মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

জয়টা এলো না আফসোস!

ফুটবলের পেছনে ভারত প্রচুর অর্থ ব্যয় করছে। সেই তুলনায় উন্নতি দেখছি না। দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে তারা সর্বোচ্চ শিরোপা জিতলেও আমি বলব মানের দিক দিয়ে বাংলাদেশের তুলনায় খুব একটা এগিয়ে নেই। অথচ কেন জানি তাদের হারানোটা আমাদের কাছে স্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০০৩ সালে সাফে সেমিফাইনালে জয়ের পর ভারতকে হারাতে পারেনি। এর পেছনে বড় কারণ হচ্ছে ভারতের বিপক্ষে ফুটবলাররা অতিরিক্ত চাপে থাকে।

অনেকদিন পর বাংলাদেশকে চাপমুক্ত দেখলাম। এর কৃতিত্ব কোচ অস্কার ব্রুজোনকে দিতে হয়। স্বল্পসময়ে হলেও শিষ্যদের খেলাচ্ছেন নতুন ছকে। মালেতে সাফের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ ১-১ গোলে ড্র করেছে ভারতের বিপক্ষে। তাও আবার ৩৭ মিনিট ১০ জন খেলে।

পিছিয়ে থেকে ড্র করায় অনেকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। বলছেন ফাইনালের আশাটা ভালোভাবে জেগে থাকল। আমি কিন্তু আফসোসে পুড়ছি। ডিফেন্ডারদের ভুলে সুনীল ছেত্রীর গোলে ভারত এগিয়ে যায়। এরপর তারা ব্যবধান বাড়ানোর মতো তেমন ভয়ংকর রূপ ধারণ করতে পারেনি। গোলের পর ছেত্রীর কোনো ক্যারিশমা কি চোখে পড়েছে? বরং গোল শোধে বাংলাদেশ মরিয়া হয়ে উঠে। রাকিব ও মতিন মিঞা ফাঁকা নেট পেয়েও জালে বল পাঠাতে পারেননি। রাকিব মিস করলেন অথচ পরের মিনিটে অযথা ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখলেন যা আমার ভালো লাগেনি। মতিন মিয়া অযথা বল পায়ে রাখছিলেন যা ছিল বিরক্তিকর। বিশ্বনাথ লালকার্ড দেখায় আমি ভেবেছিলাম আর সম্ভব নয়। কিন্তু ১০ জনের বাংলাদেশ যেন শোককে শক্তিতে পরিণত করল। ইয়াছিন যে গোলটি করেন এক কথায় অসাধারণ। ম্যাচ ড্র করায় ফাইনালের পথে হাঁটছে বাংলাদেশ।

 সোহেল রানা, সুমন রেজা মাঠে নামার পর খেলার চেহারা পুরোপুরি পাল্টে যায়।

জামালের কর্নারে ইয়াসিনের হেডের গোলটা সত্যিই অসাধারণ। ড্র করেও আফসোস সুযোগ পেয়েও হারানো গেল না ভারতকে। এই ড্রয়ে বাংলাদেশের অ্যাকাউন্টে এখন চার পয়েন্ট। সামনে মালদ্বীপ ও নেপালের সঙ্গে খেলা। আমার বিশ্বাস আত্মবিশ্বাসী জামালরা ফাইনালের পথে ঠিকই এগিয়ে যাবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর