ফাইনাল সেরা মেসি
লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ইতালির বিপক্ষে ফিনালিসিমায় দুর্দান্ত খেললেন লিওনেল মেসি। দুটি গোল করিয়েছেন সতীর্থদের দিয়ে। নিজেও গোল করতে পারতেন। অল্পের জন্য হয়নি। এছাড়াও ম্যাচজুড়ে বেশ কটি গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন। মাঠজুড়েই ছিল মেসির সরব উপস্থিতি। নিজে খেলেছেন। সতীর্থদের দিয়ে খেলিয়েছেন। এর পুরস্কারও পেলেন তিনি। ফিনালিসিমার সেরা তারকা হয়েছেন লিওনেল মেসি।
প্রথম গোল
ম্যাচের তখন ২৮তম মিনিট। লিওনেল মেসি ডি বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে বল নিয়ে ড্রিবলিং করে ছোটো ডি বক্সের কাছে পৌঁছে যান। ছোট ডি বক্সে বল বাড়িয়ে দেন মেসি। লাওতারো মার্টিনেজ কোনো ভুল করেননি। ডান পায়ের আলতো টোকায় বল জালে জড়ান। উল্লাসে মেতে উঠে আর্জেন্টিনা।
দ্বিতীয় গোল
প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময় শেষ। যোগ করা সময়ের খেলা চলছে। আর্জেন্টিনা আক্রমণে যায়। লাওতারো মার্টিনেজ মধ্যমাঠের একটু ওপর থেকে বল বাড়িয়ে দেন ডি মারিয়াকে। অনেকটা পথ দৌড়ে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ইতালির গোলরক্ষক ডোনারুমাকে বোকা বানিয়ে বল জালে জড়ান তিনি।
আক্রমণ (আর্জেন্টিনা)
ফিনালিসিমায় আক্রমণের পর আক্রমণে ইতালিয়ান ডিফেন্সকে তছনছ করে দেন লিওনেল মেসিরা। ম্যাচজুড়ে ১৭ বার ইতালির গোলমুখে আক্রমণ করে আর্জেন্টিনা। এর মধ্যে ১০টি শট ছিল অন টার্গেট। তিনটি গোল হলেও বাকিগুলো রুখে দেয় ইতালি। বেশিরভাগই ধরা পড়ে ইতালির গোলরক্ষক ডোনারুমার হাতে।
আক্রমণ (ইতালি)
আর্জেন্টিনার আক্রমণ রুখে ইতালি খুব বেশি আক্রমণে যেতে পারেনি। বেশিরভাগ সময় মিডফিল্ড থেকেই হতাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে আজ্জুরিদের। আর্জেন্টিনার গোলমুখে ৭ বার আক্রমণ করেছে ইতালি। অন টার্গেট শট ছিল তিনটি। তিনটিই ফিরিয়ে দেয় আর্জেন্টিনা। গোলমুখে গোলরক্ষক মার্টিনেজ ছিলেন অতন্দ্র প্রহরী।
তৃতীয় গোল
ম্যাচের নির্ধারিত নব্বই মিনিট শেষ হওয়ার পর লো সেলসোর পরিবর্তে মাঠে আসেন পাওলো দিবালা। তিন মিনিট পরই আর্জেন্টিনাকে তৃতীয় গোল উপহার দেন তিনি। ডি বক্সের লাইনে ইতালিয়ান ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে লিওনেল মেসি বল বাড়িয়ে দেন দিবালাকে। ডান পায়ের জোরাল শটে গোল করেন দিবালা।