শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

এ আফসোস ভুলব কীভাবে

মনের কষ্টে ফুটবল নিয়ে সমালোচনা করি। কিন্তু এবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ছেলেদের কৌশলী খেলা দেখে ভালোই লাগছিল। গতকাল ছিল নেপালের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াই। জিতলেই ফাইনালে। নেপাল শক্তিশালী প্রতিপক্ষ, তবুও কেন জানি মন বলছিল বাংলাদেশ জিতবে। আশায় চোখ ফেলে রাখি টি-স্পোর্টসের দিকে। আট মিনিটেই উল্লাসে ফেটে পড়ি। আমি নিশ্চিত পুরো বাংলাদেশই তখন উচ্ছ্বাসে ভাসছিল। জামাল ভূঁইয়ার ফ্রিকিক থেকে সুমন রেজার ব্যাক হেডে বল জালে জড়ালে আনন্দে আমি কেঁদেও ফেলি। তাহলে সত্যিই কি আমরা ফাইনাল খেলতে যাচ্ছি? ২০০৫ সালের পর আর ফাইনাল খেলেনি বাংলাদেশ। টানা চার আসর গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়।

ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হয়ে বাংলাদেশ সাফের ফাইনাল খেলবে। এর চেয়ে বড় আনন্দ আর কি হতে পারে। সময় গড়াচ্ছিল আর বার বার আমি ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকাচ্ছিলাম। কখন বাজবে সেই শেষের বাঁশি। প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে নিরাপদ স্থানে থাকতে পারতাম। সুমন রেজা যে শট উঁচু করে মারলে বল জালে জড়ায় তা তুলে দিল গোলরক্ষক কিরণের হাতে।

প্রথমার্ধে এগিয়ে থাকার পর আশাটা আরও জেগে উঠছিল। নেপাল গোল শোধে মরিয়া হয়ে আক্রমণ চালালেও গোলরক্ষক জিকো ও ডিফেন্ডারদের দৃঢ়তায় নসাৎ হয়ে যাচ্ছিল। সব ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু হঠাৎ কী থেকে কী হয়ে গেল তা ভাবতেই পারছি না। জিকো লালকার্ড পেল। তা না হয় মানলাম, কিন্তু ৮৭ মিনিটে উজবেকিস্তানের রেফারি রিসকুল্লা বিশ্বনাথের ফাউল ধরেন কীভাবে? পেনাল্টি পেয়ে নেপাল গোল শোধ করে ফাইনালে উঠে গেল। জানি না রেফারি কি আগে থেকেই এ সিদ্ধান্ত নিয়ে এসেছিলেন কি না নেপালকে বাঁচাতে হবে। সত্যিই ট্র্যাজিক বিদায়। তীরে এসে তরী ডুবালেন রেফারি। এ আফসোস ভুলি কীভাবে?

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর