সাকিবই কি বরিশালের ‘ফরচুন’
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন সাকিব আল হাসান। ক্রিস গেইল, ডোয়াইন ব্রাভো, মুজিব উর রেহমান, ফাফ ডু প্লেসিসদের মতো তারকা ক্রিকেটার থাকার পরও সাকিব বিপিএলের সবচেয়ে বড় তারকা। বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার এই প্রথম খেলছেন ফরচুন বরিশালে। দলও তাঁর ওপর আস্থা রেখেছে। সাকিব ছাড়াও দলে রয়েছেন গেইল, ব্রাভো, মুজিব, নাজমুল শান্ত, সোহানের মতো তারকা ক্রিকেটার। এমন একটি দল নিয়ে অনেক দূর যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব, ‘দেশের ক্রিকেটারদের জন্য বড় একটা সুযোগ। বড় একটা মঞ্চ নিজেদের মেলে ধরার ও পারফরম্যান্স দেখিয়ে জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়ার। আমি বিশ্বাস করি এখান থেকে দুই কিংবা তিনজন নতুন ক্রিকেটার পাব আমরা, যারা টি-২০ ফরম্যাটে অন্তত জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে।’
তিন পাণ্ডবের দল ঢাকা
বাংলাদেশ ক্রিকেটের পঞ্চপাণ্ডবের তিন পাণ্ডবই খেলবেন মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকায়। টাইগারদের বর্তমান টি-২০ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ঢাকার অধিনায়ক। এ দলে ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল ছাড়াও রয়েছেন দেশের সবচেয়ে সফল ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। এ ছাড়া দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন এমন ক্রিকেটারের সংখ্যাও কম নয়। এমন একটি অভিজ্ঞ দল নিয়ে খুশি দলনায়ক মাহমুদুল্লাহ। তবে ঢাকার অধিনায়ক নামের চেয়ে অভিজ্ঞতার বাস্তবায়ন চান মাঠে, ‘আমাদের দলে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের সংখ্যা নিঃসন্দেহে বেশি। কিন্তু এটা মাঠে প্রমাণ করতে হবে। আমি চাই ক্রিকেটারদের এ অভিজ্ঞতা মাঠে প্রয়োগ হোক।’
টাইগার্সের মস্তিষ্ক মুশফিক
বিপিএলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটারদের একজন মুশফিকুর রহিম। আগের ৭ আসরে ব্যাটিংয়ে ২২৭৪ রান করেন ৮১ ইনিংসে। এবারও সে ধারা অব্যাহত রাখতে চান।এবার সে স্বাদ নিতে চান। খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক হয়ে এবার ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের পাশাপাশি শিরোপা উৎসবেও মেতে উঠতে চান, ‘আমার কাছে ব্যক্তির চেয়ে দল বেশি গুরুত্বপূর্ণ। গতবার রানার্স-আপ হয়েছিলাম। দুবার সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও পাইনি। কিন্তু ম্যাচ দুটি জিতেছিলাম। আমার কাছে দলই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এবারও সে চ্যালেঞ্জ থাকবে। টি-২০ ফরম্যাট অনেক চ্যালেঞ্জিং। টি-২০ ফরম্যাটে বিপিএল আমাদের সবচেয়ে বড় লিগ। বিশ্বজুড়ে বিপিএলের একটা সুনাম আছে। এখানে সব দলই চায় চ্যাম্পিয়ন হতে। আমরাও চাই।’
চ্যালেঞ্জার্সের নতুন চ্যালেঞ্জ
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতা রয়েছে মেহেদি হাসান মিরাজের। বিপিএলের চলতি আসরে এবার নেতৃত্ব দেবেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। এর আগে ২০১৯-২০ মৌসুমে অধিনায়ক ছিলেন রাজশাহী কিংসের। প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামে খেলছেন এই স্পিন অলরাউন্ডার। প্রথমবারেই দলকে নেতৃত্ব দেবেন। এ চ্যালেঞ্জে এগিয়ে যেতে চান একটি দল হয়ে ক্রিকেটে খেলে, ‘এ বছর আমি চট্টগ্রামে প্রথমবার খেলছি। তারা যে সম্মান আমাকে দিয়েছে চেষ্টা করব সর্বোচ্চটা দেওয়ার। এ বছর খুব ভালো দল হয়েছে। তরুণ প্রজন্ম নিয়ে দলটা গড়া হয়েছে। বাংলাদেশকে যারা সামনে নেতৃত্ব দিতে পারবে তাদের নিয়ে গড়া হয়েছে। তরুণদের ওপর যে আস্থা রাখা হয়েছে, সে চ্যালেঞ্জ আমাদের নিতে হবে।’
ইমরুলের হাতে ভিক্টোরিয়ান্সের ভাগ্য
ইমরুল কায়েস আগেও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর অধিনায়কত্বে ২০১৯ সালে বিপিএলে চ্যাম্পিয়নও হয় কুমিল্লা। এবারও তাঁর ওপর আস্থা রেখেছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। যদিও দলে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস, মুস্তাফিজুর রহমান, সুনিল নারাইন, মুমিনুল হক, লিটন দাসের মতো তারকা ক্রিকেটার রয়েছেন। ইমরুলও বিশ্বাস করেন দলকে মাঠে প্রমাণ করতে হবে, ‘টি-২০ ক্রিকেটে প্রতিটি দলই ভালো। কেউ বলতে পারবে না আমরা কম ভালো। এখন বিষয় হচ্ছে মাঠে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। নাম দিয়ে ক্রিকেট হয় না। যদিও আমাদের দলে অনেক বড় বড় নাম আছে। তবে মাঠে খেলেই নিজেদের প্রমাণ করতে হবে। পারফর্ম যদি ভালো করতে পারি, তাহলেই বোঝা যাবে আমরা কত ভালো দল।’
স্থানীয়রাই সানরাইজার্সের ভরসা
দল গঠনে বড় বড় তারকা ক্রিকেটারের পেছনে ছোটেনি সিলেট সানরাইজার্স। ভরসা করা হয়েছে তরুণদের উপর। দলটি অন্য দলগুলোর তুলনায় শক্তিমত্তায় পিছিয়ে নেই। সিলেটের নেতৃত্ব দেবেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। চলতি আসরে দলের ভালো পারফরম্যান্স করার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী মোসাদ্দেক, ‘এটা আমার দ্বিতীয়বার সিলেটের অধিনায়কত্ব। আপনারা সবাই আমাদের সমর্থন করবেন, যেন ভালো ফল আনতে পারি। আমাদের দলে রোমাঞ্চকর সব ক্রিকেটার আছে। সবশেষ কয়েকদিন আমরা খুব ভালো অনুশীলন করেছি তাই আমরা আশাবাদী। আশা করব দল হিসেবে পারফর্ম করার। আমাদের স্থানীয় ক্রিকেটাররা সবাই ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরমার।’