শিরোনাম
শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

এবার শুরু টেস্ট লড়াই

মুশফিকের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

এবার শুরু টেস্ট লড়াই

বাংলাদেশ সর্বশেষ টেস্ট খেলেছে জুলাইয়ে। হারারে টেস্ট জিতেছিল বাংলাদেশ। ওই টেস্টে খাঁদের কিনারায় দাঁড়িয়ে থাকা দলকে ১৫০ রানের ইনিংস খেলে টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ের পর অভিমানে বিদায় বলেন সাদা পোশাকের টেস্ট ক্রিকেটকে।

হারারে টেস্ট খেলেছিলেন দেশসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। ব্যাটিংয়ে না হলেও আলো ছড়িয়েছিলেন বোলিংয়ে। টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে আহত হন স্পিন অলরাউন্ডার। সেজন্য খেলেননি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজ। শুরুতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট স্কোয়াডে ছিলেন। কিন্তু ফিটনেস পরীক্ষায় বাদ পড়েন। ফলে আজ চট্টগ্রাম টেস্টে নামা হচ্ছে না।

চলতি বছরের এপ্রিলে সর্বশেষ টেস্ট খেলেন তামিম ইকবাল। জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাদা পোশাকে না খেললেও রঙিন পোশাকে ওয়ানডে সিরিজে নেতৃত্ব দেন তিনি। ওয়ানডে সিরিজের পর থেকে বাংলাদেশের হয়ে আর মাঠে নামেননি দেশসেরা ওপেনার তামিম।

দেশের সবচেয়ে সফল ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বাংলাদেশের হয়ে সর্বশেষ খেলেন গত বছরের মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। টেস্ট খেলেন ২০০৯ সালে। আনুষ্ঠানিক অবসর না নিলেও তিনি আর খেলছেন না জাতীয় দলে। 

মুশফিকুর রহিম টি-২০ বিশ্বকাপ খেলেছেন। কিন্তু ফর্মহীনতায় সুযোগ পাননি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে। দেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ও সিনিয়র ক্রিকেটারকে পুনরায় ফেরানো হয়েছে টেস্ট সিরিজে। বাংলাদেশের হয়ে জুলাইয়ে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন মুশফিক।

বাংলাদেশের জার্সি পরে এই পাঁচ ক্রিকেটার এক সঙ্গে সর্বশেষ খেলেছেন ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে। একত্রে টেস্ট খেলেছিলেন ২০০৯ সালে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষেই। পঞ্চ পা-বের মধ্যে মাশরাফি জাতীয় দলের বাইরে। টি-২০ অধিনায়ক হলেও টেস্টকে বিদায় জানিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ। ইনজুরিতে ভুগছেন সাকিব ও তামিম। আজ শুরু টেস্টে পঞ্চ পা-বের একমাত্র প্রতিনিধি ৭৫ টেস্টে ৪৬৯৬ রান করা মুশফিক। শক্তিশালী পাকিস্তানের বিপক্ষে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব, তামিম, মাহমুদুল্লাহদের অভাব অনুভব করবেন টাইগারদের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক, ‘অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের ছাড়া খেলা অনেক চ্যালেঞ্জিং।’

মাশরাফি ছাড়া বাকি চার ক্রিকেটার এখনো প্রতিনিধিত্ব করছেন দেশকে। চার ক্রিকেটার একত্রে পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ খেলেছেন ২০১৫ সালে মিরপুরে। ২০১১ সালে চার ক্রিকেটার একত্রে খেলেছিলেন চট্টগ্রাম টেস্টেও। ১০ বছরের পর পাকিস্তান পুনরায় টেস্ট খেলবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। মুশফিক ছাড়া বাকি তিনজনই এখন এই টেস্টের দর্শক। পাকিস্তানের শক্তিশালী বোলিং অ্যাটাকের বিপক্ষে মুমিনুল বাহিনীকে লড়তে হবে একমাত্র সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিককে নিয়ে। চট্টগ্রামে সফল ব্যাটারদের মধ্যে অন্যতম মুশফিক। জহুর আহমেদে সবচেয়ে সফল ব্যাটার মুমিনুল। ১০ টেস্টের ১৯ ইনিংসে ৭৪.৮১ গড়ে তার রান ১১৯৭। সেঞ্চুরি ৭টি এবং সর্বোচ্চ ১৮১ রান। মুশফিকের রান ১৭ টেস্টের ৩১ ইনিংসে ১১৯৪। সেঞ্চুরি একটি এবং হাফসেঞ্চুরি ৭টি। ছন্দে না থাকলেও অভিজ্ঞ মুশফিকের ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে গোটা দল। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে সাবেক অধিনায়কের টেস্ট পারফরম্যান্স আহমরি নয়। চলতি বছর ৫ টেস্টে হাফসেঞ্চুরি তার ২টি। সর্বোচ্চ ৬৮ ও অপরটি ৫৪। হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলেছিলেন ১১ রানের ইনিংস।

ছন্দে নেই মুশফিক। তারপরও শক্তিশালী পাকিস্তানের বিপক্ষে মুমিনুলের ভরসা মুশফিক। গতকাল নির্বাচক প্যানেল হঠাৎ করেইুুপেস অ্যাটাকে আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি, এবাদত হোসেন ও রেজাউর রহমান রাজার সঙ্গে সংযুক্ত করেছেন  সৈয়দ খালেদ আহমেদ, শহিদুল ইসলামকে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর