বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

মালদ্বীপ আমাদের কাছে পাত্তাই পেত না

এখন যাদের বয়স ৩০ বা ৪০ ছুঁই ছুঁই করছে তাদের কাছে ঘটনাগুলো গল্পই মনে হবে। গল্প নয়, সত্যি ঘটনাই তুলে ধরছি। আশি থেকে নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ফুটবলে মালদ্বীপ আমাদের কাছে পাত্তাই পেত না। জাতীয় দল তো বটেই মোহামেডানের কাছে ৮/৯ গোলে তারা হারত। ১৯৮৯ সালের কথা বলি, ঢাকায় এশিয়ান ক্লাবকাপ ফুটবলে আটজন জাতীয় দলের খেলোয়াড় নিয়ে মালদ্বীপের ওয়াপদা ক্লাব মোহামেডানের মুখোমুখি হয়। আমি ছিলাম দলের অধিনায়ক। রেফারি টস করার আগে ওয়াপদার ম্যানেজার আমার কাছে অনুরোধ রাখলেন প্লিজ তোমরা বেশি গোল দিও না। সম্ভবত আমরা সেই ম্যাচে দুজনার হ্যাটট্রিকসহ ৮ গোলে জয়লাভ করি। অথচ ওই ম্যাচে অনায়াসে আরও গোল দিতে পারতাম। কিন্তু মালদ্বীপের অনুরোধে ব্যবধান আর বাড়াইনি।

তখন আর এখনকার মধ্যে পার্থক্য অনেক। মালদ্বীপের বিপক্ষে জয় পাওয়াটা স্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই অতীতের ঘটনাগুলো অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। বাস্তবতা হচ্ছে ওরা যতটা এগিয়েছে আমরা ততটা পিছিয়েছি। আজ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ লড়বে মালদ্বীপের বিপক্ষে। ফাইনালের জন্য অস্কারের শিষ্যদের কাছে জয়টা খুবই জরুরি। প্রশ্ন হচ্ছে জয় কি আসবে? ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে মালদ্বীপ এগিয়ে। বর্তমান সাফ চ্যাম্পিয়নও তারা। তারপর আবার মালেতে ঘরের মাঠে খেলা। মালদ্বীপ তাদের প্রথম ম্যাচেই নেপালের কাছে হেরে গেছে। আজ হারলেই মালদ্বীপের ফাইনালের আশা প্রায় শেষ হয়ে যাবে। সুতরাং পুরো পয়েন্ট তুলতে তারা মরণ কামড় দেবে।

বাংলাদেশের প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে কোচ অস্কার ব্রুজোন মালদ্বীপের ফুটবলারদের কার কেমন দক্ষতা ভালোমতো জানেন। নিশ্চয় তিনি সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে শিষ্যদের ছক ঠিক করে দেবেন। মনোবল চাঙ্গা রাখতে হবে। সুযোগ ও সেন্স নিয়ে খেললে জেতা সম্ভব। ভারতের বিপক্ষে ১০ জন নিয়েও জিততে পারত। সুযোগ হাত ছাড়া হওয়ায় তা হয়নি। ভুলের পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে। ঘর সামাল দিয়ে আক্রমণে যেতে হবে। বিশ্বনাথের মতো দক্ষ ডিফেন্ডারকে ম্যাচে পাচ্ছি না। অযথা কার্ড দেখার দরকার কী? বুঝে-শুনে খেলতে হবে।

সর্বশেষ খবর