মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা
বিপিএল

অবশেষে বিপিএলে সেরা সাকিব

বরিশালের রোমাঞ্চকর জয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক

অবশেষে বিপিএলে সেরা সাকিব

টান টান উত্তেজনার ম্যাচ দেখল চট্টগ্রাম। রোমাঞ্চকর ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৬ রানের জয় পেয়েছে সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল। গত শনিবার দুই দলের প্রথম পর্বের ম্যাচেও বরিশাল জিতেছিল ১৭ রানে। শেষ ওভারে বরিশালের দরকার ছিল ২১ রান। ডোয়াইন ব্রাভোর ওভারে এক ছক্কা ও এক চারে ১৪ রান নিতে পেরেছে খুলনা। ৫ ম্যাচে সাকিবদের তৃতীয় জয় এবং মুশফিকের দলের পঞ্চম ম্যাচে তৃতীয় হার। অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স করে ম্যাচসেরা হয়েছেন সাকিব। ব্যাট হাতে ২৭ বলে ৪১ রান এবং বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। বিপিএলের এই আসরে অবশেষে দেখা গেল সেরা সাকিবকে।

বিপিএলের চলতি আসরে এই প্রথম দুই ক্যারিবীয় ক্রিকেটার ওপেন করলেন। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ওপেন করেন ফরচুন বরিশালের দুই ক্যারিবীয় ডুয়াইন ব্রাভো ও ক্রিস গেইল। কিন্তু বরিশালের অধিনায়ক সাকিবের এই টোটকা কাজে লাগেনি। দুই বিশ্বসেরা তারকার কেউই দুই অংকের রান করতে পারেননি। গতকাল ব্যাটিং অর্ডারে রদ-বদল করে খেলতে নামে বরিশাল। কিন্তু উপরের সারির তিন ব্যাটারের কেউই বড় অংকের রান করতে পারেনি। ব্রাভো ০, গেইল ৪ ও তওহিদ হৃদয় রান করেন ৫। ২৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর জুটি বাঁধেন সাকিব ও নাজমুল হোসেন শান্ত। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দুজনে ৯.৪ ওভারে যোগ করেন ৭৯ রান। আসরে প্রথমবারের মতো ভালো ব্যাটিং করেন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব। ৪১ রানের ইনিংস খেলেন ২৭ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায়। সাকিব বরিশালের হয়ে এই প্রথম খেলছেন। আগের চার ম্যাচে খুব ভালো ব্যাটিং করতে পারেননি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। খুলনার সঙ্গে আগের ম্যাচে ৯ রান করেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ১, মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার বিপক্ষে ২৩ ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ১৩ রান করেছিলেন। নাজমুল শান্ত ৪৫ রান করেন ৪০ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায়। দুজনের জুটিতেই বরিশালের সংগ্রহ ১৮.৫ ওভারে ১৪৫ রান। খুলনার ডান হাতি পেসার সৈয়দ খালেদ ৩ উইকেট নেন ৪১ রানের খরচে। ২ উইকেট নেন কামরুল রাব্বি। খুলনার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বরিশাল ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪১ রান করেছিল। জিতেছিল ১৭ রানে।

জয়ের জন্য মুশফিকের খুলনার টার্গেট দাঁড়ায় ১৪৬ রান। সাকিবের ঘূর্ণিতে ১০ ওভারে ৩৫ রান তুলতে হারিয়ে বসে ৪ উইকেট একটানা বোলিং করে সাকিব ৪ ওভারে ১০ রানে খরচে নেন ২ উইকেট। সাকিব আগের চার ম্যাচে উইকেট নেন ৫টি। খুলনার বিপক্ষে ২৪ রানের খরচে নেন ১ উইকেট। কুমিল্লার বিপক্ষে ২৫ রানে ২টি, ঢাকার ও বরিশালের বিপক্ষে একটি করে উইকেট নেন সাকিব। ব্যাট করতে নেমে ৩৫ রানে ৪ উইকেটের পতনের জটি বাঁধেন মুশফিক ও ইয়াসির আলি। দুজনে পঞ্চম জুটিতে ৫০ বলে ৭৯ রান যোগ করেন। মুশফিক ৩৩ রান করেন ২২ বলে ৩ চার ও এক ছক্কায়। ইয়াসির আলি অপরাজিত থাকেন ৫৭ রানে। ৩৪ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা।

সর্বশেষ খবর