বুধবার, ৮ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

অবস্থা বুঝে লড়তে হবে

আজ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ বাহরাইন

অবস্থা বুঝে লড়তে হবে

শুধু শক্তিশালী বললে ভুল হবে, বলতে হবে খুবই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। হ্যাঁ, বাহরাইন এখন এশিয়ার সেরা দলের একটি। তাদেরই সঙ্গে আজ কুয়ালালামপুরে বুকিট জলিল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপ বাছাই পর্বে ‘ই’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচ। আর শুরুতে জামালদের সামনে ডেঞ্জার বাহরাইন। কঠিন প্রতিপক্ষ হলেও আমি বলব বাংলাদেশের এ ম্যাচে হারানোর কিছু নেই। হার যে নিশ্চিত এ নিয়ে কোনো সংশয় থাকার কথা নয়। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ চাপমুক্ত হয়ে খেলতে পারবে। কোচ হাভিয়ের কাবরেরা নাকি কৌশল এঁকেছেন আগে ঘর সামাল দিয়ে তারপর কাউন্টার অ্যাটাকে যাওয়ার। আসলে বড় দলের বিপক্ষে ছোটদের এ ছাড়া বিকল্প পথ নেই। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে এস্তোনিয়া এ কৌশলই বেছে নিয়েছিল। লাভ হয়নি, ০-৫ গোলে হেরেই মাঠ ছেড়েছে।

অনেকে হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন- ম্যাচে কি বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা নেই? কেউ কেউ বলছেন, ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে ড্র করাটা মালয়েশিয়ায় অনুপ্রেরণা জোগাবে জিকোদের। ইন্দোনেশিয়াকে রুখে দেওয়াটা অবশ্য কৃতিত্বের। কিন্তু এশিয়া কাপ বাছাই পর্বে বিষয়টি আলাদা। চূড়ান্ত পর্বে জায়গা পেতে তিন দেশি সেরাটা দিতে চাইবে। সেখানে বাংলাদেশের কী করার আছে?

জামালদের বলব তোমরা অবস্থা বুঝে লড়াই কর। অতিরিক্ত ডিফেন্সশিপ খেলা যেমন ঠিক হবে না, অযথা গোল করার চেষ্টা চালানোও ভুল হবে। গোলের চেষ্টা অবশ্যই করতে হবে। কিন্তু না বুঝে আক্রমণে গেলেই বিপদ। বাহরাইনের অন্তত পাঁচজন খেলোয়াড় আছেন যারা বিশ্বমানের। যেহেতু হারানোর কিছু নেই, ৯০ মিনিট সেরা খেলার চেষ্টা করলে ভালো কিছু হতে পারে। ঢাকায় বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে কাতারের কাছে ০-২ গোলে হারলেও বাংলাদেশ সেদিন যে নৈপুণ্য দেখায় তাতে দেশবাসী মুগ্ধ। আমি বাহরাইনের বিপক্ষে সেই বাংলাদেশকে দেখতে চাই।

প্রতিপক্ষকে নিয়ে শুধু আতঙ্কের কথা বললাম। আফসোস লাগে এ বাহরাইন ছিল আমাদের সমমানের। ১৯৭৮ সালে ঢাকায় এশীয় যুব ফুটবলে আমরা তাদের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করি। ১৯৭৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে প্রেসিডেন্ট কাপে বাংলাদেশ লড়াই করে ০-২ গোলে হারে। সেই বাহরাইন আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে। র‌্যাংকিংয়ে আমরা ৯৯ ধাপ পিছিয়ে। এ লজ্জা রাখি কোথায়?

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর