টেস্টে দারুণ ফর্মে রয়েছেন লিটন কুমার দাস। নিউজিল্যান্ড সফরে শেষ ম্যাচে দুর্দান্ত একটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। বাংলাদেশের ইতিহাস গড়া মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টেও দাপট দেখিয়েছেন। মাত্র এক ইনিংসে ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়ে করেছেন ৮৬ রান।
এর আগের সিরিজে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টাইগাররা হোয়াইটওয়াশ হলেও হেসেছে লিটনের ব্যাট। দুই টেস্টে একটি সেঞ্চুরি ও একটি হাফ সেঞ্চুরি আছে তার।
এই মুহূর্তে টেস্টে বাংলাদেশের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটারও তিনি। নিয়মিত রান করায় ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা আইসিসিও তাকে পুরস্কৃৃত করেছে।টেস্ট ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ার সেরা ১৫তম অবস্থানে এখন লিটন দাস। তার রেটিং পয়েন্ট ৬৮৩। সর্বোচ্চ রেটিং নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে তিনিই সেরা। এরপরই রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। মিস্টার ডিপেন্ডেবলের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। তার প্রভাব পড়েছে র্যাঙ্কিংয়েও। তিনি এখন রয়েছেন ২৫তম স্থানে।
অধিনায়ক মুমিনুল হক ও ড্যাসিং ওপেনার তামিম ইকবাল রয়েছেন এরপর। তাদের র্যাঙ্কিং পজিশন ৩৭। দুজনের রেটিং সমান ৫৮১ করে।
নিউজিল্যান্ড সফরে যাননি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ছুটিতে থাকায় তিনি আরও পিছিয়ে পড়েছেন। আইসিসির র্যাঙ্কিংয়ে এখন তিনি ৪০তম স্থানে। সাকিবের রেটিং পয়েন্ট ৫৬৬।
টি-২০ ও ওয়ানডেতে সাম্প্রতিক লিটন দাসের পারফরম্যান্সের গ্রাফটা নিয়মিত ওঠা-নামা করছে। কিন্তু টেস্টে তিনি দুর্দান্ত। মিডল অর্ডারে বাংলাদেশের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যাট করতে নেমেও নির্ভীকভাবে ব্যাটিং করার দারুণ ক্ষমতা আছে তার।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে তার ক্যারিশম্যাটিক সেঞ্চুরিটাই সাক্ষ্য দিচ্ছে। বাংলাদেশের অন্য ব্যাটসম্যানদের ওপর যখন কিউই পেসাররা চড়াও হয়েছেন তখন লিটন বাইশগজে গিয়ে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে দেন। তিনি সফলও হয়েছেন। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক তুলে নেন।
টেস্টে লিটনের শেষ ১০ ইনিংসের দিকে তাকালেই অনেক কিছু পরিষ্কার হয়ে যায়। দুটি সেঞ্চুরিই এই সময়ের মধ্যে। এমনকি আরও দুটি সেঞ্চুরির সম্ভাবনা ছিল। এক ইনিংসে ৯৫-এ আউট হয়েছে, আরেকটি তো মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ৮৬-তে আটকে গেছেন।