শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা
সেন্ট লুসিয়া টেস্ট শুরু কাল

পরিবর্তন আসছে ব্যাটিং অর্ডারে

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ব্যাটিং বৃত্ত থেকে বের হতে পারছেন না টাইগার ব্যাটাররা। ব্যাটারদের ব্যক্তিগত ব্যর্থতায় খেসারত গুনছে দল। অ্যান্টিগায় স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ক্যারিবীয় পেসারদের গতি, সুইং ও বাউন্সে অসহায় ছিলেন টাইগার ব্যাটাররা। তৃতীয়বারের মতো টেস্ট নেতৃত্ব পাওয়া সাকিব আল হাসান ও হঠাৎ সুযোগ পেয়ে নুরুল হাসান সোহান শুধুমাত্র লড়াই করেছেন। বাকিরা ব্যস্ত ছিলেন সাজঘরে আসা যাওয়ার মিছিলে। আগামীকাল শুরু গ্রস আইলেটের ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। সাকিব বাহিনীর সুযোগ রয়েছে সিরিজে ফেরার। এ জন্য সেন্ট লুসিয়ায় নিজেদের সেরাটাই খেলতে হবে। সিরিজে সমতা আনার টেস্টে একাদশে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে অনেক। ছন্দ হারিয়ে ফেলে সাজঘরে বসে থাকতে পারেন সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল হক, তিন নম্বরে ব্যাট করা নাজমুল হোসেন শান্ত এবং বোলিংয়ে ইবাদত হোসেন কিংবা সৈয়দ খালেদের যে কোনো একজনের। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এদের পরিবর্তনে কাদের দেখা যাবে একাদশে?

ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়াম-একেবারেই অপরিচিত নয় টাইগারদের কাছে। ২০১৪ সালে এই মাঠে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে একমাত্র টেস্টটি খেলেছিল বাংলাদেশ। হেরেছিল ২৯৬ রানের পর্বতসমান ব্যবধানে। এই মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এটিই একমাত্র জয়। সাকিব খেলেননি ওই টেস্ট। তবে তামিম ইকবাল, মুমিনুলরা খেলেছিলেন। ছিলেন এনামুল হক বিজয়ও। এবারও সেন্ট লুসিয়ায় খেলার সম্ভাবনা রয়েছেন এনামুল বিজয়ের। ফিরতে পারেন ইয়াসির আলি কিংবা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এক্ষেত্রে ব্যাটিং অর্ডারে টাইগার অধিনায়ক ব্যাটিং করবেন ৪ নম্বরে। লেট অর্ডারে ব্যাট করবেন ইয়াসির কিংবা মোসাদ্দেক সৈকত। মুমিনুল বিশ্রাম পেতে পারেন। তার জায়গায় তিন নম্বরে দেখা যেতে পারে এনামুল হক বিজয়কে। তবে শেষ মুহূর্তে আরও একবার সুযোগ পেতে পারেন সাবেক অধিনায়ক। অ্যান্টিগায় টেস্ট হারের পর টাইগার অধিনায়ক সাকিব বলেছেন, ‘যদি মুমিনুল বিশ্রাম চায়, তাহলে নিতেই পারে। আমি বিশ্বাস করি, বিশ্রাম নিয়ে ফিরলে পুরনো ছন্দে ফিরবে সে।’ ৫৪ টেস্টের ১০০ ইনিংসে মুমিনুলের রান করেছেন ৩৫২৯। চলতি বছর ৭ টেস্টেও ১৩ ইনিংসে একটি মাত্র পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস সাবেক অধিনায়কের। সর্বশেষ ৯ ইনিংসে রান করেছেন মাত্র ২৮। দুই অংকের কোনো ইনিংস নেই। খুব ভালো ব্যাটিং করছেন না নাজমুল শান্তও। তিনিও ছন্দে ফিরতে চেষ্টা করছেন। সর্বশেষ ৬ ইনিংসে তার সর্বোচ্চ ১৭ এবং ৫টিই দুই অংকের নিচে। চলতি বছর ৭ টেস্টের ১৩ ইনিংসে একটি মাত্র পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলেন নাজমুল শান্ত। শূন্য দিয়ে ক্যারিয়ারের অভিষেক ওপেনার মাহামুদুল হাসান জয়ের। চলতি বছর ৬ টেস্টের ১১ ইনিংসে ৩৩৮ রান করেছেন। একটি সেঞ্চুরি ও দুটি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে। ৭ টেস্ট ক্যারিয়ারের ১২ ইনিংসে শূন্য করেছেন ৫ বার। পেস বিভাগে ফিরতে পারেন বাঁ হাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। সেক্ষেত্রে বসে থাকতে হতে পারে ইবাদত ও খালেদের যে কোনো একজন।

চলতি বছর ৭ টেস্ট খেলে টাইগারদের জয় ও ড্র সাকল্যে একটি করে। হার বাকিগুলোতে। দলের এমন হারের জন্য উপরের সারির ব্যাটারদের দিকে আঙ্গুল উঠলে অন্যায় কিছু হবে না! এ বছর ২০০ রানে নিচে ১২ বার আউট হয়েছে টাইগাররা। যাতে রয়েছে ৫৩ ও ৮০ রানের দুটি ইনিংস। নতুন বলে পুরোপুরি ব্যর্থ উপরের সারির ব্যাটিং লাইন। প্রথম চার ব্যাটারের গড় ১৮.১৯! সর্বশেষ অ্যান্টিগায় টেস্টে টাইগার ব্যাটাররা যে গতি, বাউন্স ও সুইংয়ে অসহায়, তার প্রমাণ পরিসংখ্যান। সাকিব বাহিনী দুই ইনিংসে ২০ উইকেটের ১৩ বার আউট হয়েছেন উইকেটের পেছনে উইকেটরক্ষক ও স্লিপে ক্যাচ দিয়ে।

সেন্ট লুসিয়ায় ৮ বছর আগে হারলেও পরিসংখ্যান আত্মবিশ্বাসী করেছে সাকিব বাহিনীতে। এই মাঠে যে ৯ টেস্ট হয়েছে, তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় মাত্র একটি। ড্র ৪টি এবং হারজিত ৫টি। সর্বশেষ তিন ম্যাচেই হেরেছে ক্যারিবীয়রা। সাকিব বাহিনী পারবে কি অ্যান্টিগার ব্যর্থতা ঘুচাতে সেন্ট লুসিয়ায়? 

সর্বশেষ খবর