শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ক্রিকেটের নাদির শাহ আর নেই

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ক্রিকেটের নাদির শাহ আর নেই

সত্তরের দশকে জাহাঙ্গীর শাহ্ বাদশা ছিলেন দেশসেরা পেসার। বল তো নয় যেন মেশিনগানের গুলি। সে দশকেরই ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগে মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচের কিছু স্মৃতি এখনো চোখে ভাসে। বাদশা তখন আবাহনীতে আর নাদির শাহ মোহামেডানে। বাদশার বোলিংয়ে মোহামেডানের ব্যাটসম্যানরা দিশাহারা। অথচ নাদির শাহ্র ব্যাটিং ছিল চোখে পড়ার মতো। বাদশার ৫ কিংবা ৬ নভম্বর ওভার হবে। নাদির শাহ্ পরপর তিনটি বাউন্ডারি হাঁকালেন। তা দেখে বড় ভাই বাদশা বসে বিরক্ত প্রকাশ করছিলেন। কমপ্লিট ক্রিকেট পরিবার। বাদশা, নাদির ও মুন্না শাহ্ শুধু ঘরোয়া আসরই মাতাননি; জাতীয় দলের হয়েও খেলেছেন। তাদেরর খালাতো ভাই নাজিম সিরাজীও ছিলেন দেশের তারকা ক্রিকেটার।

সেই ক্রিকেট পরিবারের এক নক্ষত্র নিভে গেল। মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নাদির শাহ না-ফেরার দেশে চলে গেলেন। বছর দু-এক ধরেই ফুসফুস ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। শেষ পর্যন্ত সবাইকে কাঁদিয়ে গতকাল ভোরে মৃত্যুবরণ করেন। শুধু ক্রিকেটার নন, আম্পায়ার হিসেবেও খ্যাতি পেয়েছিলেন। হয়েছিলেন আইসিসির প্যানেল আম্পায়ার। ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ে শুরু আর ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ে অভিষেক। টিভি আম্পায়ার হিসেবে কাজ করেন ৬ টেস্ট ও ২৩ ওয়ানডেতে। এ ছাড়া ৭৩ প্রথম শ্রেণির ম্যাচ ও ১২৭টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে আম্পায়ারিং করেন তিনি। ২০০৯ সালের অক্টোবরে জাতীয় লিগই ছিল তাঁর শেষ আম্পায়ারিং।

নাদির শাহ মোহামেডান ও আবাহনী বড় দুই দলে খেলেই শিরোপা জিতেছেন, পেয়েছেন সেঞ্চুরি। খেলেছেন বিমান, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, সূর্যতরুণ ও আজাদ বয়েজে। শুধু ব্যাটিং নয়, বোলিংয়েও ছিলেন দুরন্ত। নাদির শাহকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গতকাল বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ম্যাচের আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা কালো ব্যাজ পরেই খেলেন। তাঁর মৃত্যুতে ক্রীড়াঙ্গনে শোকের ছাড়া নেমে এসেছে।

সর্বশেষ খবর