পুরুষদের মতো মেয়েদের বিশ্বকাপেও অস্ট্রেলিয়ার জয়জয়কার। ১৯৭৩ সালে বিশ্বকাপ শুরু। ১২ আসরে সাতবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। বাকি চারবার ইংল্যান্ড এবং একবার নিউজিল্যান্ড। সপ্তমবার চ্যাম্পিয়ন হতে গতকাল চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে ৭১ রানে। ফাইনালে ইতিহাসগড়া ইনিংস খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার অ্যালিসা হিলি। মেয়ে ও পুরুষ মিলিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন হিলি। ‘প্লেয়ার অব দ্য ফাইনাল’ ও ‘প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট’ হিলি ফাইনালে ১৭০ রানের ইনিংস খেলেন ১৩৮ বলে ২৬ চারে। হারলেও ইংল্যান্ডের ন্যাট শিভার ব্যাট হাতে দারুণ জবাব দিয়েছেন। খেলেছেন ১২১ বলে ১৪৮ রানের অপরাজিত ইনিংস।
ক্রাইস্টচার্চে দিবা-রাত্রির ফাইনালে টস হেরে ব্যাটিং করে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৫৬ রান করে। যা মেয়েদের বিশ্বকাপে দলগত সর্বোচ্চ। অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার হিলি ও র্যাচেল হেইন্স ২৯.১ ওভারে ১৬০ রানের ভিত দেন। হেইন্স ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন ৯৩ বলে ৭ চারে। হেইন্সের বিদায়ের পর হিলি জুটি বাঁধেন বেথ মুনির সঙ্গে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ১১৬ রান। দলীয় ৩১৬ রানে হিলি সাজঘরে ফিরেন শ্রাবসোলের বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে। মুনি ৬২ রান করেন মাত্র ৪৭ বলে ৮ চারে। ৩৫৭ রানের টাগেটে ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয় ৪৩.৪ ওভারে ২৮৫ রানে।
শিভার খেলেন ১৪৮ রানের ইনিংস। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে ৩টি করে উইকেট নেন অ্যালানা কিং ও জেস জোনাসেন। ফাইনালে দারুণ ব্যাটিং করে ম্যাচসেরা হন হিলি। ২ সেঞ্চুরিতে ৫০৯ রান করে টুর্নামেন্ট সেরাও হন অ্যালিসা হিলি।সংক্ষিপ্ত স্কোর :
অস্ট্রেলিয়া : ৩৫৬/৫, ৫০ ওভার (হিলি ১৭০, হেইন্স ৬৮, মুনি ৬২, গার্ডনার ১, ল্যানিং ১০, ম্যাকগ্রাথ ৮*, পেরি ১৭*। বার্ন্ট ১০-০-৬৯-০, শ্রাবসোল ১০-০-৪৬-৩, সিভার ৮-০-৬৫-০, ডিন ৪-০-৩৪-০, এক্লেস্টোন ১০-০-৭১-১, ক্রস ৮-০-৬৫-০)।
ইংল্যান্ড : ২৮৫/১০, ৪৩.৪ ওভারে (বিউমন্ট ২৭, ওয়াট ৪, নাইট ২৬, সিভার ১৪৮*, জোন্স ২০, ডাঙ্কলি ২২, বার্ন্ট ১, এক্লেস্টোন ৩, ক্রস ২, ডিন ২১, শ্রাবসোল ১। শাট ৮-০-৪২-২, ব্রোন ৭-০-৫৭-০, কিং ১০-০-৬৪-৩, ম্যাকগ্রাথ ৮-০-৪৬-১, জোনাসেন ৮.৪-০-৫৭-৩, গার্ডনার ২-০-১৫-১)
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৭১ রানে জয়ী।
প্লেয়ার অব দ্য ফাইনাল : অ্যালিসা হিলি
প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট : অ্যালিসা হিলি