রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা
মিডিয়ার মুখোমুখি সিডন্স

বাংলাদেশকে ভালোবাসি, অনেকে বিশ্বাস করত না

বাংলাদেশকে ভালোবাসি, অনেকে বিশ্বাস করত না

জেমি সিডন্স দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের ক্রিকেটের কোচিং স্টাফে যুক্ত হয়েছেন। এবার তিনি তামিম, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহদের ব্যাটিং উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন। এর আগে ২০০৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টাইগারদের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। গতকাল চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মিডিয়ার মুখোমুখিতে সিডন্স জানান, দলের তরুণ ক্রিকেটারদের চাপে না রাখলে ভবিষ্যতের সাকিব, তামিম হবে তারা।    

 

য়টাইগারদের দায়িত্ব নিলেন কেন?

বিশ্বের যে কোনো জায়গায় কোচিং করানোর জন্য আমি উন্মুক্ত ছিলাম। আমি যেখানেই থাকি না কেন, সব সময় বাংলাদেশ আমার নজরে ছিল। আমি যোগ দিয়েছি ব্যাটিং কনসালটেন্ট হিসেবে। এইচপি ছাড়াও জুনিয়র দল ও জাতীয় দল নিয়ে কাজ করব। আগে যে ৩ বছর এখানে কাজ করেছি, তখন আমি বাংলাদেশকে ভালোবেসেছি। কিন্তু অনেকেই সেটা বিশ্বাস করত না। আমি সব সময়ই ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে থাকি। সুযোগের অপেক্ষায় থাকি।

য়এই সময়ের প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের সম্পর্কে ভাবনা!

দলে ৬ ফুট উচ্চতার ৪-৫ জন ফাস্ট বোলার রয়েছে। যারা ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করে। তাদের দেখে আমি রোমাঞ্চিত। গত দুই ম্যাচে লিটন, মিরাজ, আফিফের মতো কয়েকজন তরুণ প্রতিভাবানকে দেখেছি। তারা মানসম্পন্ন ক্রিকেটার। ভবিষ্যতে অনেক উন্নতি করবে। আমি মনে করি, আমার কাজের অর্ধেকটা আগেই শেষ হয়ে গেছে। কেননা দলে বেশ কয়েকজন ক্লাস ক্রিকেটার রয়েছেন। আমাদের দলটি ভালো। এখন শুধুু ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। একই সঙ্গে তরুণ ক্রিকেটারদের দেশের বাইরে প্রমাণ দিতে হবে।

য়তরুণ ক্রিকেটারদের কাছ থেকে কি আশা করেন?

তরুণ ক্রিকেটাররা ইতোমধ্যে প্রমাণ করেছে, তারা বড় ম্যাচে পারফরম্যান্স করতে প্রস্তুত। লিটন দাস টেস্ট ক্রিকেটে এর মধ্যেই প্রমাণ করেছে। আমি চেষ্টা করব তাকে বিশ্বের সেরা সেরা ফাস্ট বোলার ও স্পিনারদের বিপক্ষে সাফল্য পেতে। 

য়বিশ্বকাপে আপনার টার্গেট কি?

আমি দল নিয়ে খুব বেশি এক্সপেরিমেন্টের পক্ষে নই। আমি যাদের পাব, তাদের নিয়েই কাজ করব। টি-২০ দলে অনেক ক্রিকেটার আছে। আমি চেষ্টা করব এই ফরম্যাটে তাদের উন্নতি করতে। এছাড়া সামনে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজ রয়েছে। আমরা সব ম্যাচ জিততে চাই। সামনে টি-২০ বিশ্বকাপ। এটাই আমাদের টার্গেট। কারণ এটাই পরবর্তী বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য অনেক ম্যাচ পাব। অক্টোবর-নভেম্বরের মধ্যে যদি আমরা বেশকিছু ভালো টি-২০ ক্রিকেটার পাই, তাহলে ওয়ানডে বিশ্বকাপে আমরা একটি ভালো দল হিসেবেই অংশ নিব।

য়সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিষয়ে...

সামনের পায়ে সোজা খেলার সমস্যা নিয়ে কাজ করতে চাইছে তামিম। তবে এখনই এই সমস্যা দ্রুত সমাধান সম্ভব নয়। বিষয়টি নিয়ে আমরা দুজন কথা বলেছি। আগামীতে আরও ৩/৪ বছর যদি সে খেলতে চায়, তাহলে অবশ্যই তাকে সামনের পায়ে সোজা খেলতে হবে। যদি পারে, তাহলেই সাফল্য পাবে। না পারলে লেগ বিফোর হবে। তামিম অনেক রান করেছে। আমি মনে করি, এখনো তার আরও ভালো ক্রিকেট খেলার সুযোগ রয়েছে।

য়দলের ধারাবাহিকতা নিয়ে...

আমার মনে আছে ক্যারিয়ারের শুরুতে তামিম, সাকিব, মুশফিক, রিয়াদরা ধারাবাহিক ছিল না। ক্যারিয়ারে বহুবার তারা বাদ পড়েছে। সাকিব ভালো বল না করলে তিনিও বাদ পড়তেন। তবে সে কার্যকরী ক্রিকেটার। নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছে। দলে অনেক কার্যকরী ক্রিকেটার রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, যদি তাদেরকে চাপে রাখা না হয়, তাহলে তারা ভবিষ্যতের সাকিব, তামিম হবে। 

য়মুনিম ও নাঈম সম্পর্কে কোনো ধারণা আছে?

আজই (গতকাল) দুজনকে দেখলাম। তাদের সম্পর্কে পরিষ্কার কোনো ধারণা নেই। আজ, কালের মধ্যে তাদের সম্পর্কে জেনে যাব। বিপিএলে তাদের খেলতে দেখেছি। তারা দুজনেই ভালো। আমরা চাই টি-২০’র পাওয়ার প্লেতে একটা ভালো শুরু। ম্যাচগুলোতে এখন আমরা যে ফিনিশিং দিচ্ছি, তার চেয়েও ভালো হওয়া জরুরি।

য়আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ কি অনেক চ্যালেঞ্জিং?

ওয়ানডের চেয়ে টি-২০ ক্রিকেটে আফগানিস্তান বেশি ভালো খেলে। আমরা জানি টি-২০ ক্রিকেট আফগানদের সেরা ফরম্যাট। টি-২০ বিশ্বকাপের আগে আমাদের অনেক বেশি উন্নতি করতে হবে। আমাদের দ্রুত অনেক রান করতে হবে আফগানিস্তানকে হারাতে হলে।

সর্বশেষ খবর