শুক্রবার, ৪ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা
সাকিবের ৪০০

স্পিনারদের ম্যাজিক

ক্রীড়া প্রতিবেদক

স্পিনারদের ম্যাজিক

ছবির ৩ তারকাই আফগানদের বিরুদ্ধে প্রথম টি-২০তে জয়ের নায়ক। নাসুম ১০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। লিটন ব্যাট হাতে ৪৪ বলে খেলেছেন ৬০ রানের ইনিংস। সাকিব ব্যাট হাতে সুবিধা করতে না পারলেও বল হাতে ৪ ওভারে ১৮ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। - রোহেত রাজীব

সাকিব বিশ্বের প্রথম বাঁহাতি স্পিনার, তৃতীয় স্পিনার ও নবম বোলার হিসেবে ওয়ানডে ও টি-২০ মিলিয়ে ৪০০ উইকেট শিকার করেছেন। বর্তমানে সাকিবের ৩১৩ ম্যাচে উইকেট ৪০১টি। অবশ্য ওয়ানডে ও টি-২০ মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরালিধরনের, ৩৬২ ম্যাচে ৫৪১টি।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে স্কোয়াডে ছিলেন। খেলার সুযোগ পাননি। সাকিব আল হাসান দলের সেরা বোলিং তারকা। তবে টি-২০ ক্রিকেটে বাংলাদেশের স্পিন বিভাগের সেরা অস্ত্র নাসুম আহমেদ। দীর্ঘকায় বাঁ হাতি স্পিনার গত এক বছর ধরে ২০ ওভারের ম্যাচে দারুণ পারফরম্যান্স করে চলেছেন। তার ঘূর্ণি জাদুতে গত আগস্ট, সেপ্টেম্বরে দুই ক্রিকেট পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা দুই সিরিজ জিতে ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দেয় বাংলাদেশ। যদিও টাইগাররা এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি টি-২০ বিশ্বকাপে। পারফরম্যান্স ছিল যাচ্ছেতাই। গোটা দলের সঙ্গে ব্যর্থ ছিলেন স্পিনাররাও। সেই ব্যর্থতা কাটিয়ে আবারও সঠিক ট্রাকে ফিরেছেন সাকিব, নাসুমরা। ‘স্পিন ট্রয়’ নাসুম-সাকিব-মেহেদীর ঘূর্ণিতে গতকাল দুই ম্যাচ টি-২০ সিরিজের প্রথমটিতে ৬১ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। তিন স্পিনারের জাদুকরি ঘূর্ণিতে বছরে প্রথম টি-২০ খেলেই জয়োচ্ছ্বাসে ভেসেছে মাহমুদুল্লাহ বাহিনী। আগামীকাল সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ। জিতলেই সিরিজ জিতবে টাইগাররা। রেকর্ড জয়ের ম্যাচে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংকে স্পর্শ করেছেন নাসুম। শুধু নাসুম নন, সাকিবও নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। এই মুহূর্তে সাকিব এখন ৪ ওভারের স্পেলে ১১ ডট নিয়ে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ডট বল এখন সাকিবের। ৯৫ ম্যাচের ৯৪ ইনিংসে ২১০৯ বলের মধ্যে ডট নিয়েছেন ৮৪১টি। আগের রেকর্ড পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদির, ৮৩০টি। শুধু ডট বল নিয়েই রেকর্ড গড়েননি, ৪ ওভারের স্পেলে ১৮ রানের খরচে ২ উইকেট নিয়ে নতুন আরেকটি মাইলফলক গড়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সাকিব বিশ্বের প্রথম বাঁহাতি স্পিনার, তৃতীয় স্পিনার ও নবম বোলার হিসেবে ওয়ানডে ও টি-২০ মিলিয়ে ৪০০ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। বর্তমানে সাকিবের ৩১৩ ম্যাচে উইকেট ৪০১টি। অবশ্য ওয়ানডে ও টি-২০ মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরলী ধরনের, ৩৬২ ম্যাচে ৫৪১টি। দুইয়ে ওয়াসিম আকরামের, ৩৫৬ ম্যাচে ৫০২টি।

সাকিবের অভিজ্ঞতার তুলনায় যোজন যোজন দূরে নাসুম। সাকিবের ৯৫ ম্যাচের বিপরীতে নাসুম খেলেছেন মাত্র ১৯টি। ম্যাচসেরা নাসুম ৬০.৫ ওভারে মেডেন নিয়েছেন ৩টি। ৩৮৭ রানের খরচে নিয়েছেন ২৬ উইকেট। সেরা বোলিং পারফরম্যান্স ১০ রানে ৪ উইকেট। আগের সেরা বোলিং রেকর্ডও এটি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ ওভারের স্পেলে ১৭ রানের খরচে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। অবশ্য ওই স্পেলে মেডেন ছিল ২টি। ১৯ ম্যাচের নাসুম ১২টিই খেলেছেন মিরপুরে। তার বোলিং রেকর্ড বলে, মিরপুর নাসুমের পয়মন্ত ভেন্যু। মিরপুরে ১২ ম্যাচে ৪০ ওভার বোলিং করে ১৯৯ রানের খরচে নিয়েছেন ২০ উইকেট। গতকাল তাকে টানা ৪ ওভার বোলিং করিয়েছেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। আগেও নতুন বলে বোলিং করেছেন। পাওয়ার প্লেতে তিনি বোলিং করেছেন। গতকাল পাওয়ার প্লেসহ গোটা স্পেল বোলিং করেছেন। ম্যাচসেরা বোলিং স্পেল তার ৪-০-১০-৪। তিনি আউট করেছেন হজরতউল্লাহ জাজাই, রহমতউল্লাহ গুরবাজ, দারউইস রসুল ও করিম জান্নাতকে। তিনি ডট বল নিয়েছেন ১৭টি। আরেক স্পিনার মেহেদী হাসান উইকেট না পেলেও ছিলেন মিতব্যয়ী। ৩ ওভারের স্পেলে রান দিয়েছেন ১৭। ডট নিয়েছেন ৮টি। টাইগার বোলাররা ১৭.৪ ওভারে মাত্র ৯৪ রানে গুটিয়ে দিয়েছেন আফগানিস্তানকে। ডট নিয়েছেন ৫৮টি। যার ৪৬টি নিয়েছেন তিন স্পিনার। অবশ্য বাঁ হাতি পেসার শরিফুলের পারফরম্যান্সও ছিল দুর্দান্ত। ৩.৪ ওভারের স্পেলে ২৯ রানের খরচে নেন ৩ উইকেট। মুস্তাফিজ নেন ১৯ রানের খরচে নেন ১ উইকেট।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর