শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

তবুও জয়ের জন্য মরিয়া টাইগাররা

বাংলাদেশ-উইন্ডিজ শেষ ওয়ানডে আজ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সাদা পোশাকের ম্যাচে লিটন দাস ব্যাটিং করেন মিডল অর্ডারে। কিন্তু রঙিন পোশাক ও সাদা বলে ওপেন করেন। ওয়ানডেতে নতুন বলে ব্যাটিং করেন তামিম ইকবালের সঙ্গে। ওপেনার হিসেবে বহু ম্যাচ জিতিয়েছেন লিটন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গায়ানার প্রোভিডেন্সে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এ ড্যাসিং ওপেনার ব্যাটিং করেন ওয়ান ডাউনে। তার জায়গায় তামিমের সঙ্গী হিসেবে খেলেন আরেক বাঁ-হাতি নাজমুল হোসেন শান্ত। সাফল্যও পান। তার মানে এই নয় যে, টিম ম্যানেজমেন্ট তামিম-শান্ত জুটির ওপরই আস্থা রাখবেন! যেহেতু আইসিসি বিশ্বকাপ সুপার লিগের ওপর সিরিজটির কোনো প্রভাব নেই, তাই নিজেদের যাচাই-বাছাই করে দেখছেন টিম ম্যানেজমেন্ট। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন এসেছে। আজ তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে পরিবর্তন দেখা যেতে পারে একাদশেও। এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিশ্চিতের পর টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল তেমন ইঙ্গিতই দিয়েছিলেন, ‘যখন পয়েন্টের বিষয় থাকে, তখন হয়তো সুযোগ থাকে না। যেহেতু সিরিজ জিতেছি, আর পয়েন্টেরও কোনো ঝামেলা নেই, ‘বেঞ্চ স্ট্রেংথ’ দেখার এর চেয়ে ভালো সুযোগ আর নেই। সম্ভবত শেষ ম্যাচে এ রকম অনেকে খেলবে, যারা খুব বেশি খেলেনি।’ টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক মুখে যাই বলুন না কেন, আজ জিতলেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তৃতীয়বারের হোয়াইটওয়াশের তিক্ত স্বাদ দেবে। তাই সুযোগটি নিশ্চিত করেই হাতছাড়া করতে চাইবেন না তামিম।

তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুটিই ছিল লো স্কোরিং। বৃষ্টিস্নাত প্রথম ম্যাচে ১৫০ রান টপকাতে হয়েছিল তামিম বাহিনীকে। দ্বিতীয়টি ছিল আরও লো স্কোরিং, ১০৮ রান। প্রথমটিতে টাইগাররা জয় পেয়েছিল ৬ উইকেটে এবং দ্বিতীয়টিতে ৯ উইকেটে। আজ একাদশে দেখা যেতে পারে আরেক বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামকে। বিশ্রামে থাকতে পারেন মুস্তাফিজুর রহমান। ফিরতে পারেন এনামুল হক বিজয় ও ইবাদত হোসেন। প্রথম ওয়ানডে খেলা তাসকিন আহমেদকেও দেখা যেতে পারে। 

ম্যাচটি জিতলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টানা ১১ নম্বর জয় পাবে তামিম বাহিনী। টানা ১০ জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলবে আজ। গায়নার উইকেটে পেসারদের চেয়ে বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন স্পিনাররা। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ক্যারিবীয়দের ১০ উইকেটের ৮টিই নিয়েছেন তিন স্পিনার- মেহেদী মিরাজ, নাসুম আহমেদ ও মোসাদ্দেক সৈকত। সিরিজ নিশ্চিতের পর এখন তামিমদের হাতছানি দিচ্ছে হোয়াইটওয়াশ। ১৯৮৬ সাল থেকে ওয়ানডে খেলতে থাকা বাংলাদেশের প্রথম জয় ১৯৯৮ সালে। প্রথম সিরিজ জয় ২০০৫ সালে। ঘরের মাটিতে সেবার ৩-২ ব্যবধানে জিতেছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয় ২০০৯ সালে। সব মিলিয়ে টাইগাররা এখন পর্যন্ত ৩১টি সিরিজ জিতেছে। যার ১৫টিতে আবার হোয়াইটওয়াশ করেছে প্রতিপক্ষকে। ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশের তিক্ত লজ্জায় ডুবিয়েছে দুই বার। ২০০৯ সালে প্রথমবার ৩-০ এবং দ্বিতীয়বার ২০২১ সালে ৩-০ ব্যবধানে। সব মিলিয়ে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে ৫ বার। ২০১৮ সালে ২-১ এবং একই বছর ঘরের মাঠে ২-১ ব্যবধানে জিতেছে। আজ ৩-০ করার টার্গেটে নামছে। টাইগাররা সবচেয়ে বেশিবার হোয়াইটওয়াশ করেছে জিম্বাবুয়ে ৬, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড, কেনিয়া ২ বার করে এবং একবার করে পাকিস্তান, স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডকে।

তামিমের নেতৃত্বে দারুণ ক্রিকেট খেলছে টাইগাররা। সিনিয়র, জুনিয়ররা পারফরম্যান্স করে তুলে নিচ্ছে একের পর এক জয়। যদিও ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে খেলছেন না দলের দুই সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান। হজের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে নিযেছেন মুশফিক। টেস্ট ও টি-২০ সিরিজ খেললেও ওয়ানডেতে বিশ্রাম নিয়েছেন সাকিব। এদের ছাড়াই জুনিয়ররা নিজেদের মেলে ধরছেন।     

সর্বশেষ খবর