সোমবার, ২৩ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

হিসাব বদলাতে চান মুমিনুল

আসিফ ইকবাল

হিসাব বদলাতে চান মুমিনুল

উইকেটের পাশে দাঁড়ানো অধিনায়ক মুমিনুল হক ও কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। আজ শুরু মিরপুর টেস্ট। টাইগারদের দুই থিঙ্কট্যাংক উইকেট দেখে কী ভাবছেন? - রোহেত রাজীব

অনুশীলনে সবাই যখন ব্যস্ত, তখন টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক চৌধুরী ছুটে যান উইকেটের দিকে। পিছু পিছু যান হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোও। অধিনায়ক ও কোচ দড়ি দিয়ে ঘেরা উইকেট দেখে আচরণ বুঝার চেষ্টা করেন। দাঁড়িয়ে বুঝতে চেষ্টা করছিলেন, মিরপুরের উইকেটের আচরণ চট্টগ্রামের মতো হবে কি না? চট্টগ্রাম টেস্টের ৫দিনে দুই দলের তিন ইনিংস শেষ হয়নি। উইকেটের পতন হয়েছে মাত্র ২৬টি! পরিসংখ্যান জানাচ্ছে মিরপুরে বরাবরই টেস্টে ফল হচ্ছে। ২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে অভিষেকের পর সর্বশেষ পাকিস্তান টেস্ট পর্যন্ত ২১টি হয়েছে। ১৯টিতেই ফল হয়েছে এবং ড্র তিনটি ভেস্তে গেছে বৃষ্টিতে। আবহাওয়া রিপোর্ট জানাচ্ছে, টেস্ট চলাকালীন বৃষ্টি বাধা হতে পারে, কিন্তু ভেস্তে যাওয়ার মতো মুষলধারায় বৃষ্টি হবে না। আজ সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। টেস্টে জয়ের স্বপ্ন দেখছেন টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল, ‘আমার মনে হয়, ভালো একটা সুযোগ আছে আমাদের। চট্টগ্রাম টেস্টে কী হয়েছে সেগুলো চিন্তা না করে, এখন আমাদের নতুন করে শুরু করতে হবে। কারণ আগেও অনেক সময় (প্রথম টেস্ট ড্র করে পরের ম্যাচে হেরে গেছি...) ওই জায়গা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছি। ঢাকা টেস্টে যদি দল হিসেবে খেলতে পারি, তাহলে ফল আমাদের পক্ষে আসবে।’

সকাল ১০ টায় শুরু টেস্টের একাদশে দেখা যেতে পারে ডান হাতি পেসার ইবাদত ও অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে। চট্টগ্রাম টেস্টে হাতে ব্যথা পান বাঁ হাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। ৫ সপ্তাহের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে তাকে। ফলে মিরপুর টেস্টের পাশাপাশি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরও মিস করবেন শরিফুল। তার জায়গা নেওয়া হয়েছে ইবাদতকে। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট জয়ের নায়ক ইবাদত। চট্টগ্রাম টেস্টে দারুণ বোলিং করেন অফ স্পিনার নাঈম হাসান। কিন্তু চতুর্থ দিন আঙ্গুলে ব্যথা পান। ফলে চট্টগ্রাম টেস্ট মিস করছেন ডান হাতি দীর্ঘকায় অফ স্পিনার। মিরপুরে দুজন স্পেশালিস্ট স্পিনার সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলামই ভরসা মিরপুর স্টেডিয়ামের স্পিন সহায়ক উইকেটে। নাঈমের জায়গা সুযোগ পাচ্ছেন ক্যারিয়ারে ৩ টেস্ট খেলা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।            

            

চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টাইগারদের পারফরম্যান্স বেশ ভালো। দ্বীপরাষ্ট্রে বিপক্ষে সর্বশেষ তিন টেস্টেই ড্র করেছে। কিন্তু মিরপুরের পারফরম্যান্স কিন্তু একতরফা। ৩ টেস্টের সবগুলোই হেরেছে। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ টেস্ট হেরেছিল ১০৭ রানে। ওই টেস্টে ৫২১ রান তাড়া করতে নেমে ৪২১ রান করেছিল চতুর্থ ইনিংসে। যা চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। ২০১৪ সালে ইনিংস ও ২৪৮ রানে হেরেছিল টাইগাররা। ২০১৮ সালে হেরে যায় ২১৫ রানে। আগের তিন টেস্টের ফল দ্বীপরাষ্ট্রের পক্ষে থাকলেও টাইগার অধিনায়ক আশাবাদী মিরপুর টেস্ট নিয়ে, ‘মিরপুরে ফলাফল ছাড়া টেস্ট ম্যাচ খুব কমই হয়। শেষ কবে ফল আসেনি বলা কঠিন। সব সময় ফল আসে। বোলিং খুব গুরুত্বপূর্ণ, সঙ্গে ব্যাটিংও। অবশ্যই আমরা পরিকল্পনা করি, কোন জিনিস নিয়ে কাজ করলে জেতার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।’

মিরপুরের উইকেটের বাউন্স একটু অসমান। তবে পেসারদের তুলনায় স্পিনাররা বেশি সহায়তা পেয়ে থাকেন। এই মাঠের সবচেয়ে সফল তিন বোলার স্পিনাররা। ১৮ টেস্টে সাকিবের উইকেট ৬৩, তাইজুলের ১০ টেস্টে ৫৪ ও মেহেদী হাসান মিরাজের উইকেট ৭ টেস্টে ৪১টি। মিরাজ নেই। আজ খেলবেন তাইজুল ও সাকিব। ফলে স্বপ্ন দেখতেই পারেন টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল। 

সর্বশেষ খবর