শনিবার, ২৮ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

গতি আর শর্ট বলেই ভরাডুবি

শ্রীলঙ্কার সিরিজ জয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক

গতি আর শর্ট বলেই ভরাডুবি

ছবি : রোহেত রাজীব

বোলিংয়ে গতি দেখলে এখনো ভয় পান বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। শর্ট বল এখনো নাভিশ্বাস তুলে ছাড়ে। অথচ সাম্প্রতিক ক্রিকেটে গতি ও শর্ট বলকে একজন বোলারের বড় অস্ত্র মনে করা হয় না। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে এ দুই অস্ত্র দিয়েই ১০ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নিল শ্রীলঙ্কা।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৩৬৫ রান করেছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৬৯ রানে অলআউট। তবে প্রথম ইনিংসেও ধস নামতে পারত। কারণ, মাত্র ২৪ রানেই পতন ঘটে বাংলাদেশের ৫ উইকেটের। এরপর মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের রেকর্ড গড়া পার্টনারশিপে শেষ পর্যন্ত বড় স্কোর করেছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে আর পাত্তাই পেলেন না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।

তবে দুই ইনিংসেই লিটন ছিলেন ব্যতিক্রম। প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসেও হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। হাফ সেঞ্চুরি করেছেন সাকিব আল হাসানও। দুই ব্যাটসম্যানের শতাধিক রানের একটি মাত্র জুটি ছাড়া বাংলাদেশের ইনিংসে বলার মতো কোনো ঘটনা নেই।

যে উইকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের নাভিশ্বাস বেরিয়ে পড়েছিল সেই উইকেটেই লঙ্কানরা সুপার ব্যাটিং করে দেখিয়ে দিল তাদের স্কিল। প্রথম ইনিংসে ৫০৬ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের কোনো উইকেটই পড়েনি। ম্যাচ শেষে লঙ্কান তারকা ডিকভেলা প্রেস কনফারেন্সে উইকেট সম্পর্কে বলেন, ‘আগেরবার আমরা যে উইকেটে খেলেছিলাম, এবারের উইকেট সে রকম ছিল না। আগেরবার বল স্পিন করেছে, টার্ন করেছে। এবারের উইকেট মরা, পাটা উইকেট। ব্যাটসম্যানদের জন্য ভালো ছিল। তবে আমাদের ফাস্ট বোলাররা পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পেরেছে। আমরা জানতাম গতি আর শর্ট বল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ভোগাবে, আমাদের সে পরিকল্পনা কাজে লেগেছে।’

এ টেস্টে বাংলাদেশের পেসাররাও ছিলেন যাচ্ছেতাই। একেবারে নখদন্তহীন বোলিং বলতে যা বোঝায়! বোলার এবং ব্যাটসম্যানদের যৌথ ব্যর্থতায় ঘরের মাঠে এ লজ্জার হার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর