বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

রেকর্ডের দিনে ম্যাচ বাঁচাতে পারলেন না সাকিব

ক্রীড়া প্রতিবেদক

রেকর্ডের দিনে ম্যাচ বাঁচাতে পারলেন না সাকিব

সময়ের হিসাবে মাত্র ২৪ মিনিট। বলের সংখ্যা ৩৪। কিন্তু এই সময়টুকুও বলগুলো মোকাবিলায় পুরোপরি ব্যর্থ হয়েছে মুমিনুল বাহিনী। সাজিদ খানের স্পিন ঘূর্ণিতে বিপর্যস্ত হয়ে ইনিংস ও ৮ রানে হেরে হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে অপরাপর ব্যাটাররা প্রত্যয়ী ব্যাটিং করলে হয়তো টেস্ট ড্র হতো। কিন্তু ব্যাটারদের ব্যর্থতায় পারেনি এমন টেস্ট বাঁচাতে। অথচ টেস্টের পাঁচ দিনের আড়াই দিনই ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। হারলেও টেস্টটি বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিবের জন্য বিশেষ কিছু। ইংলিশ কিংবদন্তির অলরাউন্ডার ইয়ান বোথামকে পেছনে ফেলে দ্রুততম ৪ হাজার রান ও ২০০ উইকেট।  

বৃষ্টিতে ২-৩ দিন ভেসে যাওয়া টেস্ট এবারই প্রথম হারেনি বাংলাদেশ। ২০০১ সালে হ্যামিল্টনে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছিল। প্রথম দুই দিন ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। ঘরের মাঠেও এমন লজ্জার হার রয়েছে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের ওই টেস্টের পঞ্চম দিন বৃষ্টি বাঁধায় পড়েছিল। বৃষ্টির পর টেস্ট বাঁচাতে মুমিনুল বাহিনীর হাতে ছিল ১৮.৩ ওভার। কিন্তু বিশ্বসেরা লেগ স্পিনার রশিদ খানের ঘূর্ণিতে ৩.২ ওভার আগে আলআউট হয়ে হেরে যায় ২২৪ রানে। রশিদ নিয়েছিলেন ১১ উইকেট। মিরপুর টেস্টের প্রথম দিন ৫৭ ওভার, দ্বিতীয় দিন মাত্র ৬.২ ওভার এবং তৃতীয় দিন খেলা হয়নি। তিনদিনে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ১৮৮ রান। চতুর্থ দিন আরও ৩৫.১ ওভার ব্যাট করে ৪ উইকেটে ৩০০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। ব্যাটিংয়ে নেমে সাজিদের ঘূর্ণিতে ২৬ ওভারে ৭ উইকেটে ৭৬ রান তুলে ফলোঅনের শংকায় পড়ে টাইগাররা। গতকাল অলআউট হয় ৮৭ রানে। ঘরের মাঠে যুগ্মভাবে সর্বনিম্ন স্কোর। আগের সর্বনিম্ন স্কোর ৮৭, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ফলোঅনে পরে সাজিদের স্পিনে আবারও নাকাল হয়ে অলআউট হয় ২০৫ রানে। সাকিব লড়াই করে আউট হন ৬৩ রানে। প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ৩৩ রান। ১২৮ রানে ১২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন সাজিদ। 

পাকিস্তান : ৩০০/৪ (ডি.)। বাংলাদেশ : ৮৭ ও ২০৫

ফল : পাকিস্তান ইনিংস ও ৮ রানে জয়ী।

ম্যাচসেরা : সাজিদ খান, সিরিজ সেরা : আবিদ আলী।

সর্বশেষ খবর