বুধবার, ২২ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

সাফল্যে এগিয়ে আবাহনী বয়সে মোহামেডান

মনোয়ার হক

সাফল্যে এগিয়ে আবাহনী বয়সে মোহামেডান

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুল-ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেড। স্প্যানিশ ফুটবলে রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা একে অপরের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। বাংলাদেশের ফুটবলে এমন উত্তেজনা মোহামেডান-আবাহনীকে ঘিরে। ঢাকা ফুটবল লিগে দুই ক্লাবের শিরোপা লড়াই তুঙ্গে ছিল বলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলে পরিণত হয়। খেলা হতো ঢাকায় আর উত্তাপ ছড়িয়ে পড়তো টেকনাফ তেঁতুলিয়া পর্যন্ত। ম্যাচ বিকাল বা সন্ধ্যায় হলেও দুপুরের আগে গ্যালারি ভরে যেত। দুই দলের সমর্থকদের হট্টগোলে প্রাণহানিও ঘটেছে। দুই দলের কত তারকা হিসাব মেলানো মুশকিল। জাকারিয়া পিন্টু, প্রতাপ শংকর হাজরা, আবদুস সাদেক, কাজী সালাউদ্দিন, হাফিজউদ্দিন, গোলাম সারোয়ার টিপু, দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল, শামসুল আলম মঞ্জু, মনোয়ার হোসেন নান্নু, শহিদুর রহমান সান্টু, আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু, অমলেশ সেন, বাদল রায়, গোলাম রব্বানী হেলাল, আবদুল গাফফার, সালাম মুর্শেদী, খোরশেদ বাবুল, রামা লুসাই, আশিষ ভদ্র, ইলিয়াস হোসেন, ইমতিয়াজ সুলতান জনি, শেখ মো. আসলাম, কায়সার হামিদ, ছাঈদ হাছান কানন, মো. মহসিন, সম্রাট হোসেন এমিলি, মোনেম মুন্না, রুম্মন ওয়ালি বিন সাব্বির আরও কত কী। দুই দলে মাঠ কাঁপানো বিদেশি ফুটবলারের সংখ্যাও কম নয়। শ্রীলঙ্কার পাকির আলী টানা আট বছর আবাহনীতে খেলে রেকর্ডও গড়েছেন।

আজ কুমিল্লায় পেশাদার লিগে দ্বিতীয় লেগে মোহামেডান ও আবাহনী মুখোমুখি হবে। যে ম্যাচ ঘিরে সপ্তাহখানেক আগে থেকেই দেশ কাঁপত, এখন তো কোনো সাড়া শব্দ নেই। অথচ আজকেই ম্যাচ ঘিরে দেশের ফুটবল অন্য ভাবে রাঙানো যেত। ঢাকা আবাহনী চলতি বছরে পঞ্চাশে পা দিয়েছে। মোহামেডানের প্রতিষ্ঠা আরও অনেক আগে সেই ১৯৩৭ সালে। আশি ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু আবাহনীর ৫০ বছরে লিগের ম্যাচটি কী আকর্ষণীয় করা যেত না।

এ ব্যাপারে বাফুফে যেমন নীরব, তেমনি আবাহনীর আগ্রহের দেখা মেলেনি। অবশ্য এর পেছনে বড় একটা কারণ থাকতে পারে। মোহামেডান তো আর আগের সেই অবস্থানে নেই। বিস্ময় হলেও সত্যি যে, পেশাদার লিগে একবারও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। দুর্বল হতে হতে এতটা করুণ অবস্থা যে, ঐতিহ্যবাহী দলটির কাছে চারে থাকাটাও বড় প্রাপ্তি।

অন্যদিকে আবাহনী ঠিকই এগিয়ে চলেছে। পেশাদার লিগে সর্বোচ্চ ছয়বার শিরোপা তাদেরই। বয়স হিসেবে মোহামেডানের চেয়ে আবাহনী ৩৫ বছরের ছোট। অথচ সাফল্যের দিক দিয়ে মোহামেডান বেশ পিছিয়ে রয়েছে। ১৯৪৮ থেকে লিগ শুরু হওয়ায় পূর্ব পাকিস্তান আমলে আটবার শিরোপা জয়ের রেকর্ড রয়েছে মোহামেডানের। আবাহনীর জন্ম ১৯৭২ সাল হলেও স্বাধীনতার পর সর্বোচ্চ ১৭ বার লিগ জিতেছে। অন্যদিকে মোহামেডান ১২ বার। লিগ ম্যাচে জয় ও গোলের সংখ্যাও আবাহনীর বেশি।

সর্বশেষ খবর