সোমবার, ১১ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

নিষিদ্ধ দ্রুততম মানব ইসমাইল

ক্রীড়া প্রতিবেদক

নিষিদ্ধ দ্রুততম মানব ইসমাইল

বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে নানা কারণে ক্রীড়াবিদরা নিষিদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু এবারে যা ঘটল তা আজবই বলা যায়। বাংলাদেশের দ্রুততম মানব অ্যাথলেট মোহাম্মদ ইসমাইল এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন। তাঁর এ নিষেধাজ্ঞা ক্রীড়ামোদীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। যে কারণ দেখিয়ে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন ইসমাইলকে নিষিদ্ধ করেছেন তা ফেডারেশনের বাইলজেই শাস্তির বিধান নেই। গেল টোকিও অলিম্পিক গেমসে অ্যাথলেটিকস থেকে প্রাথমিকভাবে তিনজনকে বাছাই করেছিল। শেষ পর্যন্ত সবাইকে অবাক করে দিয়ে ৪০০ মিটার দৌড়ে জহির রায়হানকে মনোনীত করে।

ফেডারেশনের মনোনয়ন নিয়ে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনও ছিল ক্ষুব্ধ। বিওএর সহ-সভাপতি শেখ বশির আহমেদ তখন বলেছিলেন, জহিরের মনোনয়ন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। কেননা নিয়ম অনুযায়ী অলিম্পিকে পুরুষ বা মহিলার ১০০ মিটার ¯িপ্রন্টারে চ্যাম্পিয়নদের অংশ নেওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে ফেডারেশনকে আমরা চিঠি দেব কিসের ভিত্তিতে জহিরকে মনোনয়ন দিল। পরে অবশ্য জহির ঠিকই অলিম্পিকে যান।

ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিব মন্টু বলেন, ওই সময়ে বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কাছে ইসমাইল ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এতে করে ফেডারেশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণœœ হয়েছে। শাস্তি হিসেবে ইসমাইল এক বছরের জন্য ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক সব রকম প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন না। মন্টু বলেন, তাঁকে প্রথমে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়। পরে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তারাই বহিষ্কারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

প্রশ্ন হচ্ছে জহিরের মনোনয়ন নিয়ে অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা মিডিয়ার কাছে ক্ষোভ ঝেড়েছিলেন। এতে তো ফেডারেশনের ভাবমূর্তি আরও বেশি নষ্ট হওয়ার কথা। ফেডারেশন এক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে কেন? নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে নৌবাহিনীর অ্যাথলেট ইসমাইল বলেন, সত্যিই আমি হতাশ। কেন যে নিষিদ্ধ হলাম তা বুঝতে পারছি না। যাক ফেডারেশন তাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি অবশ্যই আপিল করব।

সর্বশেষ খবর