শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বসুন্ধরা-আবাহনী শিরোপা লড়াই

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বসুন্ধরা-আবাহনী শিরোপা লড়াই

ফুটবলে নতুন মৌসুমে সেরা দল গড়েছে বসুন্ধরা কিংস ও ঢাকা আবাহনী। সেরা দুই দল প্রত্যাশা অনুযায়ী রিভিয়া স্বাধীনতা কাপে ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে আজ। কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি শুরু হবে বিকাল সাড়ে ৫টায়। কে হবে চ্যাম্পিয়ন। ২০১৮-১৯ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন হয় বসুন্ধরা। আবাহনী ১৯৯০ সালে। দুই দলের দ্বিতীয়বার ট্রফি জেতার সম্ভাবনা রয়েছে। শক্তির বিচারে আজ কাউকে ফেবারিট বলা যাবে না। সব পজিশনে ভালো মানের খেলোয়াড় রয়েছে। তবে অতীত রেকর্ড বসুন্ধরাকে অনুপ্রেরণা জোগাতে পারে। এ পর্যন্ত দুই দলের ছয় লড়াইয়ে বসুন্ধরা জিতেছে চারবার। অন্যদিকে আবাহনী একবার। বাকি একটি ড্র হয়েছে।

২০১৮-১৯ সালে অভিষেক আসরেই বসুন্ধরা ফেডারেশন কাপ ফাইনাল খেলেছিল আবাহনীর বিপক্ষে। সে ম্যাচে জয়ী হয় আবাহনী। আজ দুই দল দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনাল খেলছে। বিজয়ের মাসে কে যে বিজয়ের উৎসব করবে বলা মুশকিল। আবাহনী সেমিফাইনালে সাইফকে ২-০ গোলে হারলেও ফাইনালে উঠতে বসুন্ধরাকে বেশ বেগ পেতে হয়। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র থাকে। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের ম্যাচে একেবারে শেষের দিকে ইয়াসিন আরাফাত জালে বল পাঠিয়ে স্বস্তির বিজয় এনে দেয় বসুন্ধরাকে।

স্বাধীনতা কাপে বিদেশিদের পাশাপাশি স্থানীয় ফুটবলাররাও জ্বলে উঠছেন। তারপর আজকের ফাইনালে দুই দলের ভাগ্য নির্ভর করছে বিদেশিদের ওপর। বসুন্ধরার দুই ব্রাজিলিয়ান রবসন রবিনহো ও ফার্নান্দেজ এবারও দলের প্রাণ ভোমরা। তবে সেমিতে ইনজুরির শিকার হয়ে জনাথন আজকের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেলতে পারবেন না। বসনিয়ার স্ট্রোয়ান ব্রানিয়াস অভিষেক ম্যাচে জোড়া গোল করলেও পরবর্তীতে নিজেকে তেমনভাবে মেলে ধরতে পারছেন না। শিরোপা জিততে হলে তাকে জ্বলে উঠতে হবে। ইব্রাহিম, বিপলু, মতিন মিয়াও ভালো খেলছেন। তপু বর্মণ ইনজুরিতে মাঠের বাইরে থাকলেও খালিদ শাফি ও ফাহাদ দায়িত্ব নিয়েই খেলছেন। তবে রক্ষণে মূল ভরসা গোলরক্ষক জিকোই। প্রতি ম্যাচেই তিনি অসাধারণ সব সেভ করছেন।

আবাহনী আজ চার বিদেশি নিয়েই মাঠে নামবে। তবে চোখ থাকবে কোস্টারিকান ড্যানিয়েল কলিন ড্রেসের ওপর। বসুন্ধরার হয়ে ঢাকার মাঠে তার অভিষেক হলেও এবার আবাহনীতে খেলছেন। প্রথম ম্যাচে নিষ্ক্রিয় থাকলেও পরবর্তীতে তিনিই ত্রাণকর্তা। নিজে গোল করছেন সতীর্থদের করাচ্ছেন। তার দিকে আলাদা নজর রাখতেই হবে।

ইনজুরি কাটিয়ে নাবিব নেওয়াজ জীবনও নজর কাড়ছেন। সব মিলিয়ে ফাইনারে দুদলই সমানে সমান। কে হাসবে বিজয়ের হাসি সেটাই দেখার অপেক্ষা।

সর্বশেষ খবর