মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

অপরাজিত রইল কুমিল্লা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ম্যাচের আগের দিন মিরাজ নাটকে সরগরম ছিল বিপিএলের চট্টগ্রামপর্ব। কিছু না বলে নেতৃত্ব কেড়ে নেওয়ায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পক্ষে বাকি ম্যাচগুলো খেলবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। চট্টগ্রামের মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত থেকে সরে গতকাল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে খেলেন। বিপিএলে প্রথমবার খেলতে নামেন লিটন দাস। নামের প্রতি সুবিচারও করেন টাইগার উইকেটরক্ষক ব্যাটার। আগের দুই ম্যাচের ব্যর্থতাকে পাথর চাপা দিয়ে রানের ফাল্গুধারা ছোটান ফাপ ডু প্লেসিস। সাবেক প্রোটিয়াস অধিনায়কের দুর্দান্ত ব্যাটিং ও ক্যামেরন ডেলপোর্টের ব্যাটিংয়ে ম্লান ছিল নাঈম হোসেন, উইল জ্যাকসদের পারফরম্যান্স। শুরুতে লিটন, ডু প্লেসিস ও ডেলপোর্ট এবং পরে নাহিদ, তানভীরের ঘূর্ণি এবং মুস্তাফিজুর রহমানের কাটার ও শহিদুলের পেসের বিপক্ষে পেড়ে উঠেনি চট্টগ্রাম। হেরে গেছে ৫২ রানে। সহজ জয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এখন পর্যন্ত বিপিএলে একমাত্র অপরাজিত দল। টানা তিন জয়ে ইমরুল কায়েশের কুমিল্লা টানা এখন পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। ৬ ম্যাচে তিন জয়, তিন হারে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে চট্টগ্রাম।

চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমেছে কুমিল্লা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় কুমিল্লা। আগের ম্যাচে দারুণ ব্যাট করা মাহামুদুল হাসান জয় আউট হন ব্যক্তিগত ১ রানে। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে জুটি বাধেন লিটন ও ডু প্লেসিস। দুজনে জুটিতে ৯.১ ওভার বা ৫৫ বলে স্কোর কোর্ডে যোগ করেন ৮০ রান। দলীয় ৮৪ রানে লিটন সাজঘরে ফিরেন নাসুমের বলে। বিপিএলে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমে ৩৪ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন ৫ চার ও এক ছক্কায়। লিটনের বিদায়ের ৭ বল পর আউট হন কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল। এরপর ডু প্লেসিস ও ডেলপোর্ট ৮.১ ওভার বা ৪৯ বলে যোগ করেন ৯৭ রান। ডু প্লেসিস ৮৩ রান করেন মাত্র ৫৫ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায়। তবে বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট চালান ডেলপোর্ট। ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন মাত্র ২৩ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায়। ডু প্লেসিস ও ডেলপোর্টের হাফসেঞ্চুরিতে কুমিল্লার সংগ্রহ ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৮৩ রান।

চট্টগ্রামের টার্গেট ১৮৪ রান। নাহিদুল ও তানভীরের ঘূর্ণি এবং মুস্তাফিজ ও শহীদুলের পেসে ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাতে থাকে চট্টগ্রাম।

ইংলিশ ওপেনার উইল জ্যাকস ছাড়া চট্টগ্রামের আর কোনো ব্যাটারই সাবলীল ব্যাট করতে পারেননি। কুমিল্লার সাঁড়াশি বোলিংয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রামের মাত্র তিন ব্যাটার দুই অংকের রান করেন। জ্যাকস ৬৯ রান করেন মাত্র ৪২ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায়। মেহেদী মিরাজ ১০ রান করেন মাত্র ৯ বলে এক চার ও এক ছক্কায়। বোলিংয়ে সাফল্য পাননি মিরাজ। ৩ ওভারে রান দিয়েছেন ৩০। ছিলেন উইকেট শূন্য। আগের ম্যাচে হ্যাটট্রিকম্যান চট্টগ্রামের মৃত্যুঞ্জয় রান করেন ১২ বলে ১৩। তবে বোলিংয়ে ছিলেন খরুচে। ৩ ওভারে রান দেন ৩৪। চট্টগ্রামের তারকা ক্রিকেটাররা ব্যর্থ হয়েছেন বল ও ব্যাট হাতে। অধিনায়ক নাঈম আউট হন ৮ রানে। আফিফ হোসেন ধ্রুব সাজঘরে ফিরেন ৪ রানে। নাহিদ ৪ ওভারের স্পেলে ১৭ রানের খরচে নেন ৩ উইকেট। মুস্তাফিজ ২ উইকেট নেন ২৬ রানে, তানভীর ২ উইকেট ৩৩ রানে এবং শহীদুল ৩৪ রানের খরচে নেন ২ উইকটে দলের আফগান অলরউন্ডার করিম জান্নাত নেন ১ উইকেট।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর