সোমবার, ৯ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

স্পিন ঘিরেই মূল ভরসা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

স্পিন ঘিরেই মূল ভরসা

সামনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ। ব্যাটিংয়ে জ্বলে উঠতে মুশফিকুর রহিম শেষ প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছেন ছবি : বিসিবি

পরিচিত পরিবেশ। ২২ গজের উইকেটের প্রতিটি জায়গাই পরিচিত। কোথায় বল পরলে কতটা ঘুরবে, কতটা বাউন্স নিবে, ফ্রন্ট ফুটে, না ব্যাক ফুটে খেলতে হবে- মুমিনুল হক, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসানরা বেশ ভালো করেই জানেন। এই জানাটাকে আরও ভালোভাবে রপ্ত করতে গতকাল সন্ধ্যায় মুমিনুলের নেতৃত্বে টাইগাররা পা রেখেছেন চট্টগ্রামে। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুই টেস্ট খেলতে দিমুথ কারুনারত্নের নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল গতকাল পা রেখেছে ঢাকায়। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম টেস্ট ১৫-১৯ মে। দ্বিতীয় টেস্ট ২৩-২৭ মে, মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে। সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে একাদশ কিভাবে সাজাবেন টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল ও কোচ রাসেল ডমিঙ্গো- এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে নিশ্চিত করেই বলা যায়, উইকেটে স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পাবেন এবং তার উপর নির্ভর করে একাদশ সাজানো হবে। একাদশে দুই বাঁ হাতি স্পিনার সাকিব ও তাইজুলের সঙ্গে নাঈমকেও দেখা যেতে পারে। সফরকারী করুণারত্নে বাহিনীর বিপক্ষে মুমিনুল বাহিনীর ভরসা স্পিন বিভাগ। রেকর্ডও তাই বলে। জহুর আহমেদে যে দুটি টেস্টে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ, সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্পিনাররা। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬৪ রানে এবং ২০১৪ সালে ১৮৬ রানে জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। টেস্ট দুটিতে আধিপত্য ছিল স্পিনারদের। ক্যারিবীয়দের ২০ উইকেটের সবগুলোই নিয়েছিলেন চার স্পিনার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়ী টেস্টে স্পিনারদের সংগ্রহ ছিল ১৩ উইকেট।  

জহুর আহমেদে এখন পর্যন্ত ৪টি টেস্ট খেলেছে শ্রীলঙ্কা। ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট দিয়েই অভিষেক জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। টেস্টটি হেরেছিল ৮ উইকেটে। ২০০৯ সালে ৪৬৫ রানের হারটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার। ২০১৪ সালের ড্র টেস্টের নায়ক কুমার সাঙ্গাকারা ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছিলেন। ২০১৮ সালেও ড্র হয়েছিল টেস্ট। উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল (১৭৬, ১০৫)।

১৫-১৯ মে টেস্টে ক্রিকেটপ্রেমীদের নজর থাকবে ব্যাটারদের পাশাপাশি থাকবে স্পিনারদের দিকে। টাইগার স্কোয়াডের মূল তিন স্পিনার সাকিব, তাইজুল ও নাঈম। জহুর আহমেদের সবচেয়ে সফল বোলার সাকিব। ১৭ টেস্টে তার উইকেট ৬০টি। ক্যারিয়ারে সাকিব টেস্ট খেলেছেন ৫৯টি। বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব প্রথম ও একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ২০০ উইকেট নিয়েছেন। তার উইকেট সংখ্যা ২১৫। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭ টেস্টে তার উইকেট ২৯টি। দলের একমাত্র বাঁ হাতি স্পেশালিষ্ট স্পিনার তাইজুল। জহুর আহমেদে তাইজুলের উইকেট ৯ টেস্টে ৩৮টি। ৩৬ টেস্টে তাইজুলের উইকেট ১৫৩টি। লঙ্কার বিপক্ষে উইকেট ৫ টেস্টে ২২টি। শুরুতে নাঈম স্কোয়াডে ছিলেন না। প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে আঙ্গুলে আঘাত পান মেহেদী হাসান মিরাজের। ফলে প্রথম টেস্টের বাইরে থাকতে হচ্ছে তাকে। তার জায়গায় টিম ম্যানেজমেন্ট অন্তর্ভুক্ত করে নাঈমকে। দীর্ঘদেহী অফ স্পিনার নাঈম ক্যারিয়ারে টেস্ট খেলেছেন ৭ উইকেট নিয়েছেন ২৫টি। এই প্রথম শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট খেলবেন। জহুর আহমেদে নাঈমের উইকেট ৩ টেস্টে ১২ উইকেট।

তিন স্পিনারই ভরসা মুমিনুল বাহিনীর। তবে চট্টগ্রামের উইকেটে হালকা বাউন্স থাকে বলে ডান হাতি ফাস্ট বোলার সৈয়দ খালেদ ও ইবাদত হোসেনও ভরসা হয়ে উঠতে পারেন। পরিচিত পরিবেশে খেলা বলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন, মুস্তাফিজুর রহমানকে টেস্ট স্কোয়াডে চান। ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজ এখন আইপিএল খেলছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে।

দলের বাকি দুই পেসার শহীদুল ইসলাম ও রেজাউর রহমান রাজা এখন পর্যন্ত সাদা পোশাকে ও লাল বলে খেলেননি। বাঁ হাতি পেসার শরীফুল ইসলাম রয়েছেন, কিন্তু তাকে ফিটনেস পরীক্ষায় পাস করতে হবে। ডান হাতি ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ কাঁধের অস্ত্রোপচার করতে এখন লন্ডনে।                                       

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর