মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

এগিয়ে গেল শেখ জামাল

ক্রীড়া প্রতিবেদক

এগিয়ে গেল শেখ জামাল

পারভেজ রসুল

ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেটের শিরোপা জয়ের পথে দ্রুতলয়ে এগিয়ে যাচ্ছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ইমরুল কায়েশের নেতৃত্বে দুর্দান্ত খেলে জিতেই চলেছে দলটি। প্রথম পর্বে সবার উপরে থাকা দলটি দারুণ সূচনা করেছে সুপার লিগেও। লিগে এ নিয়ে টানা ৬ষ্ঠ জয় পেয়েছে শেখ জামাল। গতকাল বিকেএসপি-৩ নম্বর মাঠে ভারতীয় ক্রিকেটার পারভেজ রসুলের অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে ৭২ রানে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে। এই জয়ে শেখ জামালে পয়েন্ট ১১ ম্যাচে ১০ জয়ে ২০। প্রথম লিগেও শেখ জামাল ৯ উইকেটে হারিয়েছিল গাজীকে। সুপার লিগে দলকে আরও শক্তিশালী করতে মোহামেডান থেকে  নিয়েছে মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজকে। গতকাল মিরাজ খেলেছেন। কিন্তু মুশফিকের খেলা হয়নি। মিরাজ খেললেও ব্যাট ও বল হাতে পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি। বাটিংয়ে অপরাজিত ছিলেন ১ রানে এবং বোলিংয়ে ৬ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ছিলেন উইকেট শূন্য। শেখ জামালের পরের ম্যাচ বৃহস্পতিবার রূপগঞ্জ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি জিতলে শিরোপার পথে এগিয়ে যাবে আরও এক ধাপ।      

শুধু পারভেজ নন, ইমরুল বাহিনীর পক্ষে সাইফ হাসান, রবিউল ইসলাম রবি, জিয়াউর রহমান, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী. সানজামুল ইসলাম, নুরুল হাসানরা দারুণ খেলছেন। জাতীয় দলের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে থাকায় লিগের শেষ ৭টি ম্যাচ খেলেননি নুুরুল হাসান সোহান। শুরুর ৩টি ম্যাচ খেলেছিলেন। গতকাল ৭৩ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন সোহান। ৭২ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৬টি চার ও একটি ছক্কা। আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট চালিয়েছেন পারভেজ। ম্যাচসেরা ভারতীয় ক্রিকেটার ৭৩ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন ৬৪ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায়। এছাড়া ওপেনার রবিউল রবি ৫৮ রান করেন ৬৯ বলে ৮ চারে। তিনি উদ্বোধনী জুটিতে টেস্ট ওপেনার সাইফ হাসানের সঙ্গে ১৭.৩ ওভারে ৭৮ রানের ভীত দেন। সাইফ আউট হন ২৫ রানে। অধিনায়ক ইমরুল ২৪ রান করেন। তিন হাফসেঞ্চুরিতে শেখ জামালের সংগ্রহ ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৭১ রান। গাজীর পক্ষে মারাজ মাহবুব ২টি ও ভারতীয় অলরাউন্ডার ধ্রুব শোরে ৩১ রানে নেন ৩ উইকেট। ২৭২ রানের টার্গেটে পারভেজ ও ইবাদতের সাঁড়াশি আক্রমণে ৪৩.৫ ওভারে ১৯৯ রানে গুটিয়ে যায় গাজী ক্রিকেটার্স। ইবাদত ৪২ রানের খরচে নেন ৩ উইকেট। পারভেজ ৩৪ রানে নেন ৩ উইকেট। এছাড়া সানজামুল ৪৪ রানে ১টি, জিয়াউর ৯ রানে ১টি এবং মৃত্যুঞ্জয় ২ উইকেট নেন ১৮ রানের খরচে। শেখ জামালের দুরন্ত বোলিংয়ে গাজীর পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন ধ্রুব শোরে। ৭৩ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৪টি চার ও ১ ছক্কা। এ ছাড়া ফরহাদ হোসেন ৩৭, হুসেন হাবিব অপরাজিত ২৪ রান করেন। পারভেজ ৩ উইকেট নিলে ১১ ম্যাচে তার উইকেট সংখ্যা ২৩টি। মৃত্যুঞ্জয়ের উইকেট ১৭ ও সানজামুলের উইকেট ১৬টি।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর