শুক্রবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ভারত-পাকিস্তান লড়াইয়ের উত্তেজনাই আলাদা

অনেকে বলেন, হকিতে ভারত ও পাকিস্তানের উত্তেজনা আগের মতো নেই। আমি এর সঙ্গে কোনোভাবেই একমত নই। ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে অনেকদিন ধরে জড়িয়ে আছি। এক সময়ে প্রথম বিভাগ লিগে হকি খেলেছি। বর্তমানে হকি ফেডারেশনের একজন সহ-সভাপতি। ফুটবল ও ক্রিকেটকেও ভালোবাসি। তবে হকির প্রতি বরাবরই আলাদা টান আছে। বলতে পারেন হকির সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক। বাংলাদেশের কিংবদন্তি হকি খেলোয়াড় আবদুস সাদেক ভাইয়ের খেলা দেখেই অনুপ্রাণিত হয়েছি। যাক উত্তেজনা নিয়ে শুরু করেছিলাম সে প্রসঙ্গেই আসছি। ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তানের লড়াইয়ে উত্তেজনাই আলাদা। তাই বলেতো হকিকে ফেলে দেওয়া যাবে না। বিশ্বকাপ কিংবা অলিম্পিক গেমসে দুই দেশ দীর্ঘদিন ধরে শিরোপা পাচ্ছে না। তারপরও হকিতে ভারত ও পাকিস্তানের লড়াইয়ে উন্মাদনা ঠিকই রয়েছে।

আজ এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত ও পাকিস্তান মুখোমুখি হচ্ছে। অনেকের প্রশ্ন ১৯৮৫ সালে ঢাকায় দুই দেশের ফাইনাল ঘিরে যে উন্মাদনা জেগেছিল আজ তার দেখা মিলবে কি? হয়তো ১৯৮৫ সালে তৎকালীন ঢাকা স্টেডিয়ামের মতো ভাসানী স্টেডিয়ামে দর্শক সমাগম হবে না। তবে মাঠের লড়াইয়ে ঠিকই উত্তেজনা ছড়াবে। কেননা খেলা হলেও ম্যাচে দুই দেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে যুদ্ধভাব চলে আসে। ১৯৬৫ সালে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ হওয়ার পর থেকেই হকিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আর হবেই না কেন? তখনতো হকি বলতে ভারত-পাকিস্তানকেই বোঝাতো। বিশ্বকাপ কিংবা অলিম্পিকে সব কিছুতে দুই দেশের ছিল আধিপত্য।

তখন উপমহাদেশে বিশ্বকাপ ফুটবলের চেয়েও হকির বিশ্বকাপের জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। ভারত-পাকিস্তানে কত যে বিখ্যাত খেলোয়াড় তৈরি হয়েছে তা বুড়ো বয়সে হিসাব করে বলতেও পারব না। বাংলাদেশিদের বড় গর্ব সাদেক ভাই। নানা ষড়যন্ত্রের মধ্যদিয়েও একমাত্র বাঙালি খেলোয়াড় হিসেবে তৎকালীন পাকিস্তান জাতীয় দলে দাপুটের সঙ্গে খেলেছেন। যাক যতই উত্তেজনার কথা বলি না কেন আজকের এশিয়ার দুই জায়ান্টের লড়াই শান্তিপূর্ণ হোক এটাই প্রত্যাশা।

সর্বশেষ খবর