শনিবার, ২১ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

ঢাকা টেস্টে নেই নাঈম

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ঢাকা টেস্টে নেই নাঈম

শেষ দিনের উইকেটে দারুণ দৃঢ়তা দেখান শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা। সফরকারী ব্যাটারদের প্রতিরোধে ড্র হয়েছে চট্টগ্রাম টেস্ট। ড্র হলেও অধিনায়ক মুমিনুল হক ছাড়া বাংলাদেশের অন্য ব্যাটাররা ভালো ব্যাটিং করেছেন। দুরন্ত বোলিং করেছেন তিন স্পিনার তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান ও সাকিব আল হাসান। টিম পারফরম্যান্সে উজ্জীবিত মুমিনুল বাহিনীর পরের মিশন মিরপুর টেস্ট। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয়টি মাঠে গড়াবে ২৩-২৭ মে, মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে। চট্টগ্রামে ১৫ মাস পর ফিরে দারুণ বোলিং করা নাঈম। অথচ ডান হাতের মধ্যমায় ফ্রাকচারের জন্য মিরপুরে খেলতে পারবেন না নাঈম। গতকাল বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিসিবি তা নিশ্চিত করেছে।

 না খেলার সম্ভাবনাই বেশি তার। ফলে স্পিন বিভাগের ভরসা দুই বাঁ হাতি স্পিনার সাকিব ও তাইজুল।

দুজনই আবার মিরপুরের সবচেয়ে সফল বোলার! নাঈমের আগে মিরপুর টেস্ট থেকে ছিটকে পড়েছেন বাঁ হাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। আঙুলের ফ্রাকচারের জন্য চট্টগ্রামে খেলেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরপুরেও নেই তিনি।

২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক মিরপুরের। ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৩ টেস্ট হয়েছে। করোনাভাইরাসে বাতিল হয়েছে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট। বাকি ২২ টেস্টে বাংলাদেশের জয় ৬, ড্র ৩ এবং হার ১৩। সর্বশেষ ১০ টেস্টে আবার পাঁচটিতে জয় টাইগারদের। মিরপুরে বাংলাদেশের জয়- জিম্বাবুয়ে ৩, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ একটি করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় তিনটি- ৩ উইকেটে (২০১৪), ২১৮ রান (২০১৮) ও ইনিংস ও ১০৬ রান (২০১০), ইংল্যান্ড- ১০৮ রান (২০১৬), অস্ট্রেলিয়া- ২০ রান (২০১৭) এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ- ইনিংস ও ১৮৪ রান (২০১৮)। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩ টেস্টের সব কটিতেই হার। ২০০৮ সাল ১০৭ রানে, ২০১৪ সালে ইনিংস ও ২৪৮ রান এবং ২০১৮ সালে ২১৫ রানে হার। চট্টগ্রামে যে দাপুটে ক্রিকেট খেলেছেন মুমিনুলরা, মিরপুরে ফেবারিট হয়েই খেলবেন।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একমাত্র জয় ২০১৭ সালে নিজেদের শততম টেস্টে। দেশটির বিপক্ষে এখনো কোনো সিরিজ জেতেনি। অবশ্য ২০১৩ সাল থেকে প্রতিটি সিরিজেই হয় একটি টেস্ট জিতেছে, না হয় একটি ড্র করেছে। ২০২১ সালে দেশটির মাটিতে সিরিজে পাল্লেকেলেতে প্রথম টেস্ট ড্র করেছিল। পরেরটি হেরে যায়। এবারই প্রথম সিরিজ জয়ের সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে। নাঈম ও মিরাজ ছাড়া স্পিন বিভাগ কতটা কার্যকর হবে, সেটাই বড় প্রশ্ন। ২০২০ সালে মিরপুরে টাইগারদের সর্বশেষ টেস্ট জয়ের নায়ক দুই স্পিনার নাঈম ও তাইজুল। যদিও ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। নাঈম উইকেট নিয়েছিলেন ৯টি আর তাইজুল ৬টি। মিরপুরের উইকেট বরাবরই স্পিনসহায়ক। টাইগাররা যে ৬টি টেস্ট জিতেছে তার মূলনায়ক স্পিনাররা। মিরপুরের আন ইভেন বাউন্সের উইকেটে সবচেয়ে সফল বোলার সাকিব। ১৮ টেস্টের ৩০ ইনিংসে ৬৭৯.৫ ওভার বোলিং করে ২০১৮ রানের খরচে উইকেট নেন ৬৩টি। সেরা বোলিং পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫৯ রানে ৬টি। আরেক বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুলের উইকেট ১০ টেস্টের ১৯ ইনিংসে ৫৪টি। সেরা বোলিং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩৯ রানে ৮ উইকেট। এ মাঠেরও সেরা বোলিং স্পেল এটি। মিরাজ ৭ টেস্টে নেন ৪১ উইকেট। অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের নায়ক এই অফ স্পিনার।

সোমবার শুরু মিরপুর টেস্ট। টিম ম্যানেজমেন্ট এখন অপেক্ষায় নাঈমের সুস্থতার।

সর্বশেষ খবর