রবিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

নতুন বছরে নতুনত্বের প্রতীক্ষা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

নতুন বছরে নতুনত্বের প্রতীক্ষা

বছর আসে বছর যায়। তবুও ফুটবলে একঘেয়েমি দূর হয় না। পেশাদার লিগ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ফেডারেশনকাপ ঘিরে মূলত ঘরোয়া আসর সীমাবদ্ধ। স্বাধীনতা কাপ ও নারী লিগ পঞ্জিকায় থাকলেও তা নিয়মিত হয় না। বাফুফেকে ধন্যবাদ দিতে হয় অনিয়ম থেকে বের হয়ে টানা দুই মৌসুম নারী লিগ মাঠে গড়িয়েছে। তবে আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। অংশগ্রহণ দলের সংখ্যা খুব কম। বসুন্ধরা কিংসই নারী লিগে নতুনত্ব এনেছে। সেরা দল গড়ে যেমন সাফল্যে ভেসেছে, তেমনি লিগের আকর্ষণও বেড়েছে। নারী ফুটবলারদের বড় ধরনের আয়ের উৎস তৈরি করে দিয়েছে। লিগের গুরুত্ব বাড়াতে দলের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এ উদ্যোগটা নিতে হবে ফুটবল ফেডারেশনকে।

এবার মৌসুমের শুরুটা হয় স্বাধীনতা কাপ দিয়ে। তাও এ টুর্নামেন্ট নিয়মিত নয়। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে সময় বুঝে টুর্নামেন্টটি মাঠে গড়াচ্ছে না। ১৯৭২ সালে স্বাধীনতা কাপ মাঠে গড়িয়েছিল মার্চ মাসেই। ফাইনাল হয় ২৬ মার্চ। এরপর স্বাধীনতার মাসকে আর গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের কথা না বললেই নয়। ১৯৯৯ সালে জাতির জনকের নামকরণে দ্বিতীয় আসর হয়। বিস্ময় হলেও সত্য যে ১৬ বছর অপেক্ষার পর ২০১৫ সালে তৃতীয় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ মাঠে গড়ায়। এরপর আবারও অনিয়মিত। গত বছর তো বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ মাঠেই গড়ায়নি। বাফুফে বলছে করোনার কারণে তা সম্ভব হয়নি। আরেক বিষয় না বললেই নয় জাতির জনকের নামে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। অথচ কখনো বড় দেশ বা বড় কোনো দলের দেখা মেলেনি। কোনো নতুনত্ব নেই। ইউরোপের দলগুলোতো আগে প্রেসিডেন্ট কাপে খেলতে আসত। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে তাহলে দেখা মিলবে না কেন? বাফুফের সহসভাপতি ইমরুল হাসান বলেন, নতুন বছর ফুটবলে চ্যালেঞ্জের বছর। ফুটবল জাগাতে নতুনত্ব আনতে হবে। দুর করতে হবে একঘেয়েমি।

সর্বশেষ খবর