বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

‘বুড়ো’মালিকের বাজিমাত

ক্রীড়া প্রতিবেদক

‘বুড়ো’মালিকের  বাজিমাত

‘বয়স একটি সংখ্যা মাত্র’- প্রবাদটি এতোদিন উচ্চারিত হয়েছে ক্যারিবীয় ড্যাসিং ক্রিকেটার ক্রিস গেইলের নামের পাশে। এখন কথাটি বেশ মানিয়ে যাচ্ছে শোয়েব মালিকের সঙ্গে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে ৪০ বছরে পা রাখবেন শোয়েব। টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সবচেয়ে বয়স্ক ক্রিকেটারটি সবচেয়ে ফিট ক্রিকেটারও। চলতি বিশ্বকাপের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারটি পরশু রাতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চাপে থাকা পাকিস্তানকে উপহার দিয়েছেন দুরন্ত এক জয়। দেখিয়েছেন চাপের মুখে ‘বুড়ো হাড়ের ভেলকি’। খেলেছেন ২০ বলে ২৬ রানের অপরাজিত ইনিংস। সাদা চোখে ইনিংসটি টি-২০ ক্রিকেটে আহামরি কিছু নয়। কিন্তু ১৩৫ রানের টার্গেটে ৮৭ রানে ৫ উইকেট হারানো দলের জন্য ইনিংসটির মূল্য আকাশসমান।

টি-২০ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগই ছিল না শোয়েবের। শেষ মুহূর্তে সুযোগ পান একজনের ইনজুরিতে। সুযোগ পেয়েই বাজিমাত। চিরস্থায়ী হন টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট ইতিহাসের সোনালি পাতায়। তিনিই পাকিস্তানের একমাত্র ক্রিকেটার, যিনি ২০০৭-২০২১, ১৪ বছরে সাতটি টি-২০ বিশ্বকাপ খেলেছেন। ১৯৯৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শোয়েবের অভিষেক। তার বিশ্বকাপ সতীর্থ শাহীন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, হায়দার আলির তখন জন্মই হয়নি। অধিনায়ক বাবর আজমের বয়স তখন পাঁচ। এসব তরুণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এখনো ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলছেন।

টি-২০ বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার ঘরোয়া টি-২০ ক্রিকেটে সিন্ধের বিপক্ষে ৪৭ বলে ৮ চার ও ৫ ছক্কায় ৮৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে নির্বাচকদের চাপে ফেলেন। এরপর পিসিবি সভাপতি রমিজ রাজার অনুরোধে শেষ মুুহূর্তে সুযোগ পান। সুযোগ পেয়েই বুঝিয়ে দেন ‘পুরনো চাল ভাতে বাড়ে’- প্রবাদটির সত্যটা। ১৯৯৯ সালে শারজাহতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক অভিষেক। এরপর দেশকে নেতৃত্বও দিয়েছেন। ২০০৬ টি-২০ অভিষেক। ২০০৯ সালে চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্যও ছিলেন। নিউজিল্যান্ড ম্যাচ পর্যন্ত তিনি ১১৮

টি-২০ ম্যাচে রান করেছেন ২৩৬১। সেঞ্চুরি না থাকলেও হাফসেঞ্চুরির ইনিংস রয়েছে ৮টি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর