রবিবার, ৮ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

লম্বা ইনিংস খেলতে হবে টাইগারদের

টেস্টে আমাদের লম্বা সময় ব্যাটিং করা শিখতে হবে। ওয়ানডেতে ভালো হচ্ছে। কিন্তু টেস্টে উন্নতি করতে হবে। ছেলেদের লম্বা সময় ব্যাটিং করার দিকে মনোযোগী হতে হবে।

ক্রীড়া প্রতিবেদক

লম্বা ইনিংস খেলতে হবে টাইগারদের

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের টেস্ট দুটির কথা নিঃসন্দেহে ভুলে যেতে চাইবেন মুমিনুলরা! সেঞ্চুরিয়ান ও ডারবানে প্রথম ইনিংসে দাপুটে ক্রিকেট খেললেও দ্বিতীয় ইনিংসে ছিল তথৈবচ অবস্থা! কেশব মহারাজ ও সাইমন হার্মারের ঘূর্ণিতে বেসামাল হয়ে যথাক্রমে ৫৩ ও ৮০ রানে গুটিয়েছিল। সেই লজ্জাকে কফিন চাপা দিয়ে ফের সাদা পোশাকের লড়াইয়ে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন মুমিনুলরা। আজ দুই টেস্ট ম্যাচ সিরিজ খেলতে ঢাকায় পা রাখছে ১৮ সদস্যের শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম যাচ্ছে টাইগাররা। সেখানেই প্রথম টেস্ট ১৫-১৯ মে। ঘরের মাঠে চলতি বছর এই প্রথম টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। যদিও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজ খেলেছে। এবার সাদা পোশাকে পরিচিত পরিবেশে খেলবে। কোনো সন্দেহ নেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে মাহারাজ-হার্মারের দুঃস্বপ্ন তাড়া করবে। ঘরের মাঠ হলেও ‘দ্বীপরাষ্ট্র’ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কঠিন লড়াইয়ে পড়তে হবে মুমিনুলদের। সিরিজে সাফল্য পেতে ভালো ব্যাটিং করতে হবে অধিনায়ক মুমিনুলসহ সিনিয়র তিন ব্যাটার তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান এবং তিন তরুণ লিটন দাস, মাহামুদুল হাসান জয় ও নাজমুল হোসেন শান্তকে। মুমিনুলদের কাছে লম্বা ইনিংস চেয়েছেন ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স, ‘টেস্টে আমাদের লম্বা সময় ব্যাটিং করা শিখতে হবে। ওয়ানডেতে ভালো হচ্ছে। কিন্তু টেস্টে উন্নতি করতে হবে। ছেলেদের লম্বা সময় ব্যাটিং করার দিকে মনোযোগী হতে হবে।’ সিরিজে দ্বিতীয় টেস্ট মিরপুরে ২৩-২৭ মে।

২০০১ সালে এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ দিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট শুরু বাংলাদেশের। এরপর দুই দেশ এখন পর্যন্ত সিরিজ খেলেছে ১০টি। পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসছে। দুই দেশ সর্বশেষ সিরিজ খেলেছে ২০২১ সালে। সর্বশেষ সফরে এসেছিল ২০১৭ সালে। দুই দেশের ২২ মুখোমুখিতে টাইগারদের জয় সাকল্যে একটি। ২০১৬ সালে নিজেদের শততম টেস্টে কলম্বোয় টেস্ট জিতেছিল বাংলাদেশ। ড্র ৪টি। সবগুলো আবার ২০১৩ সালে গল টেস্ট ড্রয়ের পর। পরের প্রতিটি সিরিজেই একটি করে টেস্ট ড্র করেছে বাংলাদেশ। এবার ঘরের মাঠে সিরিজ। তাই ব্যাট হাতে ছন্দে ফিরতে হবে মুমিনুলকে। ৫১ টেস্টে ৩৫১৪ রান করা টাইগার অধিনায়ক শেষ দুই টেস্টে রান করেছেন মাত্র ১৩। দ্বীপরাষ্ট্রের বিপক্ষে সফল মুমিনুল ৯ টেস্টে রান করেছেন ৮৮৪। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট না খেললেও সাকিব ফিরেছেন। তিনিই হতে পারেন শ্রীলঙ্কা সিরিজে টাইগারদের ট্রামকার্ড। ৫৯ টেস্টে ৪০২৯ রান ২১৫ উইকেট নেওয়া সাকিব দ্বীপরাষ্ট্রের বিপক্ষে খেলেছেন ৭ টেস্ট। রান করেছেন ৪০.৭৩ গড়ে ৫২৭। মুশফিক ৮০ টেস্টে ৩৬.২৬ গড়ে রান করেছেন ৪৯৩২। মাত্র ৬৮ রান করলেই বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ৫ হাজারি ক্লাবে নাম লেখাবেন মুশফিক। লঙ্কার বিপক্ষে ১৫ টেস্টে রান করেছেন ১০৪৩। একমাত্র ডাবল সেঞ্চুরিও তার। ৬৫ টেস্টে ৪৮৪৮ রান করা টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক তামিমেরও রয়েছে পাঁচ হাজারি ক্লাবের হাতছানি। দ্বীপরাস্ট্রের বিপক্ষে তার পারফরম্যান্স মন্দ নয়, ১১ টেস্টে রান করেছেন ৭৮৪। নাজমুল হোসেন শান্ত ১৫ টেস্টে রান করেছেন ৮১৭ রান। দ্বীপরাষ্ট্রের বিপক্ষে ২ টেস্টে রান করেছেন ১৮৯। মোসাদ্দেক সৈকত, মাহামুদুল হাসান জয়, লিটন দাসদেরও জ্বলে উঠতে হবে বাট হাতে। এদের ব্যাটিং পারফরম্যান্সেই টাইগারদের সাফল্য নির্ভর করছে।  

সর্বশেষ খবর