বুধবার, ২২ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

ইতিহাস গড়ার হাতছানি কিংসের

বসুন্ধরা কিংস ২ : ০ রহমতগঞ্জ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ইতিহাস গড়ার হাতছানি কিংসের

তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আমলে ঘরোয়া ফুটবলে হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের রেকর্ড ছিল ওয়ান্ডারার্সের। স্বাধীনতার পর ঢাকা আবাহনী তা স্পর্শ করে। ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডান তাও ছুঁয়ে ফেলে অপরাজিত হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয়ে। এবার বসুন্ধরা কিংসকে হাতছানি দিচ্ছে সেই রেকর্ডে ভাগ বসাতে। অপরাজিত নয়, তবু টানা তিনবার পেশাদার লিগ জিতলে বসুন্ধরা নতুন এক ইতিহাস গড়বে। তারাই হবে একমাত্র দল যারা অভিষেকের পর প্রথম হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হবে। সেই লক্ষ্যে হাঁটছে ফুটবল কিং বসুন্ধরা কিংস। ৩৯ দিন পর পেশাদার লিগ গতকাল মাঠে গড়িয়েছে। লিগে ফিরেই পুরো পয়েন্ট তুলে নিয়েছেন অস্কারের শিষ্যরা। মুন্সিগঞ্জ শহীদ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে তারা ২-০ গোলে হারিয়েছে জায়ান্ট কিলারখ্যাত রহমতগঞ্জকে। প্রথম লেগে ৩-২ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল।

১৬ ম্যাচে কিংসের পয়েন্ট দাঁড়াল ৪১। আজ মর্যাদার লড়াইয়ে ঢাকা আবাহনী যদি জিতেও যায়। তারপরও বসুন্ধরা ৬ পয়েন্টে এগিয়ে থাকবে। আবাহনীর তখন পয়েন্ট দাঁড়াবে ৩৫। হারলে বা ড্র করলে কিংস চলে যাবে আরও নিরাপদ স্থানে। যাক রহমতগঞ্জকে হারানোটাও কিংসের জন্য স্বস্তিদায়ক। কেননা, এই ক্লাব আবার মাঝে মধ্যেই বড় দলের ঘুম হারাম করে দেয়। বিরতির আগেই গোল দুটি হয়। তবে ৩৩ মিনিট পর্যন্ত গোল করার মতো আক্রমণ গড়ে তুলতে পারেনি রবসনরা। পরের মিনিটে ভাগ্যক্রমে তারা এগিয়ে যায়।

ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা নুহা মারোংকে আটকাতে গিয়ে বক্সের বাইরে এসে হ্যান্ডবল করে বসেন গোলরক্ষক জিয়াউর রহমান। জিয়া লালকার্ড দেখলে রহমতগঞ্জ তখন ১০ জনে পরিণত হয়। ওয়ালি ফয়সালকে তুলে রাকিবুল ইসলাম তুষারকে পোস্ট সামলানোর দায়িত্ব দেন কোচ জিলানী। বক্সের বাইরে থেকে পাওয়া ওই সেট পিস থেকেই কিংসকে এগিয়ে রাখেন মিসেল দামাশেনো। শট নেওয়ার ভঙ্গি করেছিলেন রবসন, কিন্তু বাঁকানো শটে দামাশেনো পরাস্ত করেন তুষারকে।

২ মিনিট পর ব্যবধানে দ্বিগুণ করেন রবসন রবিনহো দেখার মতো গোল। এ নিয়ে লিগে তার গোলসংখ্যা দাঁড়াল ১২-তে। যাক ১০ জন নিয়ে রহমতগঞ্জ দ্বিতীয়ার্ধে ভালোই লড়েছে। সানডে তৎপরতা দেখালেও বসুন্ধরার রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় জালে বল পাঠানো যায়নি। তবে গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো দুটি নিশ্চিত গোল রক্ষা করেন। ২৬ জুন বসুন্ধরা পরবর্তী ম্যাচ খেলবে শেখ রাসেলের বিপক্ষে।

ম্যাচ শেষে কোচ অস্কার বলেন, ‘আমরা শীর্ষে থাকলেও এখনো ঝুঁকিমুক্ত নই। সামনে আবাহনী, সাইফ স্পোর্টিং, শেখ রাসেল, শেখ জামাল ও চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে খেলা রয়েছে। ওরা শক্তিশালী দল। খেলোয়াড়দের মনে রাখতে হবে ফুটবলে যে কোনো সময় অঘটন ঘটতে পারে। তাই আমি প্রতি ম্যাচেই সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছি। স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হারার পর অনেকে ভেবেছিল কিংস শিরোপার রেসে থাকতে পারবে না। অথচ আমরাই এখনো শীর্ষে।’

সর্বশেষ খবর