সোমবার, ১১ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

দেশের ফুটবল কেন পিছিয়ে

দেশের ফুটবল কেন পিছিয়ে

হ্যানভিরু মাঠে বাসযোগে অনুশীলনে এসেছিলেন জামাল-তপুরা। কিন্তু ফেরার সময় হেঁটেই হোটেলে ফিরতে হয়েছে তাদের। আয়োজক কমিটি বাস পাঠায়নি। এ নিয়ে বাংলাদেশের ম্যানেজার অভিযোগ তুললেও মালদ্বীপ ফুটবল ফেডারেশন গুরুত্ব দেয়নি -বাফুফে

১৯৯৫ সালে মিয়ানমার চার জাতি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়। ফুটবলে বিদেশের মাটিতে এটিই ছিল প্রথম ট্রফি জয়। অথচ আমরা শিরোপা জিতব কেউ ভাবেননি। রাউন্ড রবিন লিগে স্বাগতিক মিয়ানমারের কাছে ০-৪ গোলে হারের পর ওখানে বসেই শুনছিলাম আমাদের ঘিরে দেশে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। কোচ অটো ফিস্টার অধিনায়ক মুন্না ভাইসহ সবাইকে নিয়ে আলোচনায় বসলেন। বললেন, ফুটবল জয়-পরাজয়ের খেলা। এক ম্যাচ হারা মানে সব শেষ হয়ে যাওয়া নয়। মনোবল নিয়ে বাকি ম্যাচে লড় দেখবে আমরাই ফাইনালে যাব। অটোর এমন কথায় অটোমেটিক আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছিল। শুধু ফাইনাল নয়, যে মিয়ানমার ৪-০ গোলে জিতেছিল তাদেরকেই ২-১ গোলে হারিয়ে আমরা লাল-সবুজের বিজয়ের পতাকা উড়িয়েছিলাম।

কোচ মাঠে খেলেন না। কিন্তু তার শিক্ষা বা নির্দেশে দল জ্বলে উঠে। অটো ফিস্টার এমনই এক কোচ যার অভিধানে পারব না বলে কোনো শব্দ নেই। তার কথা একবার পারনি, চেষ্টা করে দেখবে সফলতা আসবেই। কষ্ট লাগে এমন গুণী কোচকে আমরা রাখতে পারিনি। মাদ্রাজ সাফ গেমসে ফাইনালে ভারতের কাছে ০-১ গোলে হারার পর তাকে ব্যর্থ বলে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি বলব সেই থেকে জাতীয় দলের বিপর্যয় নেমে এসেছে। ফিস্টারকে ব্যর্থ বলা হয়েছে অথচ তাঁরই প্রশিক্ষণে ফুটবলে দুর্বল দেশগুলো বিশ্বকাপ খেলেছে।

ফিস্টারের প্রসঙ্গটা এলো আমাদের ফুটবলে বেহাল দশার কারণে। আমরা আফসোস করি এক সময়ে যে মালদ্বীপ ও নেপাল পাত্তাই পেত না তাদেরকে হারানোটাই স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। আরে ভাই ওরাতো আর আলাদিনের চেরাগ পায়নি যে রাতারাতি বদলে গেছে। বুদ্ধি খাঁটিয়ে পরিকল্পনা এঁকেছে। ওরা ঘন ঘন কোচ বদল করেনি। নেপালে এমনও কোচ ছিলেন যিনি টানা ৭ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। মালদ্বীপও সেই পথ বেছে নিয়েছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ তো কোচ বদলে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। আজ এই কোচ তো কাল আরেক কোচ। এত বদলে ফুটবলাররা তো শেখার কিছু পারছে না। মালদ্বীপের কাছে হারার পর এখনো ফাইনাল খেলার সুযোগ আছে বাংলাদেশের। শেষ ম্যাচে নেপালকে হারাতেই হবে। নেপাল এমন শক্তিশালী নয় তাদের বিপক্ষে খেলতে ভয় পাবে। অস্কার  ব্রুজোনের মতো গুণী কোচ এই চ্যালেঞ্জ ভালোমতো নেবেন। মন থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে সব হতাশা। ফাইনালে ওঠলে চ্যাম্পিয়নের সুযোগ থাকবে। যা দুর্যোগপূর্ণ ফুটবলে খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর