শিরোনাম
বুধবার, ৬ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক

দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়

ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের অনেক রোমাঞ্চকর গল্প আছে। ভারতের সব শেষ অস্ট্রেলিয়ার সফরের প্রথম টেস্ট ম্যাচের কথা চিন্তা করুন!

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাডিলেড টেস্ট খেলতে নেমে কোহলির ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৩৬ রানেই প্যাকেট! তারপর ৮ উইকেটের সহজ জয় পায় স্বাগতিকরা। এমন লজ্জাজনক হারের পরে ভারত জুড়ে ক্রিকেটভক্তরা হায় হায় করতে থাকেন!

ঠিক পরের টেস্টেই বদলে গেল দৃশ্যপট। দাপটের সঙ্গে প্রত্যাবর্তন করে ভারত। মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে হারিয়ে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দেয় টিম ইন্ডিয়া। 

ভারতীয় ক্রিকেটারদের মতো মুমিনুলরা কি পারবেন পোর্ট এলিজাবেথে ক্যারিশম্যাটিক কিছু করে দেখাতে?

বাংলাদেশ দল প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে। টেস্টেও চার দিনই দুর্দান্ত লড়াই করেছেন টাইগাররা। কিন্তু ডারবানে শেষ দিনের ব্যাটিং বিপর্যয়ে বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে মুমিনুলদের।

বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৫৩ রানে গুটিয়ে যাবে এটা যেন মানতেই পারছেন না ভক্তরা। তবে আশাবাদী টাইগাররা। প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং বিপর্যয়ের বিষয়টি মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে নতুন উদ্যোমে শুরু করতে চান ক্যাপ্টেন মুমিনুল।

ওয়ানডে সিরিজ থেকে পাওয়া আত্মবিশ্বাসই টাইগারদের শক্তি। প্রথম টেস্টে হারের পর মুমিনুল বলেছিলেন, ‘এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো যাবে। ঘুরে দাঁড়াতে না পারার তো কোনো কারণ নাই। আমরা পাঁচ দিনের মধ্যে চারটা দিন খুব ভালো খেলেছি। শুধু শেষ দিনটায় খুব বাজে ব্যাটিং করেছি।’

প্রথম টেস্টে বড় ব্যবধানে হারলেও ম্যাচে বেশ কিছু ইতিবাচক দিক ছিল। মুমিনুল বলেন, ‘এখানে অনেক ইতিবাচক ব্যাপার আছে, যা দেখে আমার মনে হয়, আমরা সহজেই ঘুরে দাঁড়াতে পারব। মাহামুদুল হাসান জয় খুব ভালো একটা ইনিংস খেলেছে, ১৩৭ রানের। লিটন ভালো ব্যাটিং করেছে। (ইয়াসির) রাব্বি ভালো ব্যাটিং করছে, (মেহেদী হাসান) মিরাজও ভালো করছে।’

প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে হতাশার বিষয় ছিল প্রোটিয়া স্পিনার বিরুদ্ধে ভালো খেলতে না পারা। সবাই জানে স্পিনে সেরা দলগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম টেস্টে সেই স্পিনের বিরুদ্ধে ধরাশায়ী হয়েছেন মুমিনুলরা। দক্ষিণ আফ্রিকার দুই স্পিনার কেশব মহারাজ ও হার্মার মিলেই দ্বিতীয় ইনিংসের ১০ উইকেট তুলে নিয়েছেন।

ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর বাংলাদেশের পেসাররা দারুণ প্রশংসা পেয়েছে। ক্রিকেট বিশ্লেষকদের অনেকেই পেস আক্রমণে দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে রেখেছিলেন। সে কারণেই কিনা টেস্টে কৌশল পরিবর্তন করে স্বাগতিকরা। তারা উইকেটও তৈরি করে স্পিন সহায়ক করে। কিন্তু এই বিষয় যেন বুঝতেই পারেনি বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজমেন্ট। এজন্য মাত্র একজন স্পিনার নিয়ে খেলতে নামে। সাকিব আল হাসানের জায়গায় স্পিনার না নিয়ে বাড়তি একজন ব্যাটসম্যানকে খেলানো হয়। দলে ছিলেন তিনজন পেসার। তবে বোলিং ইউনিট ভালোই করেছেন। হারতে হয়েছে ব্যাটসম্যানদের ভুলের কারণে। মুমিনুল বলেন, ‘বোলাররা খুবই ভালো করেছে। মিরাজ ছিল অসাধারণ।  এই উইকেটে প্রথম থেকে সে খুব ভালো বোলিং করেছে। পেস বোলাররাও খুব ভালো বোলিং করেছে। আমরা  যে পাঁচ দিনই খারাপ খেলেছি, তা তো না। শেষ দিনটা আমরা বাজে খেলেছি, যে কারণে ম্যাচটা আমাদের হাত থেকে চলে  গেছে। আর টেস্ট ক্রিকেটে এক দিন খারাপ করলে সেখান থেকে ফেরা খুব কঠিন। আমরা মানসিকভাবে আরও দৃঢ়, আশা করি এই জায়গা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’

সর্বশেষ খবর