মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

মুস্তাফিজ টেস্টে ফেরায় পেস বোলিংয়ে আশা

ক্রীড়া ডেস্ক

মুস্তাফিজ টেস্টে ফেরায় পেস বোলিংয়ে আশা

মুস্তাফিজুর রহমান তখন আইপিএল খেলছেন ভারতে। ‘দ্বীপরাষ্ট্র’ শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজ খেলছে বাংলাদেশে। মূল স্ট্রাইক পেসার তাসকিন আহমেদ কাঁধের অস্ত্রোপচার করতে ইংল্যান্ডে। আহত থাকায় খেলছেন না বাঁ হাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। দুই স্ট্রাইক পেসারের অভাব মেটাতে লঙ্কান ব্যাটারদের বিপক্ষে লড়াই করেছেন ইবাদত হোসেন ও সৈয়দ খালেদ। কিন্তু সুইং ও বাউন্স না থাকায় প্রতিপক্ষের উপর বাড়তি কোনো প্রভাবই ফেলতে পারেননি। পেসারদের নখদন্তহীন পারফরম্যান্সে অসহায় অধিনায়ক মুমিনুল হক বাধ্য হয়েই ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজুর রহমানকে টেস্ট স্কোয়াডে চাইলেন। সাবেক অধিনায়কের দাবিকে যৌক্তিক মনে করে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও জোর গলায় বলেন, ‘দলের প্রয়োজনে মুস্তাফিজ টেস্ট খেলবেন।’ যদিও ‘কাটার মাস্টার’ সাদা পোশাক ও লাল বলে খেলতে খুব আগ্রহী ছিলেন না। টিম ম্যানেজমেন্টের আগ্রহে ২০২১ সালের জুলাইয়ের পর ফের টেস্ট স্কোয়াডে ফিরছেন। মুস্তাফিজ ফেরায় নিঃসন্দেহে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টেস্ট স্কোয়াডের পেস আক্রমণের শক্তি বেড়েছে। নির্বাচক প্যানেলের অন্যতম সদস্য ও সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমনও শক্তি বৃদ্ধির কথা বলেছেন, ‘মুস্তাফিজ কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটেও সফল। সে হয়তো কম টেস্ট (১৪টি) খেলেছেন।  তার আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা কিন্তু কম নয়। সে নিয়মিত ওয়ানডে ও টি-২০ খেলেন সুতরাং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা ভালো। সে ফেরায় নিঃসন্দেহে পেস আক্রমণের শক্তি বেড়েছে।’

টেস্ট খেলতে শুক্রবার ঢাকা ছাড়েন নাজমুল শান্তসহ ৬ ক্রিকেটার। গতকাল পৌনে ৮টায় ঢাকা ছাড়েন অধিনায়ক সাকিব, ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম, মুস্তাফিজসহ টেস্ট স্কোয়াডের বাকি ক্রিকেটাররা। সাকিব মার্কিণ যুক্তরাস্ট্র থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলের সঙ্গে মিলবেন।

সফরে তাসকিন ও শরিফুল খেলবেন টি-২০ ও ওয়ানডে সিরিজ। সাকিব বাহিনীতে শুরুতে ছিল ৫ পেসার। শহিদুল ইসলাম ইনজুরিতে পড়লে তার জায়গায় নাম এসেছিল হাসান মাহমুদের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে নেওয়া হয়নি তাকে। এখন স্কোয়াডে ৪ পেসার-ইবাদত হোসেন, খালেদ, মুস্তাফিজ ও রেজাউর রহমান। চারজনের মধ্যে রেজাউরের অভিজ্ঞতা ১১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ। মুস্তাফিজ টেস্ট খেলেছেন ১৪টি এবং উইকেট ৩০টি। ইবাদতের উইকেট ২৯ এবং টেস্ট ১৫। খালেদের উইকেট ৭ টেস্টে ৯টি। সব মিলিয়ে চার পেসারের টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা ৩৬। উইকেট ৬৮। এমন একটি অনভিজ্ঞ পেস অ্যাটাক নিয়ে ক্যারিবীয় সফরে কতটা সাফল্য পাবে টাইগাররা? সাবেক অধিনায়ক ও নির্বাচক বাশার অনভিজ্ঞ পেসারদের নিয়েও আশাবাদী, ‘আমাদের তো অভিজ্ঞ কোনো পেসার নেই। এদের নিয়েই খেলতে হচ্ছে। এই পেস অ্যাটাক কিন্তু নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ভালো করেছে। আশা করি ওয়েস্ট ইন্ডিজেও সাফল্য পাবে।’

অনভিজ্ঞ পেস অ্যাটাক। দুই স্পিনার সাকিব ও তাইজুল ইসলাম-দুজনেই অভিজ্ঞ। তৃতীয়বারের মতো টাইগারদের টেস্ট অধিনায়কত্ব পাওয়া ৩৫ বছর বয়স্ক সাকিব টেস্ট খেলেছেন ৬১টি। উইকেট ২২৪টি। আরেক বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল টেস্ট খেলেছেন ৩৮টি। উইকেট ১৫৮। দুই বাঁ হাতি স্পিনারের টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা ৯৯ এবং উইকেট ৩৮২টি। ক্যারিবীয়দের এন্টিগায় ও গ্রস আইলেট টেস্টে সাফল্যের অনেকটাই নির্ভরশীল দুই স্পিনারের ঘূর্ণির উপর। তবে টাইগারদের বোলিং বিভাগ নিয়ে চিন্তিত নন নির্বাচক বাশার। তার ভাবনার পুরোটা জুড়ে ব্যাটিং, ‘আমরা কিন্তু বিগত সিরিজগুলোতে বোলিং নিয়ে খুব বেশি সমস্যায় পড়িনি। আমাদের সমস্যা কিন্তু ব্যাটিং নিয়ে। ব্যাটিং সমস্যার সমাধান করতেই হবে আমাদের।’

সর্বশেষ খবর