বৃহস্পতিবার, ৯ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

হারলেও হতাশ করেননি জামালরা

বাহরাইনের কাছে বাংলাদেশ হারবে- এ নিয়ে সংশয় ছিল না। আমিও বলেছিলাম ফুটবল যতই অঘটনের খেলা হোক না কেন শক্তিশালী বাহরাইন জিতবেই। তবে শঙ্কায় ছিলাম জামালরা গোলের বন্যায় ভেসে যায় কি না। কেননা প্রতিপক্ষ যে মানের দল তাতে বড় ব্যবধানে জেতার সামর্থ্য রাখে। আমি আমাদের ফুটবলারদের ধন্যবাদ জানাই তা হতে দেয়নি। ০-২ গোলে হারলেও এ ফলকে আমি স্বস্তিদায়ক বলব। সত্তর বা আশির দশককে বাংলাদেশের ফুটবলের সোনালি যুগ বলা হয়। সে সময় ১৯৭৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট কাপে আমরা ০-২ গোলে হারি। মান ও র‌্যাংকিংয়ে দুই দেশের অবস্থান ছিল প্রায় সমান।

৪৩ বছরের ব্যবধানে যেখানে ফুটবল এগিয়ে যাওয়ার কথা, সেখানে আমরা এতটা পিছিয়ে গেছি যে ভুটানের কাছেও হার মানছি! অন্যদিকে বাহরাইন ফুটবলে এশিয়ার পরাশক্তিতে পরিণত হয়েছে। সেই বাহরাইনের কাছে ০-২-এ হারাটা লজ্জার নয়। কোচ হাভিয়ের কাবরেরা সবে দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন। তাঁকে নিয়ে চূড়ান্ত মন্তব্য করার সময় আসেনি। তবে তাঁর টেকনিক্যাল জ্ঞান থেকে মনে হচ্ছে বাংলাদেশ হয়তো হতাশার বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসবে। দেখুন, এশিয়া কাপ ফুটবলে বাংলাদেশের বেশ কজন নির্ভরযোগ্য ফুটবলার খেলছে না। তার পরও বাহরাইনের মতো শক্তিশালী দলের সামনে উড়ে যায়নি।

কাবরেরার চিন্তা ছিল যত কম গোল খাওয়া যায়। তাই শুরু থেকে কৌশলটা ছিল ডিফেন্সশিপ। প্রথমার্ধে ২ গোল খাওয়ায় দ্বিতীয়ার্ধে কৌশলটা পাল্টিয়ে ফেলে। এতে ছন্দও খুঁজে পাওয়া যায় জামালদের পায়ে। আমি তো বলব, দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশের প্রাধান্য ছিল বেশি। পরিকল্পনা করে আক্রমণও চালায়। ব্যবধানটা কমাতে পারেনি এই যা। রাকিব দারুণ খেলেছে, জামালের ক্যাপ্টেনসিও ভালো লেগেছে। বিশ্বনাথ ও বাদশার পরিশ্রম চোখে পড়েছে। গোলরক্ষক জিকোর দৃঢ়তায় বাহরাইন বড় ব্যবধানে জিততে পারেনি।

তার পরও যে ২টি গোল হয়েছে জিকো সতর্ক থাকলেই চলত। ৩৪ মিনিটে কর্নার থেকে আবদুল্লাহ হায়াম হেডে যে গোল করেন জিকো পজিশনে থাকলেই তা উড়িয়ে দিতে পারত। ৪২ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে যে শট কোমাইল জালে জড়ান তা জিকো কিংবা ডিফেন্ডাররা ঠেকিয়ে দিতে পারত। তবু বলব, হারলেও হতাশ করেনি বাংলাদেশ।

সর্বশেষ খবর