সর্বোচ্চ ৫টি ছক্কা মেরেছেন ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ান।

ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ ব্যবধানে বিধ্বস্ত করেছে বাংলাদেশ। ৪-১ ব্যবধানে জিতলেও রান করতে নাভিশ্বাস উঠেছে টাইগার ব্যাটসম্যানদের। সিরিজে সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ১৩১। ওভার প্রতি রান ছিল ৫.৮৫। নিউজিল্যান্ড সিরিজেও একই ধরনের উইকেটের আশা করছেন ব্যাটিং কোচ, ‘নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একই ধরনের কন্ডিশন থাকবে আশা করছি। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ খেলা ক্রিকেটাররা গতকাল (শুক্রবার) লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে নিজেদের অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করেছেন। তারা দুজনেই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। এই মাঠে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে দুজনেরই।’ দুই তারকা ক্রিকেটার খেলেননি জিম্বাবুয়ে সিরিজে। দুজনেই ফিরেছেন ব্ল্যাক ক্যাপসদের বিপক্ষে।

সিরিজ জিতলেও টাইগার ওপেনাররা ছিলেন পুরোপুরি ব্যর্থ। সর্বোচ্চ ৪২ রান এসেছিল পঞ্চম ম্যাচে। বাকি ৪ ম্যাচে ওপেনিংয়ে রান হয়েছে যথাক্রমে ১৫, ৯, ৩, ও ২৪। প্রথম চার ম্যাচে ওপেন করেছেন নাঈম শেখ ও সৌম্য সরকার। শেষ ম্যাচে নাঈমের সঙ্গে ওপেন করেছিলেন শেখ মেহেদী হাসান। নিউজিল্যান্ড সিরিজের ওপেনিং নিয়ে কোনো উদ্বেগ নেই ব্যাটিং কোচ প্রিন্সের, ‘ব্যক্তিগতভাবে ওপেনারদের নিয়ে আমার কোনো উদ্বেগ নেই। জিম্বাবুয়েতে এক-দুটি ভালো জুটি হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের কন্ডিশন ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন ছিল। ওপেনিং পজিশন নিয়ে ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। লিটনের মতো ওপেনার দলে ফিরছে। দলের জন্য এমন প্রতিযোগিতা খুব ভালো।’ তামিম ইকবাল না থাকায় এখন লিটনই ওপেনিংয়ে দলের মূল ভরসা। আসন্ন সিরিজে লিটনের সঙ্গে কে ওপেন করবেন, সেটাই দেখার বিষয়।

সর্বশেষ খবর