মঙ্গলবার, ১ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

তবুও সিরিজ জয়ের আনন্দ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

তবুও সিরিজ জয়ের আনন্দ

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গতকাল ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে হেরে যান তামিমরা। তবে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ।

সুবর্ণ সুযোগ ছিল আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের। এজন্য শুধু আগের দুই ওয়ানডের মতো ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং- তিন বিভাগে জ্বলে উঠতে হতো তামিম বাহিনীর। কিন্তু সেটার ধারে কাছেও যেতে পারেনি টাইগাররা। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তৃতীয় ওয়ানডেতে তিন বিভাগেই ব্যর্থ হয়েছে তামিম বাহিনী। বিশেষ করে ফিল্ডিংয়ের মান ছিল খুবই লজ্জাজনক। ম্যাচসেরা সেঞ্চুরিয়ান রহমতউল্লাহ গুরবাজ একাই পেয়েছেন চারটি জীবন। অথচ সপ্তম ওভারে তার ক্যাচটি নিতে পারলে ম্যাচের চিত্র ভিন্ন হতেও পারতো! ১৯২ রান করে ম্যাচটি জিততো কি না, সেটার চেয়ে ম্যাচের লড়াইটা হতো আরও জোরদার। গুরবাজ ব্যক্তিগত ১৩ রানে সাজঘরে ফিরলে হয়তো তামিম বাহিনী ১০ পেয়েও যেতে পারতো! তারপরও প্রথম দুই ওয়ানডে জিতে সিরিজ নিজেদের কাছেই রেখে দিয়েছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজ শেষ। ৩ ও ৫ মার্চ দুটি টি-২০ ম্যাচ খেলবে দুই দল মিরপুরে। 

প্রথম ওয়ানডেতে চরম বিপর্যয়ের ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানকে বিন্দুমাত্র লড়াইয়ের সুযোগ দেয়নি। দুই ওয়ানডেতে আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করে গতকাল খেলতে নামে তৃতীয় ওয়াডে। প্রথম ওয়ানডেতে ২১৫ তাড়া করে ২১৯ রান এবং দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রথমে ব্যাট করে ৩০৬ রান করে টাইগাররা। তৃতীয় ওয়ানডেতে অলআউট হয় ১৯২ রানে। এই স্কোর করতে একমাত্র সাবলীল ব্যাটিং করেছেন ক্যারিয়ারের ৫০ নম্বর ম্যাচ খেলতে নামা লিটন। মাইলফলকের ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করছিলেন লিটন সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েও সাজঘরে ফিরেন ব্যক্তিগত ৮৬ রানে। দ্বিতীয় ওয়াডেতে লিটন খেলেছিলেন ১৩৬ রানের নান্দনিক ইনিংস। গতকালও দারুণ খেলছিলেন লিটন। সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে ব্যক্তিগত ৮৬ রানে ডিপ মিড উইকেটে আউট হন। মোহাম্মদ নবীর বলে জোর করে সুইপ করে আউট হওয়ার আগে ১১৩ বলের ইনিংসটিতে ৭টি বাউন্ডারি হাঁকান। লিটন ছাড়া সাবলীল ব্যাটিং করেন সাকিব। দেশসেরা অলরাউন্ডার ৩০ রান করেন ৩৬ বলে ৩ চারে। শেষ দিকে টাইগার টি-২০ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ২৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ৫৩ বলে।

১৯৩ রানের টার্গেট দিয়ে প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানের ব্যাটারদের ওপর কোনোরকম প্রভাব ফেলতে পারেনি টাইগার বোলাররা। সফরকারী দুই ওপেনার গুরবাজ ও রিয়াজ হাসান ১৫.৩ ওভারে ৭৯ রান যোগ করে জয়ের ভীত দেন। সাকিবের বলে স্ট্যাম্পড হন রিয়াজ ব্যক্তিগত ৩৬ রানে। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ২০.৩ ওভারে ১০০ রান যোগ করেন গুরবাজ ও রহমত শাহ। মিরাজের বলে রহমতকে স্ট্যাম্পড করেন মুশফিক। গুরবাজ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১০৬ রানে। ৯ ম্যাচ ওয়ানডে ক্যারিয়ারে গুরবাজের তৃতীয় সেঞ্চুরির ইনিংসটি নিন্ডিদ্র ছিল না। ব্যক্তিগত ১৩, ৬০, ৬১ ও ৬৩ রানে চারটি জীবন পান। ইনিংসের সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলে গুরবাজের ব্যাট ছুঁয়ে উইকেটরক্ষক মুশফিক ও স্লিপ ফিল্ডার ইয়াসির আলীর ফাঁক গলিয়ে সীমানার বাইরে চলে যায়। গুরবাজ তখন ব্যাট করছিলেন ১৩ রানে। ২৩ নম্বর ওভারে দ্বিতীয়বার জীবন পান। ব্যক্তিগত ৬০ রানে শরিফুলের বাউন্সারে হুক খেলেন গুরবাজ। বল ব্যাটের কানায় লেগে মুশফিকের গ্লাভস ছুঁয়ে বাইরে যায়। ৬০ রানে অপরাজিত ছিলেন গুরবাজ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর