শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
ম্যাচসেরা মাহমুদুল্লাহ

ধীরলয়ের উইকেটে সাবলীল ব্যাটিং

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ধীরলয়ের উইকেটে সাবলীল ব্যাটিং

ছবি : রোহেত রাজীব

টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন তামিম ইকবাল। ওপেনার তামিমকে দেখা যাবে না তাই। ২০ ওভার ফরম্যাটের বিশ্বকাপে নতুন বলে তাহলে কে ওপেন করবেন? লড়াইয়ে রয়েছেন লিটন দাস, মোহাম্মদ নাইম ও সৌম্য সরকার। তালিকায় রয়েছেন তরুণ মেহেদি হাসানও। চার তরুণের লড়াইয়ে এগিয়ে লিটন ও নাইম। টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থায় দুই তরুণ লিটন ও নাইম। ডান হাতি ও বাঁ-হাতি কম্বিনেশন নিয়েই বিশ্বকাপ খেলাতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট। নিউজিল্যান্ড সিরিজে সেই পরীক্ষাই করছেন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো ও অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। প্রথম ম্যাচে দুই ওপেনার ব্যর্থ হলেও গতকাল দ্বিতীয় ম্যাচে সাবলীল ব্যাটিং করেছেন লিটন ও নাইম। দুই ওপেনারের গড়া ভিতে বাংলাদেশ ২০ ওভারে ১৪১ রান করে ৬ উইকেটে। যা গত ৭ ম্যাচে সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ ও নিউল্যিান্ডের বিপক্ষে দুটি মিলিয়ে গত সাত ম্যাচে এই প্রথম সাবলীল ব্যাটিং করেছে মাহমুদুল্লাহ বাহিনী।

অস্ট্রেলিয়া সিরিজে আলোচনা ও সমালোচনায় ছিল উইকেট। ধীরলয়ের লো বাউন্সের উইকেটে রান করতে ব্যাটসম্যানদের নাভিশ্বাস উঠেছিল। গোটা সিরিজে একটির বেশি হাফসেঞ্চুরি করতে পারেননি টাইগার ব্যাটসম্যানরা। টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে একটি ভালো উইকেটের প্রত্যাশায় যখন ক্রিকেটাররা, তখন নিউজিল্যান্ড সিরিজে ফের আলোচনায় উঠে আসে উইকেট। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে ১৬.৫ ওভারে মাত্র ৬০ রানে গুটিয়ে যায় ব্ল্যাক ক্যাপসরা। উইকেটের এমন আচরণে বিস্মিত হন সবাই। গতকালের ম্যাচটি হয় ৪ নম্বর উইকেটে। আচরণেও ছিল পার্থক্য। আগের ম্যাচে যেখানে ব্যাটসম্যানদের নাভিশ্বাস উঠেছিল। দুই ওপেনার ফিরেছিলেন ৭ রানের মধ্যে। গতকাল দুই ওপেনার লিটন ও নাইম ৯.৩ ওভারে ৫৭ রান তোলেন। মিরপুরে গত সাত ম্যাচে যা যে কোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি। দশম ওভারের তৃতীয় বলে ব্যাকফুটে কাভারে খেলতে গিয়ে প্লেড অন হন লিটন। ৩৩ রানের ইনিংসটি ছিল ২৯ বলে ৩ চার ও এক ছক্কায়। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে প্রথম চার ম্যাচে পুরোপুরি ব্যর্থ ছিলেন দুই ওপেনার সৌম্য ও নাইম। পঞ্চম ম্যাচে নাইমের সঙ্গী হয়েছিলেন মেহেদি। গতকাল নাইম ও লিটন সাবলীল ব্যাটিং করেন। নাইম ৩৯ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন ৩ চারে। দুজনে ৬ ওভারের ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে ৩৬ রান যোগ করেন। দুজনের গড়ে দেওয়া ভিতে দাঁড়িয়ে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ দলকে টেনে নিয়ে যান। টাইগার অধিনায়কের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে শেষ ১০ ওভারে ৮১ রান যোগ করে বাংলাদেশ। মাহমুদুল্লাহ ৩৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ৩২ বলে ৫ চারে। প্রথম ম্যাচে টাইগার অধিনায়ক অপরাজিত ছিলেন ১৪ রানে। গতকালের ম্যাচে মাহমুদুল্লাহকে যোগ্য সাহচার্য দেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান ১৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ৯ বলে ১ চারে।

আগের ম্যাচে ১৬ রানে অপরাজিত থাকা মুশফিক প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন রানের খাতা খোলার আগেই। ১০ ওভারে রবীন্দ্রের টার্নে বোল্ড হন লিটন। পরের বলে স্ট্যাম্পড হন মুশফিক। প্রথম ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় সাকিব ৭ বলে ২ চারে ১২ রান করেন। প্রথম ম্যাচে ২৫ রান করেছিলেন বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার।

দুই সিনিয়র ব্যাটসম্যান মুশফিক ও সাকিব ব্যর্থ হলেও অন্য টাইগার ব্যাটসম্যান লিটন, নাইম, মাহমুদুল্লাহরা সাবলীল ব্যাটিং করেছেন। অবশ্য প্রথম ম্যাচের তুলনায় গতকালের উইকেটের আচরণ ছিল অনেক ভালো। যদিও বল ধীরলয়ে এসেছে। কিন্তু নীচু বলে ড্রাইভ করতে সমস্যা হয়নি ব্যাটসম্যানদের। এদিকে আগের ম্যাচে ৬০ রানে অলআউট হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ভালোই ব্যাটিং করেছেন সফরকারীরা। ২০ ওভারে ৫ উইকেটে তুলেছেন ১৩৭ রান। এর মধ্যে লাথাম করেছেন ৪৯ বলে ৬৫ রান। সিরিজে বাংলাদেশ ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল।

সর্বশেষ খবর