সোমবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

আবাহনীই চ্যাম্পিয়ন

ক্রীড়া প্রতিবেদক

আবাহনীই চ্যাম্পিয়ন

যোগ্য দলই যোগ্যতার পুরস্কার পেয়েছে। ঐতিহ্যবাহী ঢাকা আবাহনীই ফেডারেশন কাপের হারানো ট্রফি উদ্ধার করেছে। দ্বিতীয়বার আসরের ফাইনালে উঠেও পারল না পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জ। হলো না ঘরোয়া ফুটবল ইতিহাসে প্রথম ট্রফি জয়। আবারও রানার্সআপ হয়েই মাঠ ছাড়ল তারা। গতকাল কমলাপুর বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনালে ২-১ গোলে রহমতগঞ্জকে হারিয়ে ১২ বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো আবাহনী। স্বাধীনতা কাপ জিতেই মৌসুম শুরু করে। এরপর ফেডারেশন কাপ। দুই শিরোপা জিতে আত্মবিশ্বাসটা বেড়ে গেল লেমোসের শিষ্যদের। এখন অপেক্ষা পেশাদার লিগে হারানো ট্রফি উদ্ধার করে ট্রেবল জেতা।

আবাহনী ম্যাচে ফেবারিট হলেও গতকাল রাফায়েল ও ডরিয়েলটনকে ছাড়াই ফাইনালে নামে। ভরসা ছিল ড্যানিয়েল কলিনড্রেস। শেষ পর্যন্ত তিনিই ছিলেন জয়ের নায়ক। বসুন্ধরা কিংস কে শিরোপা জেতানোর পর আবাহনীকেও উৎসবে মাতালেন। প্রমাণ করলেন তিনিই সেরা। যাক রহমতগঞ্জ ট্রফি না জিতলেও ফাইনালে তারা সমানতালে লড়েছে। প্রথম ২০ মিনিটে দাপটের সঙ্গে খেলেছে। ফিলিপ ও সানডে সুযোগ হাত ছাড়া না করলে তারাই এগিয়ে যেতে পারত। অন্যদিকে আবাহনীর আক্রমণের উৎস্য ছিলেন কলিনড্রেসই। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নাবীব নেওয়াজ জীবন ও রাকিব জালে বল পাঠাতে পারছিলেন না। রেফারি যখন প্রথমার্ধের শেষ বাঁশি বাজাবেন তখুনি গোল করে বসেন কলিনড্রেস।

দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে রহমতগঞ্জ। ফিলিপ ও সানডে সুযোগ পেয়েও সমতা ফেরাতে পারছিলেন না। অবশ্য আবাহনীর গোলরক্ষক সোহেলের দৃঢ়তার কথা না বললেই নয়। তিনি  নিশ্চিত দুটি গোল রক্ষা করেন। আবাহনীর রাকিব গোল করে ব্যবধান বাড়ান। ফিলিপ ব্যবধান ১-২ করলেও শেষ পর্যন্ত কুলিয়ে উঠতে পারেনি রহমতগঞ্জ। চ্যাম্পিয়ন হয়ে আবাহনীর খেলোয়াড়, কোচ কর্মকর্তা ও সমর্থকরা উৎসবে মেতে ওঠেন। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল পুরস্কার তুলে দেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর