বুধবার, ১১ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

ক্রীড়াঙ্গনের স্মরণীয় দিন

একসঙ্গে ৮৫ জন পাচ্ছেন জাতীয় পুরস্কার

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ক্রীড়াঙ্গনের স্মরণীয় দিন

অর্ধযুগ পর জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে আজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সকাল ৯টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠান শুরু হবে। ২০১৬ সালে শেষবারের মতো পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছিল। তখন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ছিলেন বীরেন শিকদার। জাহিদ আহসান রাসেল ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় এটিই প্রথম পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। একসঙ্গে ৮ বছরে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে ৮৫ জন ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকের মধ্যে। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেকে পাচ্ছেন একটি ১৮ ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম সোনার মেডেল, ১ লাখ টাকার চেক ও সম্মাননাপত্র। পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেজো ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লে. শেখ জামাল। যিনি ফুটবলার ও সংগঠক হিসেবে ক্রীড়াঙ্গনে অবদান রেখে গেছেন। ক্রিকেট বোর্ডের প্রথম সাধারণ সম্পাদক বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মোজাফফর হোসেন পল্টু ক্রীড়াঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য জাতীয় পুরস্কার পাচ্ছেন। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের ম্যানেজার তানভীর মাজহার ইসলাম তান্না এতদিন পর জাতীয় পুরস্কার পাচ্ছেন। দক্ষ সংগঠক মরহুম আফজালুর রহমান সিনহা, ক্রিকেটে পরীক্ষিত যোদ্ধা নাজমুল আবেদীন ফাহিম ও সাফ গেমসে ফুটবলে প্রথম সোনা জয়ী দলের অধিনায়ক জুয়েল রানাও পুরস্কার পাচ্ছেন।

ছয় বছরের দীর্ঘ সময়ের পর অনুষ্ঠান হচ্ছে বলেই একসঙ্গে ৮৫ জনের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। দিনটি হবে ক্রীড়াঙ্গনের জন্য স্মরণীয়। অথচ এ বিরল স্বীকৃতি ঘিরে প্রশ্নও উঠেছে। গতকাল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন হয়। সেখানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হন। লম্বা তালিকায় অযোগ্যদেরই প্রাধান্য দেওয়া অভিযোগ উঠেছে। কারোর কারোর বিরুদ্ধে দুর্নীতিরও অভিযোগ আছে।

জাহিদ আহসান বলেন, ‘২০১৯ ও ২০২০ সালের পুরস্কার আমি দায়িত্ব থাকা অবস্থায় তালিকা তৈরি হয়েছে। বাকিগুলো বলতে পারব না। তাছাড়া ফেডারেশন থেকে তালিকা পাঠানো হয়। তারা যদি অনিয়মের আশ্রয় নেয় তাহলে কী করার আছে। তবে দুর্নীতি বা কেউ অযোগ্য কি না তার প্রমাণ কেউ দিতে পারলে পুরস্কার পাওয়ার পরও তদন্ত করা হবে। আমি কোনোভাবেই বিতর্কিত হতে চাই না।’ প্রকৃতপক্ষে ফেডারেশনই তালিকা তৈরি করে এটি সত্যি। এরপর তিনটি কমিটি তা যাচাই বাছাই করে। প্রতিমন্ত্রী জানেন কি না জানি না, এই কমিটিকে ঘিরেই যত ঘাপলা। পুরস্কার চালু হওয়ার পর থেকেই কে কোন রাজনীতি-আদর্শে বিশ্বাসী প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ এক সিন্ডিকেটের সুবিধা নিয়ে তালিকা তৈরির অভিযোগও আছে।

৮৫ জনের মধ্যে যোগ্যরা অবশ্যই আছেন। কিন্তু অযোগ্যরা ঠাঁই পাচ্ছে কীভাবে? এটা তো একজন ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকের সেরা স্বীকৃতি। এ নিয়ে বারবার বিতর্কের ঝড় বয়ে যাচ্ছে কেন? হকিতে বেশ কজন পুরস্কার পাচ্ছেন। প্রশ্ন উঠেছে এত জনের ভিড়ে মো. সাদেক ও রফিকুল ইসলাম কামালের নাম বাদ পড়ল কীভাবে? জিমন্যাস্টিকসে এ কে এম আকতারুজ্জামান শাহীন টানা ১৭ বার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েও তার কপালে এ বিরল সম্মান জুটছে না কেন? কেন

সাড়া জাগানো অ্যাথলেট সাইদুর রবের নাম বাদ গেল? প্রতিমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন ভুলত্রুটি শুধরে সামনে থেকে স্বচ্ছভাবেই যোগ্যদের পুরস্কার দেওয়া হবে। তাকি সম্ভব? তার আশপাশে তো বিতর্কিতরা ঘিরেই থাকে। তারাই আবার ক্রীড়াঙ্গনের নীতি নির্ধারক?

সর্বশেষ খবর