শিরোনাম
সোমবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

চার পাণ্ডবের রান ২৫৩১৬

ক্রীড়া প্রতিবেদক

চার পাণ্ডবের রান ২৫৩১৬

পাঁচ পাণ্ডবের একজন মাশরাফি বিন মর্তুজা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন না। বাকি চার পাণ্ডব তামিম, সাকিব, মুস্তাফিজরা সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেন গত জুলাইয়ে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওই সিরিজের পর জানুয়ারি পর্যন্ত আর কোনো ৫০ ওভারের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেননি তামিমরা। এ সময়ে টেস্ট সিরিজ খেলেছে। টি-২০ সিরিজ ও বিশ্বকাপ খেলেছে টাইগাররা। চলতি বছর বাংলাদেশের শুরু হয়েছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ে। এবার ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে ফিরছে আইসিসি সুপার লিগে। রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, মোহাম্মদ নবীদের মতো তারকা ক্রিকেটার খচিত আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের বিপক্ষে টাইগারদের মূল ভরসা পাঁচ ক্রিকেটার-অধিনায়ক তামিম ইকবাল, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, টাইগার টি-২০ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজুর রহমান। আফগান সিরিজে টাইগার স্কোয়াডে নতুন চার মুখ-মাহমুদুল হাসান জয়, ইবাদত হোসেন চৌধুরী, নাসুম আহমেদ ও ইয়াসির আলি। ওয়ানডেতে নতুন হলেও জাতীয় দলের খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে চার ক্রিকেটারের। বাকি ১১ ক্রিকেটার একত্রে ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন ১০৮৯টি। রান করেছেন ২৭৪৮২ এবং উইকেট নিয়েছেন ৬০০টি। তবে চার সিনিয়র ক্রিকেটার তামিম, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ একত্রে ৮৬১ ওয়ানডে ম্যাচে রান করেছেন ২৫৩১৬।

২৩ ফেব্রুয়ারি শুরুর ওয়ানডে সিরিজে নিশ্চিত করেই ৩৮৮ ওয়ানডে খেলা বাংলাদেশ অভিজ্ঞতা ও শক্তিমত্তায় এগিয়ে ১৩২ ওয়ানডে খেলা আফগানিস্তানের চেয়ে। বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান এখন পর্যন্ত ওয়ানডে খেলেছে ৮টি। টাইগারদের ৫ জয়ের বিপরীতে ৩ জয় আফগানদের। দুই দলের প্রথম লড়াই ২০১৪ সালে এশিয়া কাপে। ফতুল্লার ওই ম্যাচে ৩২ রানে জিতেছিল আফগানিস্তান। সর্বশেষ মুখোমুখি ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে। দুই দল এখন পর্যন্ত ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে মাত্র একটি, ২০১৬ সালে। ২৩, ২৫ ও ২৮ ফেব্রুয়ারির সিরিজটি দ্বিতীয়। তিন ম্যাচের সিরিজ ছাড়া বাকি ৫ ম্যাচের তিনটি দুই এশিয়া কাপে (২০১৪ ও ২০১৮) এবং বাকি দুটি ২০১৫ ও ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে। ২০১৬ সালে ঘরের মাঠে টাইগাররা সিরিজ জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে। এশিয়া কাপে আফগানদের ২ জয়ের বিপরীতে টাইগারদের জয় একটি। বিশ্বকাপে দুটি জয়ই বাংলাদেশের। ২০১৫ সালে ক্যানবেরায় ১০৫ রানে এবং ২০১৯ সালে সাউদাম্পটনে ৬২ রানে জিতেছে।

স্কোয়াডের ১১ ক্রিকেটারের মধ্যে ২০০ বা তার উপরে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা চার ক্রিকেটার- অধিনায়ক তামিম (২১৯), সাকিব (২১৫), মুশফিক (২২৭) ও মাহমুদুল্লাহ (২০০)। চার জনের একত্রে ৮৬১ ম্যাচে রান করেছেন ২৫৩১৬। সবচেয়ে বেশি রান টাইগার অধিনায়ক তামিমের ৭৬৬৬। সাকিব ৬৬০০, মুশফিক ৬৫৮১ ও মাহমুদুল্লাহ ৪৪৬৯ রান করেন। পঞ্চম সর্বোচ্চ রান লিটন দাসের, ৪৭ ম্যাচে ১৩৩৫। স্কোয়াডে চার পেসার মুস্তাফিজ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও ইবাদত হোসেন। ইবাদতের অভিষেক হয়নি। তিন পেসার একত্রে উইকেট নিয়েছেন ১১৪ ম্যাচে ১৮৯টি। মুস্তাফিজ একাই নিয়েছেন ১২৭ উইকেট। স্পিনে সাকিবের সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ এবং অকেশনাল স্পিনার হিসেবে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ ধ্রুব। পাঁচ স্পিনার ৪৭৪ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ৪১১টি। সাকিবের উইকেট ২৭৭, মিরাজের ৫৫, মাহমুদুল্লাহ’র ৭৮ ও আফিফের ১ উইকেট।

দুই দল চট্টগ্রামে একটি করে টেস্ট ও টি-২০ ম্যাচ খেলেছে। এই প্রথম ওয়ানডে খেলবে। ‘লোকাল হিরো’ তামিমের নেতৃত্বে বাংলাদেশ চাইবে নিশ্চিত করেই চট্টগ্রামের সিরিজকে স্মরণীয় করে রাখতে। 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর