বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ খেলে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে

২৩ বছর পর বিশ্বকাপ খেলা লি চুন সু আবার ঢাকায় এসেছেন। ২৯ জানুয়ারি থেকে ঢাকায় শুরু হয়েছে এএফসি প্রফেশনাল ডিপ্লোমা কোর্সের ট্রেনিং। দেশি-বিদেশি বেশ কজন প্রতিষ্ঠিত কোচও এ কোর্সে অংশ নিচ্ছেন। চুনও এসেছে। তিনি পরিদর্শনে এসেছিলেন বসুন্ধরা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে।

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ খেলে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে

লি চুন সু, দক্ষিণ কোরিয়া

দুনিয়া কাঁপানো বিশ্বকাপ ফুটবলে দক্ষিণ কোরিয়া চূড়ান্তপর্বে খেলেছে ১০ বার। দেশটির সর্বোচ্চ প্রাপ্তি হচ্ছে ২০০২ সালে সেমিফাইনালে খেলা। সেবার তারা জাপানের সঙ্গে যৌথ আয়োজক ছিল। ইতালি, পর্তুগালদের মতো শক্তিশালী দেশকে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছিল। তবে জার্মানির কাছে ০-১ গোলে হেরে ফাইনালে খেলতে পারেনি কোরিয়া। প্রশ্ন উঠতে পারে ২৩ বছর আগের জানা ইতিহাস নিয়ে কেন এ আলোচনা। এই বিশ্বকাপ ঘিরে বাংলাদেশ জড়িয়ে আছে যে। ২০০২ সালে বিশ্বকাপে দক্ষিণ কোরিয়ার দলে এমন এক ফরোয়ার্ড খেলেছিলেন যার সুযোগ হয়েছিল মূলত বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে।

১৯৯৯ সালে ঢাকায় দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ অনুষ্ঠিত হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার অনূর্ধ্ব-২০ দল টুর্নামেন্টে অংশ নেয়। তারা চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। দলের তরুণ ফরোয়ার্ড লি চুন সু টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন ৭ গোল দিয়ে। যুব দলের পারফরম্যান্সে তিনি ২০০০ সালে কোরিয়া জাতীয় দলের ট্রায়ালে ডাক পান। ২০০২ সালে স্বপ্নের বিশ্বকাপে অভিষেক হয় তার। সেমিফাইনালে কোরিয়া গোল হজম করার আগে সু গোল প্রায় করে ফেলেছিলেন। গোলরক্ষক অলিভার কান দৃঢ়তার সঙ্গে রুখে দেন। গোলটি হলে ফলাফল অন্যরকম হতেও পারত। ২০০৬ সালেও বিশ্বকাপে কোরিয়ার হয়ে খেলেন লি চুন সু। টোগোর বিপক্ষে ১টি গোলও করেন।

২৩ বছর পর বিশ্বকাপ খেলা লি চুন সু আবার ঢাকায় এসেছেন। এবার ফুটবলার নয়, এসেছেন শিক্ষা নিতে। ২৯ জানুয়ারি থেকে ঢাকায় শুরু হয়েছে এএফসি প্রফেশনাল ডিপ্লোমা কোর্সের ট্রেনিং। দেশি-বিদেশি বেশ কজন প্রতিষ্ঠিত কোচও এ কোর্সে অংশ নিচ্ছেন। চুনও এসেছে। তিনি পরিদর্শনে এসেছিলেন বসুন্ধরা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে। বললেন, ‘এতদিন পর ঢাকা এসে সবই অপরিচিত মনে হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এখানে খেলেই যে বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েছিলাম।

সর্বশেষ খবর