সোমবার, ২২ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ওপেনিংয়ে নতুন মুখ

টি-২০ বিশ্বকাপে যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্স হলেও ঘরের মাটিতে সিরিজ জিতেছিল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ও রানার্সআপ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। টানা তিন সিরিজ জয়ের পর এবার হারল পাকিস্তানের কাছে। আজ পারবে তো হোয়াইটওয়াশ এড়াতে?

ক্রীড়া প্রতিবেদক

টি-২০ বিশ্বকাপে টানা পাঁচ হার। শুধু তাই নয়, প্রথম রাউন্ডে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধেও হার। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদদের এমন যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্সের পর গোটা দলই পাল্টে ফেলেছে বিসিবি। বিশ্বকাপের ধাক্কা সামলে ঘরের মাঠে পাকিস্তান সিরিজে ঘুরে দাঁড়াতে ছন্দহীনদের বাদ দিয়ে স্কোয়াডে নেয় বেশ কয়েকজন নতুন মুখ। কিন্তু তাতেও কিছু হচ্ছে না। হারের বৃত্ত থেকে বের হতেই পারছে না। আজ তিন ম্যাচ সিরিজের শেষটি মাঠে গড়াচ্ছে। কিন্তু তার আগেই সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। ব্যাটারদের বাজে পারফরম্যান্সে দুই ম্যাচে লড়াই করতে পারেনি। বিশেষ করে দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও মোহাম্মদ নাঈমের পারফরম্যান্স গোটা দলকে ভোগাচ্ছে। আজ তৃতীয় ম্যাচে সাইফকে বদলে নেওয়া হয়েছে ১৯ বছর বয়স্ক তরুণ বাঁ হাতি ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনকে। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান ইমনকে সিরিজের শুরু থেকে দেখা যেত ধারণা করা হয়েছিল। আজকের ম্যাচে

শুধু পারভেজ ইমনকেই নয়, নেওয়া হয়েছে ডান হাতি ফাস্ট বোলার কামরুল ইসলাম রাব্বিকেও। ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজুর রহমানের ইনজুরিতে সুযোগ পেয়েছেন রাব্বি।

দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল নেই। তাই টি-২০ বিশ্বকাপে নতুন বলে দলের ভরসা ছিলেন লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। কিন্তু দুজনেই পুরোপুরি ব্যর্থ। লিটন মাঝে মধ্যে রান করলেও সৌম্যের ব্যাট কথাই বলছিল না। তখন ভরসা হয়ে উঠেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। বিশ্বকাপে ২টি হাফসেঞ্চুরি করলেও ধারাবাহিকতা ছিল না তার। বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচে ১১০.২ স্ট্রাইক রেটে রান করেন ১৭৪। সর্বোচ্চ ৬৪। লিটন ৮ ম্যাচে রান করেন ১৩৩। সর্বোচ্চ ৪৪। কিন্তু লিটনের পারফরম্যান্সে মন ভরেনি নির্বাচক প্যানেলের। শুধু লিটন নয়, বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন সৌম্যও। ধারাবাহিক না হলেও টিকে যান নাঈম। লিটন ও সৌম্য বাদ পড়েন। নাঈমের সঙ্গে অভিষেক হয় সাইফের। কিন্তু দুই ম্যাচে হয়েছেন পুরোপরি ব্যর্থ। প্রথম ম্যাচে ১ রান করেন। দ্বিতীয়টিতে সাজঘরে ফিরেন প্রথম বলেই। দুই ম্যাচে সাইফ বল খেলেন মাত্র ৯টি। ওপেনিং জুটিতে নাঈমের সঙ্গে সর্বোচ্চ রান ৩। প্রথম ম্যাচে ওপেনিং জুটির স্থায়িত্ব ছিল ১.১ ওভার। দ্বিতীয় ম্যাচের ওপেনিং জুটিতে ১ রান করেন দুজনে। স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ৫ বল।

ওপেনিং জুটির ব্যর্থতা ধাক্কা সামলাতে আজ হয়তো নাঈমের সঙ্গে খেলতে দেখা যাবে পারভেজ ইমনকে। যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ইমন এখন পর্যন্ত ২৪ টি-২০ ম্যাচে ২৪.৪৭ গড়ে রান করেছেন ৫৬৩। সেঞ্চুরি একটি ও হাফসেঞ্চুরি দুটি। স্ট্রাইক রেট ১২৩.৭৩। হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে বাজি হতে পারেন পারভেজ ইমন। খেলতে পারেন রাব্বি।      

প্রথম ম্যাচে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৭ করেছিল বাংলাদেশ। সফরকারী পাকিস্তান ম্যাচটি জিতেছিল ১৯.২ ওভারে। দ্বিতীয় ম্যাচে আরও বাজে ব্যাটিং করেন টাইগাররা। ২০ ওভারে রান করে মাত্র ১০৮ রান। সেটা পাকিস্তান টপকে যায় ১১ বল হাতে রেখে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে। টি-২০ বিশ্বকাপে যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্স হলেও ঘরের মাটিতে সিরিজ জিতেছিল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ও রানার্সআপ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। টানা তিন সিরিজ জয়ের পর এবার হারল পাকিস্তানের কাছে। আজ পারবে তো হোয়াইটওয়াশ এড়াতে?

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর