বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

চলে গেলেন জালাল আহমেদ চৌধুরী

ক্রীড়া প্রতিবেদক

চলে গেলেন জালাল আহমেদ চৌধুরী

ক্রিকেট খেলেছেন দীর্ঘদিন। ব্যাট, বল, গ্লাভস, প্যাড তুলে রেখে এরপর হয়ে পড়েন ক্রিকেটার তৈরির কারিগর। নিজে ছিলেন একজন দারুণ ক্রিকেটার। গড়েছেন বহু তারকা ক্রিকেটার। তার হাতে গড়া বহু ক্রিকেটার লাল-সবুজ পতাকার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। শুধু ক্রিকেটার, কোচ কিংবা সংগঠক নন, তিনি ছিলেন একজন দারুণ লিখিয়েও। ক্রিকেট, ফুটবল নিয়ে তার কলমে লেখা হয়েছে বহু মহাকাব্য। পাঠকরা মুগ্ধ হয়েছেন তার লেখায়। ক্রিকেটার, কোচ, লেখক ও ক্রীড়া সাংবাদিক সব মিলিয়ে ক্রিকেটের সব্যসাচী জালাল আহমেদ চৌধুরী গতকাল সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। গতকাল দুপুরে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এবং দ্বিতীয়টি আজিমপুর ইরাকি কবরস্থান মসজিদে। কবর দেওয়া হয়েছে আজিমপুর কবরস্থানে। জালাল আহমেদের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।

১৯৪৭ সালে জন্ম ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব জালাল আহমেদ চৌধুরীর। তিনি বেড়ে উঠেছেন আজিমপুর কলোনিতে। কলোনিতে থাকাকালীন তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু ষাটের দশকে উদিতি ক্লাবের হয়ে। এরপর খেলেছেন ইয়াং পেগাসাস, টাউন ক্লাব, ধানমন্ডি ক্লাব, ন্যাশনাল স্পোর্টিংয়ে। ক্যারিয়ারে তিনি ছিলেন হার্ড হিটিং ওপেনার। দলের প্রয়োজনে কিপিং করেছেন। অফ স্পিনও করতেন। ৭৪ বছর বয়স্ক জালাল আহমেদ বেশ অনেকদিন ধরেই কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে তিনি ১ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হন। কিছুটা সুস্থ হলে বাড়িতে ফিরেন। ১৫ সেপ্টেম্বর পুনরায় ভর্তি হন হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে নেওয়া হয়। তার ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে, শরীর ফুলে যায় অনেকটাই। ক্রিকেট ক্যারিয়ার ছাড়া তিনি ১৯৭৯ সালে আইসিসি ট্রফিতে ওসমান খানের সহযোগী কোচ ছিলেন। ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জয়ী বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতিতেও তিনি ছিলেন গর্ডন গ্রিনিজের সহকারী কোচ। ক্লাব কোচিং করান আবাহনী, মোহামেডান, ভিক্টোরিয়া, ধানমন্ডি, ইয়াং পেগাসাস, সাধারণ বীমা, কলাবাগানসহ বিভিন্ন ক্লাবে।  তিনি বিএসজেএর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশ টাইমসে ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন।

সর্বশেষ খবর