মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

আফগান স্পিনেই যত ভয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক

আফগান স্পিনেই যত ভয়

অপেক্ষা মাত্র একদিন। আগামীকাল শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ওয়ানডে সিরিজ। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ খেলতে প্রস্তুত তামিম ইকবালের বাংলাদেশ ও হাশমতউল্লাহ শহিদীর আফগানিস্তান। ওয়ানডে সিরিজ শেষে দুই দল মিরপুরে খেলবে দুটি টি-২০ ম্যাচ। ওয়ানডে খেলতে গতকাল ঢাকায় পা রাখেন আফগানিস্তানের তিন তারকা ক্রিকেটার রশিদ খান, মোহাম্মদ নবী ও রহমতউল্লাহ গুরবাজ। আফগান তিন ক্রিকেটার চট্টগ্রামে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) খেলে। পিএসএল ছেড়ে ঢাকায় আসার পথে লাহোর কালান্দার্স ‘গার্ড অব অনার’ দিয়েছে বিশ্বের সেরা লেগ স্পিনার রশিদ খানকে। এই লেগ স্পিনারই আবার আফগান বোলিং বিভাগের ‘ট্রাম্প কার্ড’। যদিও নবাগত টেস্ট খেলুড়ে দেশটিতে রয়েছে ‘রহস্যময়’ অফ স্পিনার মুজিব উর রহমান ও অভিজ্ঞ অফ স্পিনার মোহাম্মদ নবী। আইসিসি সুপার লিগে আফগানিস্তানের চেয়ে তামিম, সাকিব. মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ, লিটনদের মূল প্রতিপক্ষ তিন স্পিন ট্রয়-‘রশিদ-মুজিব-নবী’।

তিন ওয়ানডের প্রথমটি আগামীকাল। পরের দুটি ২৫ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি। সকাল ১১টায় শুরু হবে ম্যাচগুলো। দুই দলের এটা দ্বিতীয় বাই লেটারাল সিরিজ। ২০১৬ সালে দুই দল এর আগে একমাত্র ওয়ানডে সিরিজটি খেলেছিল। ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল টাইগাররা। দুই দল এখন পর্যন্ত ম্যাচ খেলেছে ৮টি। তামিম বাহিনীর জয় ৫ এবং হার তিনটি। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে সাউদাম্পটনে সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল এবং বাংলাদেশ জিতেছিল ৬২ রানে।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে টাইগারদের ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে নতুন চার মুখ- মাহমুদুল হাসান জয়, নাসুম আহমেদ, ইবাদত হোসেন ও ইয়াসির আলি। যদিও এই চার ক্রিকেটারের জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিন্তু ওয়ানডেতে প্রথম। চার তরুণের দুজন-ইয়াসির ও মাহমুদুল ব্যাটার এবং বাকি দুজন বোলার। তামিম, লিটন, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ, আফিফ, নাজমুল শান্তদের সঙ্গে এই তরুণদ্বয়কেও জোর লড়াই করতে হবে রশিদের লেগ স্পিন, মুজিব ও নবীর অফ স্পিনের বিপক্ষে। নবী আফগান বোলিং স্কোয়াডের সবচেয়ে অভিজ্ঞ বোলার। রশিদ ও মুজিব-জেনুইন ম্যাচ উইনার। সিরিজে তামিম বাহিনীর জন্য মূল বাধা তিন স্পিনারের ৩০ ওভার। ৩৭ বছর বয়স্ক নবী ১২৭ ওয়ানডেতে উইকেট নিয়েছেন ১৩২টি। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮ ম্যাচ খেলে ৭৮.৪ ওভার বোলিং করে ৩১১ রানের খরচে উইকেট নিয়েছেন ১২টি। ওভার প্রতি রান খরচ করেছেন মাত্র ৩.৯৫। রশিদ ক্যারিয়ারে ওয়ানডে খেলেছেন ৭৭টি। উইকেট নিয়েছেন ১৪৬টি। সেরা বোলিং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ২০১৭ সালে গ্রস আইলেটে তার স্পেল ৮.৪-১-১৮-৭। বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছেন ৬ ম্যাচ। ৫৯ ওভার বোলিংয়ে ২২২ রানের খরচে নিয়েছেন ১০ উইকেট। সেরা বোলিং মিরপুরে ৩৫ রানে ৩ উইকেট। অফ স্পিনার মুজিবের বয়স মাত্র ২০। এই বয়সেই তিনি সমীহ আদায় করে নিচ্ছেন প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের। টাইগারদের বিপক্ষে মুজিব খেলেছেন মাত্র ৩ ওয়ানডে। ২৮.১ ওভার বোলিং করে ৯৬ রানের খরচে নিয়েছেন ৬ উইকটে। ওভার প্রতি রান খরচ করেছেন মাত্র ৩.৪০। ক্যারিয়ারে তিনি ৪৬ ওয়ানডেতে উইকেট নিয়েছেন ৭৭টি।

তিন স্পিনারকে অবশ্য সামাল দেওয়ার রেকর্ড খারাপ নয় টাইগার ব্যাটারদের। আফগানদের বিপক্ষে অধিনায়ক তামিম ৭ ম্যাচের ৫ ইনিংসে  রান করেছেন ২৭৩। যাতে রয়েছে একটি সেঞ্চুরি ও একটি হাফসেঞ্চুরি। মাহমুদুল্লাহ ৭ ম্যাচে ২৭০, মুশফিক ৭ ম্যাচে ২৬৬, সাকিব ৭ ম্যাচে ২২৮, লিটন ৩ ম্যাচে ৬৩ রান করেছেন। সুতরাং ‘রশিদ-মুজিব-নবী’ স্পিন ট্রয়কে সামাল দিতে প্রস্তুত ‘চার পা-ব’ সাকিব-তামিম-মুশফিক-মাহমুদুল্লাহ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর